আট বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে পদ পেয়েছেন মোট ৪২০ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে শাখা ছাত্রদলের এত বড় কমিটি হয়নি। এ কারণে একে ‘ঢাউস’ কমিটি বলছেন শিক্ষার্থীরা। আবার এ কমিটির করার ক্ষেত্রে সংগঠনটির গঠনতন্ত্রও মানা হয়নি।

গতকাল বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ছাত্রদলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে কমিটির এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো.

রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন এ তালিকায় সই করেন। চাকসুতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয়ী আয়ুবুর রহমান এ কমিটিতেও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যর আংশিক কমিটি প্রকাশ হয়েছিল। তবে চাকসু নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে অন্য প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ায় একজনকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্র। বাকি চার সদস্যর আংশিক কমিটিই এখন পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। সর্বশেষ সংগঠনটির শাখা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছিল ২০১৭ সালে। তখন সদস্য ছিল ২৪৩ জন। এরপর ২০২৩ সালে এ কমিটি বিলুপ্ত হয়।

শাখা ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র মতে কমিটির সদস্য থাকার কথা ৮১ জনের। তবে ঘোষিত কমিটির সংখ্যা গঠনতন্ত্রের পাঁচ গুণের বেশি। এতে ৫৫ জন সহসভাপতি, ৯২ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ৬৩ জন সহসাধারণ সম্পাদক, ৬৪ জন সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও ৬২ জন সদস্য পদে রয়েছেন। ৪২০ সদস্যর এ কমিটিতে ছাত্রী রয়েছেন মাত্র ১১ জন। কিন্তু সংগঠনটিতে ছাত্রী থাকার কথা ছিল অন্তত ১০ শতাংশ। সে হিসাবে ৪২০ সদস্যর অন্তত ৪২ জন ছাত্রী পদে থাকার কথা।

গঠনতন্ত্র না মেনে ‘ঢাউস’ কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির শাখা সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বহুদিন কমিটি না থাকায় সাংগঠনিকভাবে অনেককে মূল্যায়ন করতে হয়েছে, তাই সদস্যসংখ্যা এত বেশি। গত ১৫ বছর আমাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। সংগঠনের নেতাদের কারাগারে দেওয়া হতো, এ কারণে আগে কমিটি গোছানোর সুযোগ হয়ে ওঠেনি।’

ছাত্রীর সংখ্যা কম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, নারী সদস্য অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন। তবে নারীদের রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা কম। তবু যাঁরা স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন, আমরা তাঁদের সবাইকে গ্রহণ করেছি।’

গঠনতন্ত্র না মেনে কমিটি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা সভাপতি মো. আলাউদ্দিন মহসিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি।

কমিটিতে পদ পাওয়া চাকসুর এজিএস আয়ুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বহুদিন ধরে কমিটি না থাকায় আমাদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কিছুটা হতাশা ছিল। তবে চাকসুর পর নতুন কমিটি ঘোষণায় এখন সবার মধ্যে নতুন করে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। আমাদের কমিটি বিশাল হলেও আমরা বিশ্বাস করি, একসঙ্গে বসে শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করব।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গঠনতন ত র ছ ত রদল র স গঠনট র কম ট র এ কম ট স গঠন সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার

গাজীপুরের টঙ্গী থেকে নিখোঁজ টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মোহাম্মদ মোহেববুল্লাহ মিয়াজীকে পঞ্চগড় থেকে উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক হিন্দুধর্মীয় সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি তোলার পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা এ অভিযোগ করেছে। একই সঙ্গে এ অপপ্রচারের কারণে সংখ্যালঘু জনমনে উদ্বেগ ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রদায়িক বৈষম্য সৃষ্টিকারী অশুভ মহল বাংলাদেশকে সংখ্যালঘুশূন্য করার জন্য ভয়ংকর রূপে সাধারণ ধর্মপ্রাণ জনগণের মধ্যে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে ও প্রচারণা চালিয়ে উসকানি দিয়ে চলেছে। সাম্প্রদায়িক এসব জঘন্য অশুভ তৎপরতা সরকার ও প্রশাসনের নাকের ডগায় হলেও তারা রহস্যজনক নীরবতা পালন করে চলেছে এবং বেশির ভাগ সময়ে ঘটনাসমূহকে অস্বীকার করছে।’

এ অবস্থায় অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দেশব্যাপী সহিংসতা বন্ধ, হিন্দুদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার এবং ইসকনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে ঐক্যমোর্চা।

একই সঙ্গে সারা দেশের সর্বস্তরের গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, মানবিক জনগণ, গণমাধ্যমকর্মী ও রাজনৈতিক নেতাদের সাম্প্রদায়িক শক্তির চলমান মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশন, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন), মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট (প্রভাষ-পলাশ), বাংলাদেশ সনাতন পার্টিসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংগঠন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে মিনিটে ১ জনের মৃত্যু
  • কুকসু খসড়া গঠনতন্ত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক
  • মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় বাদীর ৫ বছর কারাদণ্ড
  • আল নাসরের বিদায়, ১৩টি টুর্নামেন্টে খেলেও শিরোপাহীন রোনালদো
  • গাজায় হামলায় নিহত ২০, বন্দির মরদেহ হস্তান্তর স্থগিত করল হামাস
  • গাজায় আবার তীব্র হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর
  • হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার
  • দেশে স্বর্ণের দামে বড় পতন, ভরিতে কমল ১০৪৭৪ টাকা
  • আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা শুরু হচ্ছে বৃহষ্পতিবার