জিমেইলসহ বিভিন্ন ই–মেইল সেবা ব্যবহারকারীদের ১৮ কোটির বেশি পাসওয়ার্ড চুরি
Published: 29th, October 2025 GMT
জিমেইল, আউটলুক, ইয়াহুসহ বিভিন্ন ই–মেইল সেবা ব্যবহারকারীদের ১৮ কোটি ৩০ লাখ পাসওয়ার্ড চুরি হয়েছে। বিপুলসংখ্যক পাসওয়ার্ড চুরির এ ঘটনা কয়েক মাস আগে ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ট্রয় হান্ট। ফলে বিশ্বজুড়ে বিপুলসংখ্যক ই–মেইল ব্যবহারকারী সাইবার হামলার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সিনথিয়েন্টের গবেষক বেঞ্জামিন ব্রান্ডেজ প্রথম জিমেইলসহ বিভিন্ন ই–মেইল সেবা ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড চুরির ঘটনা শনাক্ত করেন। এরপর তিনি বিষয়টি ‘হ্যাভ আই বিন পাউন্ড’ ওয়েবসাইটকে জানান। ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না, তা যাচাই করতে পারেন। জিমেইলসহ বিভিন্ন ই–মেইল সেবা ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড চুরির বিষয়ে বেঞ্জামিন ব্রান্ডেজ জানান, কেবল শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না। কম্পিউটার ক্ষতিকারক সফটওয়্যারে আক্রান্ত হলে পাসওয়ার্ড চুরি ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়ে।
ট্রয় হান্ট জানিয়েছেন, তিন দশমিক পাঁচ টেরাবাইট আকারের চুরি হওয়া তথ্যগুলো কোনো একক প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে অনুপ্রবেশের ফল নয়। কম্পিউটারে অনুপ্রবেশকারী ক্ষতিকর সফটওয়্যারের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে চুরি হওয়া অসংখ্য তথ্য একত্রিত করে বিশাল এই তথ্যভান্ডার তৈরি করা হয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্য একবার চুরি হলে তা দ্রুত নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং থামানো কঠিন হয়ে যায়।
আরও পড়ুনজিমেইলে কয়েক বছর আগের ই-মেইল খুঁজে পাবেন যেভাবে০২ জানুয়ারি ২০২৫সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, ই–মেইল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড চুরির আশঙ্কা থাকলে অবিলম্বে পরিবর্তনের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়াতে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ চালু করতে হবে। এই পদ্ধতিতে লগইনের সময় স্মার্টফোনে একটি যাচাইকরণ কোড পাঠানোর ফলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। শুধু ই–মেইল নয়, অনেকেই একই পাসওয়ার্ড বিভিন্ন সেবা ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করেন, ই–মেইলের পাসওয়ার্ড চুরির ফলে তাদের অন্যান্য অ্যাকাউন্টও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
আরও পড়ুনঅনলাইনে নিরাপদ থাকতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করবেন যেভাবে২১ আগস্ট ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র প সওয় র ড চ র র ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
রায়েদ সাদকে হত্যা যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন: হামাস
গাজা নগরীতে ইসরায়েলের হামলায় দলের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদ নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে গতকাল শনিবার হামাসের এই নেতাকে হত্যার দাবি করেছিল।
শনিবারের ওই হামলায় ৫ জন নিহত এবং অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
হামাস এ হামলার বিষয়ে বিবৃতি দিলেও প্রথমে রায়েদ সাদ নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তখন হামাস বলেছিল, গাজা নগরের বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে হামলা হয়েছে। এই হামলা অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
পরে আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় হামাসের গাজাপ্রধান খলিল আল-হাইয়া বলেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত পাঁচজনের মধ্যে রায়েদ সাদও রয়েছেন।
খলিল আল-হাইয়া বলেন, ‘ইসরায়েল বারবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে যাচ্ছে, যার সর্বশেষ সংযোজন হামাস কমান্ডারকে (রায়েদ সাদ) হত্যা। গতকালই এ ঘটনা ঘটেছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা সব মধ্যস্থতাকারী এবং বিশেষ করে চুক্তির প্রধান নিশ্চয়তাদাতা হিসেবে মার্কিন প্রশাসন ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আহ্বান জানাই, তাঁরা যেন ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্মান করতে ও তা মেনে চলতে বাধ্য করেন।’
রায়েদ সাদ হত্যাকাণ্ড অক্টোবরে গাজায় একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতাকে হত্যার প্রথম ঘটনা।এর আগে টেলিগ্রামে এক পোস্টে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছিল, ওই কমান্ডার (রায়েদ সাদ) হামাসের সক্ষমতা পুনর্গঠনে কাজ করছিলেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে হামাসের হামলা পরিকল্পনাকারীদের একজন ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনজ্যেষ্ঠ হামাস নেতা রায়েদ সাদকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের১৭ ঘণ্টা আগেরায়েদ সাদ হত্যাকাণ্ড অক্টোবরে গাজায় একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতাকে হত্যার প্রথম ঘটনা।
একজন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রায়েদ সাদকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল। তিনি রায়েদ সাদকে হামাসের অস্ত্র তৈরি শাখার প্রধান বলে দাবি করেন।
হামাস সূত্র রায়েদ সাদকে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডের সেকেন্ড ইন কমান্ড তথা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তা বলে জানিয়েছে। এই সূত্রগুলো বলেছে, সাদ আগে হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন। হামাসের সবচেয়ে বড় ও অস্ত্রসজ্জিত ব্যাটালিয়নের একটি এটি।
অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজায় ইসরায়েলের হামলা থামেনি। অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরায়েলের প্রায় ৮০০ বার গাজায় হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৩৮৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে
আরও পড়ুনগাজার ‘হলুদ রেখা’ থেকে সরবে না সেনা, এটিই নতুন সীমান্ত: ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধান০৯ ডিসেম্বর ২০২৫