‘সাম্য, মর্যাদা ও আলোকিত সমাজের স্বপ্নে ৭১ ও ২৪ এর তরুণরা’
Published: 29th, October 2025 GMT
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, “২৪ এর তরুণ প্রজন্ম ৭১ এর শহীদদের আদর্শ ও আত্মত্যাগের উত্তরসূরী। ২০২৪ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন মোড় এনেছে।”
তিনি বলেন, “সাম্য কেবল একটি ধারণা নয়, এটি একটি জীবনদর্শন। সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং আলোকিত সমাজ গঠনের স্বপ্ন বহন করেছিল ৭১ ও ২৪ এর তরুণরা। তাই সাম্যের সমাজ ও গণতন্ত্রের কাঠামো শক্তিশালী করতে হলে জুলাইয়ের আত্মদানে অনুপ্রাণিত সেই তরুণদের বারবার স্মরণ করতে হবে।”
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নিলে কেউ যেন খুনের কনটেক্সট না ভুলে যান: প্রেস সচিব
প্রেস এজেন্সি ‘প্রেসেঞ্জা’র ঢাকা ব্যুরো অফিস উদ্বোধন
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘মুক্ত গণমাধ্যম মঞ্চ’ আয়োজিত ‘গণমাধ্যমের জুলাই আত্মদান’ স্মারক উন্মোচন ও জুলাই সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মুক্ত গণমাধ্যম মঞ্চের মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মজুমদার, সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আক্তারুজ্জামান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লে.
শহীদ সাংবাদিক পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শহীদ তাহির জামান প্রিয়’র মা শামসি আরা জামান।
শারমীন এস মুরশিদ শহীদ সন্তানদের স্মরণ করে বলেন, “তোমরা বেঁচে থাকবে কোটি প্রাণে। আগামীর দেশ গঠনে, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় এবং সব অন্যায়-অসঙ্গতি দূরীকরণে সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল ও তরুণ সমাজের সম্মিলিত ভূমিকা প্রয়োজন।”
তিনি আরো বলেন, “জুলাই আকাঙ্ক্ষাকে জিইয়ে রাখার অন্যতম শক্তি হবেন সাংবাদিকরা। জাতির বিবেক হিসেবে তাদের কলমই হতে পারে ন্যায়ের ও আলোর বাংলাদেশ গঠনের হাতিয়ার।” শহীদ সাংবাদিকদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবার ছাড়াও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই গণঅভ য ত থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার কবরে শায়িত বিজ্ঞানী ও লেখক রেজাউর রহমান
বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ড. রেজাউর রহমান। গতকাল বুধবার তাঁকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদ কমপ্লেক্স কবরস্থানে বাবা ফজলুর রহমানের কবরে দাফন করা হয়। এর আগে বাদ আসর এই মসজিদে মরহুমের তৃতীয় জানাজা হয়।
ধানমন্ডির ১২/এ সড়কের তাকওয়া মসজিদে বাদ জোহর রেজাউর রহমানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এখানে মসজিদের মুসল্লিরা ছাড়াও মরহুমের আত্মীয়, সুহৃদ, অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ী, স্কুল–কলেজের সতীর্থদের অনেকে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পরে দাফনেও অংশ নিয়েছেন। জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, শিল্পী রফিকুন নবী, প্রাবন্ধিক মফিদুল হক, শিল্পী আবুল বার্ক্ আলভী, মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, প্রাণিবিজ্ঞানী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান, লেখক আনিসুল হকসহ কবি, শিল্পী, চিকিৎসকদের অনেকে।
প্রথম জানাজার পরে শেষবারের মতো রেজাউর রহমানের মরদেহ তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে আনা হয়। এখানে পরিবারের সদস্য, বিশেষত নারী আত্মীয়স্বজনসহ অনেকে শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে আসেন। বাসভবন ছেড়ে যাওয়ার আগে এখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা জানাজায় অংশ নেন। এরপর দাফনের জন্য মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদে আনা হয়।
রেজাউর রহমান ৮১ বছর বয়সে ২৬ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
আরও পড়ুনরেজাউর রহমানের চলে যাওয়া শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়…২৭ অক্টোবর ২০২৫ব্যক্তিগত জীবনে বিনয়ী ও সদাচারী ছিলেন রেজাউর রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। পরে ১৯৭৯ সালে চেক একাডেমি অব সায়েন্সেস-প্রাগ থেকে কীটতত্ত্বে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর কাজ করেছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে। পেশাগত জীবনে কীটপতঙ্গ নিয়ে দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন তিনি।
পেশাগতভাবে বিজ্ঞানী হলেও লেখক
হিসেবে রেজাউর রহমান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। দেশের বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট স্থানে। বিজ্ঞানে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সাহিত্যচর্চা ও বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি দেশের বিজ্ঞানচর্চার বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন রেজাউর রহমান।
আরও পড়ুনগ্রহান্তরে ভালো থাকবেন ড. রেজাউর রহমান২৮ অক্টোবর ২০২৫