লিটন–জাকেরদের ব্যাটিং-ব্যর্থতায় এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হার বাংলাদেশের
Published: 29th, October 2025 GMT
তানজিদ হাসান আউট হওয়ার পরই মাঠ ছাড়তে শুরু করলেন দর্শকদের কেউ কেউ। অথচ তখনো ম্যাচের মূল রোমাঞ্চ বাকি। বাংলাদেশের জেতার সম্ভাবনাও বেশ জোরালো। ৬ উইকেট হাতে রেখে ১৭ বলে ৩৩ রানের সমীকরণটা তো আর তেমন কঠিন কিছু ছিল না।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়াম থেকে দর্শকদের খেলা অসমাপ্ত রেখেই বাড়ির পথ ধরার কারণ বুঝতে একটু পেছনেই ফিরতে হবে। ওই সময় তানজিদের ব্যাটিং সঙ্গী জাকের আলীর মুখোমুখি হওয়া প্রায় প্রতিটি বলেই গ্যালারি থেকে ভেসে আসছিল দুয়োধ্বনি। তানজিদের পর যিনি ব্যাটিংয়ে এসেছিলেন, সেই শামীম হোসেনের সাম্প্রতিক ফর্মও খুব একটা আস্থা দিতে পারছে না। প্রথম ম্যাচের পর তাঁর নাম উল্লেখ করে হতাশার কথা জানিয়েছিলেন খোদ অধিনায়ক লিটন দাসও।
সবাইকে ভুল প্রমাণ করার সেই সুযোগ আজ কাজে লাগাতে পারেননি দুজনের কেউই। একাদশে ফেরা জাকের করেছেন ১৮ বলে ১৭, শামীম আউট হয়েছেন ২ বলে ১ রান করে। ক্যারিবীয়ানদের একের পর এক ক্যাচ মিসে লম্বা সময় জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখা বাংলাদেশ আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে হেরেছে ১৪ রানে।
ম্যাচশেষে খেলোয়াড়েরা সাইডলাইন ছেড়ে মাঠে গেছেন। একা বসে আছেন কোচ ফিফ সিমন্স.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার কবরে শায়িত বিজ্ঞানী ও লেখক রেজাউর রহমান
বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ড. রেজাউর রহমান। গতকাল বুধবার তাঁকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদ কমপ্লেক্স কবরস্থানে বাবা ফজলুর রহমানের কবরে দাফন করা হয়। এর আগে বাদ আসর এই মসজিদে মরহুমের তৃতীয় জানাজা হয়।
ধানমন্ডির ১২/এ সড়কের তাকওয়া মসজিদে বাদ জোহর রেজাউর রহমানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এখানে মসজিদের মুসল্লিরা ছাড়াও মরহুমের আত্মীয়, সুহৃদ, অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ী, স্কুল–কলেজের সতীর্থদের অনেকে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পরে দাফনেও অংশ নিয়েছেন। জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, শিল্পী রফিকুন নবী, প্রাবন্ধিক মফিদুল হক, শিল্পী আবুল বার্ক্ আলভী, মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, প্রাণিবিজ্ঞানী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান, লেখক আনিসুল হকসহ কবি, শিল্পী, চিকিৎসকদের অনেকে।
প্রথম জানাজার পরে শেষবারের মতো রেজাউর রহমানের মরদেহ তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে আনা হয়। এখানে পরিবারের সদস্য, বিশেষত নারী আত্মীয়স্বজনসহ অনেকে শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে আসেন। বাসভবন ছেড়ে যাওয়ার আগে এখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা জানাজায় অংশ নেন। এরপর দাফনের জন্য মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদে আনা হয়।
রেজাউর রহমান ৮১ বছর বয়সে ২৬ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
আরও পড়ুনরেজাউর রহমানের চলে যাওয়া শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়…২৭ অক্টোবর ২০২৫ব্যক্তিগত জীবনে বিনয়ী ও সদাচারী ছিলেন রেজাউর রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। পরে ১৯৭৯ সালে চেক একাডেমি অব সায়েন্সেস-প্রাগ থেকে কীটতত্ত্বে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর কাজ করেছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে। পেশাগত জীবনে কীটপতঙ্গ নিয়ে দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন তিনি।
পেশাগতভাবে বিজ্ঞানী হলেও লেখক
হিসেবে রেজাউর রহমান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। দেশের বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট স্থানে। বিজ্ঞানে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সাহিত্যচর্চা ও বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি দেশের বিজ্ঞানচর্চার বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন রেজাউর রহমান।
আরও পড়ুনগ্রহান্তরে ভালো থাকবেন ড. রেজাউর রহমান২৮ অক্টোবর ২০২৫