ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদধারী ও পদবঞ্চিত নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থান অব্যাহত রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে একই সময়ে এক পক্ষ র‍্যালি এবং অন্য পক্ষ বিক্ষোভ ও মশালমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ কারণে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাগে বিভক্ত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নিয়ে দ্বন্দ্ব আরও বেড়েছে। এর এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। অন্য পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ওরফে ঝুনু।

২৩ অক্টোবর ফরিদপুর-১ আসনের আওতাধীন তিনটি উপজেলা ও তিনটি পৌরসভার মোট ১০১ সদস্যবিশিষ্ট ছয়টি কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি।

অভিযোগ উঠেছে, আলফাডাঙ্গার নবঘোষিত উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটিতে দলের ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের পদধারী ব্যক্তি ও বিএনএম নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি শামসুদ্দিন মিয়ার সমর্থকদেরও কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির একাংশের নেতারা।

খন্দকার নাসিরুল ইসলামের অনুসারীরা, অর্থাৎ নবগঠিত কমিটির পদপ্রাপ্তরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভিনন্দন জানিয়ে আজ বিকেল ৪টায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে ‘বর্ণাঢ্য র‍্যালি’ বের করার ঘোষণা দিয়েছেন।

অন্যদিকে শামসুদ্দিন মিয়ার অনুসারী পদবঞ্চিতরা শুরুতে আজ আলফাডাঙ্গায় হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। পরে গতকাল বুধবার বিকেলে তাঁরা হরতাল প্রত্যাহার করে নতুন কর্মসূচি হিসেবে বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সন্ধ্যায় মশালমিছিলের ঘোষণা দেন।

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও দলটির একাংশের নেতা খোশবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ এবং বাজার বণিক সমিতির অনুরোধে আমরা হরতাল প্রত্যাহার করেছি। তবে বিক্ষোভ মিছিল ও মশালমিছিল কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকবে। খন্দকার নাসির আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং কমিটি পুনর্গঠনের জন্য তিন দিন সময় চেয়েছেন। তবে দল পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।’

অন্যদিকে সংঘাতের আশঙ্কা নেই দাবি করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের অনুসারী আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, ‘সমস্যা যাতে না হয়, সে জন্য আলোচনা চলছে। আমরা আশা করছি, অন্য পক্ষ তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করবে অথবা আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে।’

দুটি পক্ষের একই সময়ে কর্মসূচির কারণে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জালাল বলেন, ‘দুই পক্ষের কর্মসূচির বিষয়ে আমরা অবগত। তাদের সঙ্গে কথা বলব। সংঘাত বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না ঘটে, সে চেষ্টা করা হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আলফ ড ঙ গ ব এনপ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আলফাডাঙ্গায় বিএনপির পদধারী ও পদবঞ্চিতদের আজ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, এলাকায় উত্তেজনা

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদধারী ও পদবঞ্চিত নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থান অব্যাহত রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে একই সময়ে এক পক্ষ র‍্যালি এবং অন্য পক্ষ বিক্ষোভ ও মশালমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ কারণে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাগে বিভক্ত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নিয়ে দ্বন্দ্ব আরও বেড়েছে। এর এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। অন্য পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ওরফে ঝুনু।

২৩ অক্টোবর ফরিদপুর-১ আসনের আওতাধীন তিনটি উপজেলা ও তিনটি পৌরসভার মোট ১০১ সদস্যবিশিষ্ট ছয়টি কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি।

অভিযোগ উঠেছে, আলফাডাঙ্গার নবঘোষিত উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটিতে দলের ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের পদধারী ব্যক্তি ও বিএনএম নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি শামসুদ্দিন মিয়ার সমর্থকদেরও কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির একাংশের নেতারা।

খন্দকার নাসিরুল ইসলামের অনুসারীরা, অর্থাৎ নবগঠিত কমিটির পদপ্রাপ্তরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভিনন্দন জানিয়ে আজ বিকেল ৪টায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে ‘বর্ণাঢ্য র‍্যালি’ বের করার ঘোষণা দিয়েছেন।

অন্যদিকে শামসুদ্দিন মিয়ার অনুসারী পদবঞ্চিতরা শুরুতে আজ আলফাডাঙ্গায় হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। পরে গতকাল বুধবার বিকেলে তাঁরা হরতাল প্রত্যাহার করে নতুন কর্মসূচি হিসেবে বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সন্ধ্যায় মশালমিছিলের ঘোষণা দেন।

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও দলটির একাংশের নেতা খোশবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ এবং বাজার বণিক সমিতির অনুরোধে আমরা হরতাল প্রত্যাহার করেছি। তবে বিক্ষোভ মিছিল ও মশালমিছিল কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকবে। খন্দকার নাসির আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং কমিটি পুনর্গঠনের জন্য তিন দিন সময় চেয়েছেন। তবে দল পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।’

অন্যদিকে সংঘাতের আশঙ্কা নেই দাবি করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের অনুসারী আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, ‘সমস্যা যাতে না হয়, সে জন্য আলোচনা চলছে। আমরা আশা করছি, অন্য পক্ষ তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করবে অথবা আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে।’

দুটি পক্ষের একই সময়ে কর্মসূচির কারণে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জালাল বলেন, ‘দুই পক্ষের কর্মসূচির বিষয়ে আমরা অবগত। তাদের সঙ্গে কথা বলব। সংঘাত বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না ঘটে, সে চেষ্টা করা হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ