পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবা কামার। ছোট ও বড় পর্দায় অভিনয় করে খ্যাতি কুড়িয়েছেন। সীমানা পেরিয়ে বলিউডের সিনেমায় অভিনয় করেও প্রশংসা কুড়ান তিনি। কিছু দিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, বিয়ে করতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।

সম্প্রতি পাকিস্তানি অভিনেতা উসমান মুখতারের সঙ্গে একটি প্রজেক্টে অভিনয় করেছেন সাবা কামার। পাকিস্তানি শোবিজ অঙ্গনে প্রচলিত রয়েছে, এ অভিনেতার সঙ্গে যে অভিনেত্রী অভিনয় করেন, তারই বিয়ে হয়ে যায়! ফলে সাবার বিয়ের গুঞ্জন নিয়ে চর্চা আরো জোরালো হয়। যদিও বিষয়টি নিয়ে এতদিন নীরব থাকার পর মুখ খুলেছেন এই অভিনেত্রী।  

আরো পড়ুন:

১৮ বছর পর এক সিনেমায় গোবিন্দ-সালমান?

হলিউডে সৃজিতের নয়া মিশন

একটি পডকাস্টে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাবা কামার বলেন, “ভালোবাসা কে না চায়!” বিয়ে ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল বলে মনে করেন সাবা কামার। তার ভাষায়—“যদি আপনার নিয়তিতে লেখা থাকে, তাহলে আপনি চাইলেও তা এড়াতে পারবে না।” 

সাবা কামার তার কাজ নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ভালোবাসার জন্য সময় লাগে, বিয়ের জন্য সময় লাগে, আর এসবের পরেও সময়ের প্রয়োজন হয়। আমার তো এখন আট ঘণ্টা ঘুমানোরও সময় নেই!” 

‘কেস নং ৯’খ্যাত অভিনেত্রী সাবা কামার বলেন, “আসলে বিয়ে, সন্তান—সবকিছুই নিয়তির ব্যাপার। সময়ের আগে বা পরে এগুলো হয় না।”

ইউনিসেফের অ্যাম্বাসেডর সাবা কামাকার বলেন, “জীবনে স্থিতিশীলতা কে না চায়, তৃপ্তি কে না চায়, ভালোবাসা কে না চায়, ভালোবাসা পাওয়া কে না পছন্দ করে? তাই বলব, যখন ভাগ্যে লেখা থাকবে, তখনই সেটি ঘটবে, যার সঙ্গে লেখা থাকবে তার সঙ্গেই ঘটবে।”

পাকিস্তানের হায়দরাবাদে জন্মগ্রহণ করেন সাবা কামার। তবে পাকিস্তানের গুজরানওয়ালা শহরে বেড়ে উঠেছেন। পড়াশোনার উদ্দেশ্যে লাহোরে বসবাস শুরু করেন সাবা। সেখানে অভিনয়ে হাতেখড়ি এই অভিনেত্রীর। ছোট পর্দায় অভিনয়ের মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পদচারণা শুরু সাবা কামারের। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই রূপ আর অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দেন এই অভিনেত্রী। অভিনয়ের পাশাপাশি টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেও জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

২০০৫ সালে টেলিভিশন সিরিজ ‘মেইনে আরাত হু’-এর মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক ঘটে সাবার। ২০১৩ সালে উর্দু ভাষার ‘আইনা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। ২০১৭ সালে ‘হিন্দি মিডিয়াম’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে তার। এতে ইরফান খানের সঙ্গে অভিনয় করেন সাবা। সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেয়া পাকিস্তানি অভিনেত্রীদেরও অন্যতম এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ন স ব

এছাড়াও পড়ুন:

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকের রিমান্ড চায় পুলিশ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো. আবদুল হান্নানের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।

আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হাসান এ আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলমের আদালতে আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শামসুদ্দোহা সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আবদুল হান্নানকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর পল্টন থানার এসআই শামীম হাসান আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের চারটি কারণে দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেলে হেলমেট পরা অজ্ঞাতনামা দুজন সন্ত্রাসী ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। গুলিতে ওসমান হাদি গুরুতর জখম হন। র‍্যাব-২ ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে মোটরসাইকেলের মালিক মো. আবদুল হান্নানের বিষয়ে জানতে পারে। ওই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোটরসাইকেলের বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি আসামি। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আসামিকে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, আসামিদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধার, জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের নাম–ঠিকানা সংগ্রহসহ অবস্থান জানা, মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন ও তথ্য-অর্থের সম্পর্ক সংগ্রহ এবং কোন স্থান থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে, তার উৎস জানার জন্য পুলিশের নিজ হেফাজতে রেখে আবদুল হান্নানকে সাত দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।

এর আগে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির নম্বর প্লেটের (রেজিস্ট্রেশন নম্বর) সূত্র ধরে গতকাল শনিবার আবদুল হান্নানকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আটক করে র‍্যাব-২। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মোটরসাইকেলটি নিজের বলে স্বীকার করেছেন। পরে তাঁকে পল্টন মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।

গত শুক্রবার বেলা ২টা ২৪ মিনিটে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। পেছন থেকে অনুসরণ করে আসা একটি মোটরসাইকেল থেকে এক ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করেন। তিনি বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

আরও পড়ুনওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বর ধরে মালিককে আটক৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ