বুধবার (২৯ অক্টোবর) হারারেতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তান ৫৩ রানে জয় পেয়েছে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেন একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল তাদের। ব্যাট হাতে দারুণ সূচনা, বল হাতে বিধ্বংসী পাওয়ার প্লে; দুই দিকেই একই ছাপ রেখেছে রশিদ খানের দল। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে একেবারে শুরুতেই। আর ফলাফল, আফগানিস্তানের একতরফা জয় এবং তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া।

আগে ব্যাট করতে নেমে ইব্রাহিম জাদরানের পরিমিত ইনিংস গড়ে দেয় মজবুত ভিত্তি। তার অর্ধশতকে ভর করে আফগানিস্তান তোলে ৬ উইকেটে ১৮০ রানের সংগ্রহ। শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন অলরাউন্ডার আজমাতউল্লাহ ওমরজাই। পরে বল হাতে পাওয়ার প্লেতে বিধ্বংসী ভূমিকা রাখেন তিনিই। আর মুজিব উর রহমানের ঘূর্ণির জাদুতে শেষ কাজটুকুও সারে আফগানরা। তাতে ১৬.

১ ওভারে মাত্র ১২৭ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

আরো পড়ুন:

দায়িত্বহীন, ব‌্যাখ‌্যাতীত পরাজয়ে সিরিজ হাতছাড়া

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

এই জয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আফগানিস্তানের রেকর্ড আরও উজ্জ্বল হলো। শেষ ১৯টি টি-টোয়েন্টিতে এটি তাদের ১৭তম জয়।

রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ছয় ওভারেই জিম্বাবুয়ে হারায় ৫ উইকেট। যা তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ পতন। সিকান্দার রাজা বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে (৩/২০) লড়াইয়ের কিছুটা রূপ রাখলেও ব্যাট হাতে দলকে টানতে পারেননি। নিচের সারিতে টিনোটেন্ডা মাপোসার ১৫ বলে ৩২ রান ছিল তাদের একমাত্র আলো।

জিম্বাবুয়ের ইনিংস শুরুটা ছিল আশাব্যঞ্জক। ব্রায়ান বেনেট প্রথম ওভারেই ওমরজাইকে তিন বাউন্ডারিতে স্বাগত জানান। কিন্তু সেটিই ছিল শেষ আলো।

দ্বিতীয় ওভারেই মুজিব আঘাত হানেন এবং দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন! মারুমানি এলবিডব্লিউ (০), পরের বলেই বিখ্যাত ক্যারম বলে ফেরেন ব্রেন্ডন টেলর (০)।

ওমরজাই পরের ওভারে পাল্টে দেন আগের ব্যয়বহুল ওভারের প্রতিশোশে। রাজা ও রায়ান বার্লকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার ধসিয়ে দেন। বেনেট (১৩ বলে ২৪) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও পাঁচ ওভারের মধ্যেই তাদের স্কোর বোর্ডে মাত্র ৪টি উইকেট বাকি।

এরপর গল্পটা শুধু আনুষ্ঠানিকতা। আব্দুল্লাহ আহমদজাই সরাসরি হিট মেরে তুলে নেন একটি রান–আউটভ আর পরে স্টাম্প ভেঙে দেন মুজারাবানির। মাপোসা ও ইভান্স মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন। দুজনের জুটিতে আসে অর্ধশত রান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

মুজিব ফিরলেন বল হাতে শেষ দৃশ্যের নায়ক হয়ে। নিজেই ধরলেন রিটার্ন ক্যাচ। তারপর আরেকটি ক্যারম বল টপ-এজ হয়ে গেল সহজ ক্যাচে। ম্যাচের সমাপ্তি সেই মুজিবের হাতেই ৪ উইকেট তুলে নিয়ে।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন ওমরজ ই বল হ ত উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ওমরজাই, মুজিব ও জাদরান ঝড়ে উড়ে গেল জিম্বাবুয়ে

বুধবার (২৯ অক্টোবর) হারারেতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তান ৫৩ রানে জয় পেয়েছে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেন একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল তাদের। ব্যাট হাতে দারুণ সূচনা, বল হাতে বিধ্বংসী পাওয়ার প্লে; দুই দিকেই একই ছাপ রেখেছে রশিদ খানের দল। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে একেবারে শুরুতেই। আর ফলাফল, আফগানিস্তানের একতরফা জয় এবং তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া।

আগে ব্যাট করতে নেমে ইব্রাহিম জাদরানের পরিমিত ইনিংস গড়ে দেয় মজবুত ভিত্তি। তার অর্ধশতকে ভর করে আফগানিস্তান তোলে ৬ উইকেটে ১৮০ রানের সংগ্রহ। শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন অলরাউন্ডার আজমাতউল্লাহ ওমরজাই। পরে বল হাতে পাওয়ার প্লেতে বিধ্বংসী ভূমিকা রাখেন তিনিই। আর মুজিব উর রহমানের ঘূর্ণির জাদুতে শেষ কাজটুকুও সারে আফগানরা। তাতে ১৬.১ ওভারে মাত্র ১২৭ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

আরো পড়ুন:

দায়িত্বহীন, ব‌্যাখ‌্যাতীত পরাজয়ে সিরিজ হাতছাড়া

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

এই জয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আফগানিস্তানের রেকর্ড আরও উজ্জ্বল হলো। শেষ ১৯টি টি-টোয়েন্টিতে এটি তাদের ১৭তম জয়।

রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ছয় ওভারেই জিম্বাবুয়ে হারায় ৫ উইকেট। যা তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ পতন। সিকান্দার রাজা বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে (৩/২০) লড়াইয়ের কিছুটা রূপ রাখলেও ব্যাট হাতে দলকে টানতে পারেননি। নিচের সারিতে টিনোটেন্ডা মাপোসার ১৫ বলে ৩২ রান ছিল তাদের একমাত্র আলো।

জিম্বাবুয়ের ইনিংস শুরুটা ছিল আশাব্যঞ্জক। ব্রায়ান বেনেট প্রথম ওভারেই ওমরজাইকে তিন বাউন্ডারিতে স্বাগত জানান। কিন্তু সেটিই ছিল শেষ আলো।

দ্বিতীয় ওভারেই মুজিব আঘাত হানেন এবং দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন! মারুমানি এলবিডব্লিউ (০), পরের বলেই বিখ্যাত ক্যারম বলে ফেরেন ব্রেন্ডন টেলর (০)।

ওমরজাই পরের ওভারে পাল্টে দেন আগের ব্যয়বহুল ওভারের প্রতিশোশে। রাজা ও রায়ান বার্লকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার ধসিয়ে দেন। বেনেট (১৩ বলে ২৪) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও পাঁচ ওভারের মধ্যেই তাদের স্কোর বোর্ডে মাত্র ৪টি উইকেট বাকি।

এরপর গল্পটা শুধু আনুষ্ঠানিকতা। আব্দুল্লাহ আহমদজাই সরাসরি হিট মেরে তুলে নেন একটি রান–আউটভ আর পরে স্টাম্প ভেঙে দেন মুজারাবানির। মাপোসা ও ইভান্স মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন। দুজনের জুটিতে আসে অর্ধশত রান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

মুজিব ফিরলেন বল হাতে শেষ দৃশ্যের নায়ক হয়ে। নিজেই ধরলেন রিটার্ন ক্যাচ। তারপর আরেকটি ক্যারম বল টপ-এজ হয়ে গেল সহজ ক্যাচে। ম্যাচের সমাপ্তি সেই মুজিবের হাতেই ৪ উইকেট তুলে নিয়ে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ