দাঁড়িয়ে আছেন বলিউড অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা। তার গায়ে ইউনিসেফের লোগো সম্বলিত পলো শার্ট। তার পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার মারুফা আক্তার। তার গায়ে বাংলাদেশি জার্সি। বুধবার (২৯ অক্টোবর) মারুফা তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন তাতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। 

সম্প্রতি আইসিসি নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশে ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন আয়ুষ্মান খুরানা। ইউনিসেফ ভারতের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে মাঠে ছিলেন এই অভিনেতা। সেখানে আয়ুষ্মান খুরানার সঙ্গে দেখা হয় মারুফার। সেই সময়ে তোলা ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এই নারী ক্রিকেটার। 

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশে আসছেন অরিজিৎ সিং

‘দ্য তাজ স্টোরি’ সিনেমার বিরুদ্ধে মামলা

মারুফা ছবিটি পোস্ট করার ৪ ঘণ্টার মধ্যে তার রিঅ্যাক্ট পড়েছে ২৮ হাজার। মন্তব্য পড়েছে ২৬৪টির বেশি। দুই তারকাকে এক ফ্রেমে দেখে নেটিজেনদের অনেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। পারভেজ মোশাররফ লেখেন, “দুই কিংবদন্তি এক ফ্রেমে।” ইমরান লেখেন, “আমাদের আইকন মারুফার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সে (আয়ুষ্মান) গর্বিত। সুন্দর ছবি।”  

মোদক নামে ভারতীয় এক নাগরিক লেখেন, “সে খুব ভালো ক্রিকেটার, কঠোর পরিশ্রমী।” আয়ুষ্মানকে উদ্দেশ্য করে একজন লিখেছেন, “প্রিয় গায়ক ও অভিনেতা।” আরেকজন লিখেছেন, “মারুফা, বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে। 

২০২৩ সাল থেকে ইউনিসেফ ভারতের শুভেচ্ছাদূত আয়ুষ্মান। শিশুদের অধিকারের প্রতি সমর্থনের অঙ্গীকার জানাতে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে হাজির হয়েছিলেন। ম্যাচ শুরুর আগে ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে অংশ নেন আয়ুষ্মান। 

আয়ুষ্মান খুরান অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘থাম্মা’। হরর-কমেডি ঘরানার ‘থাম্মা’ সিনেমা পরিচালনা করেছেন আদিত্য সরপতদার। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন রাশমিকা মান্দানা। দীপাবলি উপলক্ষে ২১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। বক্স অফিসেও বেশ সাড়া ফেলেছে এটি।   

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আয় ষ ম ন খ র ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাবার কবরে শায়িত বিজ্ঞানী ও লেখক রেজাউর রহমান

বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ড. রেজাউর রহমান। গতকাল বুধবার তাঁকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদ কমপ্লেক্স কবরস্থানে বাবা ফজলুর রহমানের কবরে দাফন করা হয়। এর আগে বাদ আসর এই মসজিদে মরহুমের তৃতীয় জানাজা হয়।

ধানমন্ডির ১২/এ সড়কের তাকওয়া মসজিদে বাদ জোহর রেজাউর রহমানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এখানে মসজিদের মুসল্লিরা ছাড়াও মরহুমের আত্মীয়, সুহৃদ, অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ী, স্কুল–কলেজের সতীর্থদের অনেকে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পরে দাফনেও অংশ নিয়েছেন। জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, শিল্পী রফিকুন নবী, প্রাবন্ধিক মফিদুল হক, শিল্পী আবুল বার্‌ক্‌ আলভী, মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, প্রাণিবিজ্ঞানী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান, লেখক আনিসুল হকসহ কবি, শিল্পী, চিকিৎসকদের অনেকে।

প্রথম জানাজার পরে শেষবারের মতো রেজাউর রহমানের মরদেহ তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে আনা হয়। এখানে পরিবারের সদস্য, বিশেষত নারী আত্মীয়স্বজনসহ অনেকে শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে আসেন। বাসভবন ছেড়ে যাওয়ার আগে এখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা জানাজায় অংশ নেন। এরপর দাফনের জন্য মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদে আনা হয়।

রেজাউর রহমান ৮১ বছর বয়সে ২৬ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

আরও পড়ুনরেজাউর রহমানের চলে যাওয়া শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়…২৭ অক্টোবর ২০২৫

ব্যক্তিগত জীবনে বিনয়ী ও সদাচারী ছিলেন রেজাউর রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। পরে ১৯৭৯ সালে চেক একাডেমি অব সায়েন্সেস-প্রাগ থেকে কীটতত্ত্বে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর কাজ করেছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে। পেশাগত জীবনে কীটপতঙ্গ নিয়ে দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন তিনি।

পেশাগতভাবে বিজ্ঞানী হলেও লেখক

হিসেবে রেজাউর রহমান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। দেশের বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট স্থানে। বিজ্ঞানে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সাহিত্যচর্চা ও বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি দেশের বিজ্ঞানচর্চার বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন রেজাউর রহমান।

আরও পড়ুনগ্রহান্তরে ভালো থাকবেন ড. রেজাউর রহমান২৮ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ