আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা। বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) নামে এই মেলা হবে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এ মেলা হবে। মেলার আয়োজন করেছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। এবারের মেলায় ১২টি দেশ অংশ নেবে।

টোয়াবের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংগঠনটির নেতারা। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টোয়াবের সভাপতি মো.

রাফেউজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি জানায়, এবারের মেলায় মোট ২২০টি স্টল থাকবে। মেলায় অংশ নেবেন মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপসহ ১২টি দেশের প্রতিনিধি ও পর্যটন খাতের দেশি-বিদেশি দুই হাজারের বেশি ব্যবসায়ী। এবারের মেলার টাইটেল স্পনসর হিসেবে থাকবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। তবে ছাত্রছাত্রী, মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই যোদ্ধাদের জন্য মেলায় প্রবেশ উন্মুক্ত থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, মেলায় পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানের জাতীয় পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অংশগ্রহণ করছে। মেলায় সেমিনারও অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সাংস্কৃতিক আয়োজন ও দেশের পর্যটন স্থানের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। মেলার প্রবেশমূল্যের ওপর বিটিটিএফ পেমেন্ট পার্টনার বিকাশের ক্যাশব্যাক অফার থাকছে।

সংবাদ সম্মেলনে টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, ‘এই মেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় পর্যটন মেলা। পর্যটন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ও এই খাতের টেকসই উন্নয়ন এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য। আমরা আশা করছি যে এবারের পর্যটন মেলা ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি পর্যটক এবং পর্যটনশিল্প-সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে।

এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মহাব্যবস্থাপক অশ্বিনী নায়ার, রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক শাহিদ হামিদ ও বিকাশের প্রতিনিধিরা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মো. আনোয়ার হোসেন, সাবেক সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশি প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৪র্থ এলএফবি লিডারশিপ এক্সিলেন্স সামিট ২০২৫ আয়োজিত হচ্ছে নভেম্বরে

ঢাকাভিত্তিক একটি অরাজনৈতিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘লিডার্স ফোরাম বাংলাদেশ (এলএফবি)’ আগামী ৬ নভেম্বর ঢাকার শেরাটন হোটেলে চতুর্থ এলএফবি লিডারশিপ এক্সিলেন্স সামিট ২০২৫ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত। বহুল প্রতীক্ষিত এ অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে এবং এতে ২৩টি বিভিন্ন শিল্প খাতের পাঁচ শতাধিক সিনিয়র করপোরেট লিডার, নীতিনির্ধারক ও পেশাদার ব্যক্তি অংশগ্রহণ করবেন। এবারের সামিটের সহযোগী অংশীদার হিসেবে রয়েছে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার এবং মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে যমুনা টিভি।

কোভিড পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ১৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে লিডারশিপ এক্সিলেন্স অর্জনের একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে উঠেছে এলএফবি। সংগঠনের পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য নিয়ে এই ফোরাম তার সুপরিকল্পিত লক্ষ্য—‘স্ব-উন্নয়ন ও সমাজের কাছে দায়বদ্ধতা’–এর অধীন নেতৃত্বের দক্ষতা তৈরি করা, পরামর্শদানকে উৎসাহিত করা এবং করপোরেট ইকোসিস্টেমকে সক্রিয় করার মাধ্যমে নিজেকে নিয়োজিত করেছে।

‘নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যই জন্ম’—এই মূলমন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হয়ে এলএফবি বিভিন্ন শিল্প খাতে নেতৃত্বের বিকাশ, দক্ষতা তৈরি ও পারস্পরিক সহযোগিতাকে আলোকপাত করার কাজকে অব্যাহত রেখেছে। সংগঠনটি গভীরভাবে বিশ্বাস করে, ‘শিক্ষা কখনোই শেষ হয় না এবং নেতৃত্ব কখনই মরে না’।

এ উৎসব দূরদর্শী করপোরেট লিডার এবং ব্যবসায় ও সমাজে তাদের প্রভাবকে উদ্‌যাপন করে। ২০২৫-এর সংস্করণটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নেতৃত্বের উন্নয়নে তাদের ভূমিকার জন্য শীর্ষস্থানীয় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তি, উদ্ভাবন ও টেকসই করপোরেট প্রবৃদ্ধিকে আলোকপাত করবে, যা আঞ্চলিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশের ভূমিকাকে আরও সুদৃঢ় করবে।

এই সামিট ছাড়া এলএফবি ‘ইয়ং লিডার্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’, ‘ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপ’, ‘লিডার্স ক্যাফে’ ও ‘স্পোর্টস অ্যান্ড ওয়েলবিং প্রোগ্রাম’-এর মতো বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী উদ্যোগ চালু করেছে। এরই মধ্যে এ বছর সংগঠনটি গুলশান-১–এ ‘এলএফবি লিডার্স ক্লাব হাউস’ খুলেছে, যা নেটওয়ার্কিং ও করপোরেট যোগাযোগের জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ কেন্দ্র।

এলএফবি যখন আরও ব্যাপক বৈশ্বিক সহযোগিতার দিকে তার দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে, তখন আসন্ন এ সামিট একটি মাইলফলক হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে, যা একই ছাদের নিচে বড় বড় করপোরেট ব্যক্তিত্বকে একত্র করবে। ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে, চতুর্থ লিডারশিপ এক্সিলেন্স সামিট ২০২৫ আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি করপোরেট ল্যান্ডস্কেপ গড়ে তুলতে লিডারদের অনুপ্রাণিত, সংযুক্ত ও ক্ষমতায়নের জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশে স্বর্ণের দামে বড় পতন, ভরিতে কমল ১০৪৭৪ টাকা
  • ৪র্থ এলএফবি লিডারশিপ এক্সিলেন্স সামিট ২০২৫ আয়োজিত হচ্ছে নভেম্বরে
  • ক্যানসার রোগীদের সহায়তা দিতে নতুন সংগঠনের যাত্রা শুরু