শাহরিয়ারের স্ত্রী আসমা-উল হুসনা ঘরে ঢুকে দেখেন, ছটফট করছেন শাহরিয়ার। বাঁ হাতে ফোন নিয়ে ফ্রন্ট ক্যামেরায় নিজেকে দেখার চেষ্টা করছেন; কিন্তু কিছুই বলছেন না। তখনো বিষয়টা বুঝে উঠতে পারছিলেন না আসমা। তবে শাহরিয়ার সম্ভবত বুঝেছিলেন, তাই দেখতে চেষ্টা করছিলেন তাঁর মুখটা বেঁকে গেছে কি না। ডান পাশটা অবশ হয়ে যাওয়ায় ব্যবহার করেছিলেন বাঁ হাত। তবে সেই সময়ের কথা এখন আর শাহরিয়ারের মনে নেই।

দ্রুত শুরু হলো স্ট্রোকের চিকিৎসা

শাহরিয়ারের ভাইকে দ্রুত খবর দেওয়া হলো। তিনি এসে হুইলচেয়ারে করে ভাইকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। বাসার খুব কাছেই স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড। সেখানকার জরুরি বিভাগে যাওয়ার পর জানা গেল, শাহরিয়ারের স্ট্রোক হয়েছে। মস্তিষ্কের রক্তনালির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে এই স্ট্রোক হয়।

স্ট্রোকে অবশ হয়ে যাওয়া দেহে আগের মতো শক্তি ফিরে পাওয়াটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। বছরের পর বছর বিছানায় পড়ে থাকেন বহু রোগী। কথা বলার ক্ষমতাও অনেকের থাকে না। দীর্ঘ মেয়াদে দেখা দিতে পারে নানান জটিলতা। তবে স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে। এই চিকিৎসাপদ্ধতির নাম থ্রম্বোলাইসিস। সঠিক সময়ে থ্রম্বোলাইসিস করা হলে জটিলতা অনেক কমে যায়। সহজে সুস্থ হয়ে ওঠেন রোগী। তবে সব হাসপাতালে থ্রম্বোলাইসিসের সুযোগ নেই। আর অন্যান্য চিকিৎসার মতো এরও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় থাকে। তাই সব দিক ভেবেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। একদিকে সুস্থতার আশা, অন্যদিকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা। দ্রুততম সময়ে নিউরো আইসিইউতে নেওয়া হলো শাহরিয়ার কবীরকে। করা হলো থ্রম্বোলাইসিস।

আরও পড়ুননারীদের স্ট্রোক কেন বেশি হয়২৪ জুন ২০২৫চিকিৎসার বাকি ধাপস্ট্রোকের পর একটু একটু করে স্বাভাবিক হচ্ছেন শাহরিয়ার.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিযোদ্ধাকে দেখিয়ে দিয়ে বলে, ‘এই লোক কে?’

অলংকরণ: কাইয়ুম চৌধুরী

সম্পর্কিত নিবন্ধ