যদি আমি থাকতাম তাহলে ম্যাচটি আগেই শেষ হয়ে যেত: লিটন
Published: 29th, October 2025 GMT
ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের আরেকটি ম্যাচ হার। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৬ রানে ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪ রানে হারল বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৪৯ রানের পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জিতে দারুণ খুশি ক্যারিবীয়ানরা।
তাদের উল্লাসের রাতে বাংলাদেশ শিবিরে পিনপতন নীরবতা। গ্যালারিতে ভুয়া ভুয়া স্লোগান। যা নিশ্চিতভাবেই কানে গেছে ক্রিকেটারদের। টানা দুই ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আরো পড়ুন:
ওমরজাই, মুজিব ও জাদরান ঝড়ে উড়ে গেল জিম্বাবুয়ে
দায়িত্বহীন, ব্যাখ্যাতীত পরাজয়ে সিরিজ হাতছাড়া
অধিনায়ক লিটন ম্যাচ শেষে নিজের ওপরেই সব দায় নিলেন। ক্রিজে গিয়ে তিন চার মেরে দারুণ ছন্দ পাওয়ার ইঙ্গিত দিলেন। এরপর আরো একটি চার আসে তার ব্যাটে। কিন্তু মুহূর্তেই সব ওলটপালট। এলোমেলো শটে ২০ রানে জীবন পান। ৩ রান যোগ করে আকিল হোসেনের বলে আউট হন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভালো বোলিং আক্রমণ সামলে থিতু হতে সময় নেননি তিনি। অথচ উইকেটের বলে বোল্ড হয়ে ম্যাচটা ডুবিয়ে আসেন তিনি। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে লিটন বলেছেন, ‘‘১৫০ রান বড় স্কোর নয়। যখনই আমরা রান নিতে ভুগেছি তখনই আমরা উইকেট হারিয়েছি। আমাকে ১৩-১৪ ওভার পর্যন্ত সেখানে থাকতে হতো। আমার নিজেকে আরো উন্নত করতে হবে। যদি আমি থাকতাম, তাহলে ম্যাচটি আগেই শেষ হয়ে যেত। তবে তারা সত্যিই ভালো বোলিং করেছে।’’
উইকেট ছিল ব্যাটিংবান্ধব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতে বড় কিছুরই ইঙ্গিত দেয়। ১১.
বোলাররা দারুণভাবে দলকে ম্যাচে ফেরালেও ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে আরেকটি ব্যর্থতা যোগ হলো। বোলারদের জন্য হৃদয় পুড়ছে লিটনের, ‘‘যদি দেখেন, গত দুই থেকে তিনটি সিরিজে আমাদের বোলাররা সত্যিই ভালো করেছে। আমি সব বোলারদের জন্য খুবই দুঃখিত। কারণ, তারা সত্যিই ভালো কাজ করেছে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার কবরে শায়িত বিজ্ঞানী ও লেখক রেজাউর রহমান
বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ড. রেজাউর রহমান। গতকাল বুধবার তাঁকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদ কমপ্লেক্স কবরস্থানে বাবা ফজলুর রহমানের কবরে দাফন করা হয়। এর আগে বাদ আসর এই মসজিদে মরহুমের তৃতীয় জানাজা হয়।
ধানমন্ডির ১২/এ সড়কের তাকওয়া মসজিদে বাদ জোহর রেজাউর রহমানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এখানে মসজিদের মুসল্লিরা ছাড়াও মরহুমের আত্মীয়, সুহৃদ, অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ী, স্কুল–কলেজের সতীর্থদের অনেকে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পরে দাফনেও অংশ নিয়েছেন। জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, শিল্পী রফিকুন নবী, প্রাবন্ধিক মফিদুল হক, শিল্পী আবুল বার্ক্ আলভী, মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, প্রাণিবিজ্ঞানী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান, লেখক আনিসুল হকসহ কবি, শিল্পী, চিকিৎসকদের অনেকে।
প্রথম জানাজার পরে শেষবারের মতো রেজাউর রহমানের মরদেহ তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে আনা হয়। এখানে পরিবারের সদস্য, বিশেষত নারী আত্মীয়স্বজনসহ অনেকে শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে আসেন। বাসভবন ছেড়ে যাওয়ার আগে এখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা জানাজায় অংশ নেন। এরপর দাফনের জন্য মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদে আনা হয়।
রেজাউর রহমান ৮১ বছর বয়সে ২৬ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
আরও পড়ুনরেজাউর রহমানের চলে যাওয়া শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়…২৭ অক্টোবর ২০২৫ব্যক্তিগত জীবনে বিনয়ী ও সদাচারী ছিলেন রেজাউর রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। পরে ১৯৭৯ সালে চেক একাডেমি অব সায়েন্সেস-প্রাগ থেকে কীটতত্ত্বে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর কাজ করেছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে। পেশাগত জীবনে কীটপতঙ্গ নিয়ে দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন তিনি।
পেশাগতভাবে বিজ্ঞানী হলেও লেখক
হিসেবে রেজাউর রহমান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। দেশের বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট স্থানে। বিজ্ঞানে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সাহিত্যচর্চা ও বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি দেশের বিজ্ঞানচর্চার বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন রেজাউর রহমান।
আরও পড়ুনগ্রহান্তরে ভালো থাকবেন ড. রেজাউর রহমান২৮ অক্টোবর ২০২৫