টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আইসিসি ছড়িয়ে দেওয়ায় এমন অনেক দেশ এখন স্বীকৃত ম্যাচ খেলছে যা অনেকের ধারনারও বাইরে। তাই রেকর্ডের পাতা, অর্জনের ঝুলি নিয়মিতই ওলটপালট হচ্ছে।
২০২৪ সালের এসোয়াতিনি বনাম আইভরি কোস্টের ম্যাচটার কথাই চিন্তা করুন। আইভরি কোস্টের ইনিংসের ১০০ বলে কোনো রান হয়নি! কল্পনা করা যায়। ওই আসরে তারা আরেক ম্যাচে ৯৯ বল ডট খেলেছিল। এছাড়া স্বীকৃত ক্রিকেটে ৯০ এর ঘরে কেবল আরেকটি দেশই ডট বল খেলেছে। জাপানের বিপক্ষে মঙ্গোলিয়ার ডট বল ৯৪টি।
আরো পড়ুন:
২০২৬ আইপিএলের আগে নতুন হেড কোচ নিয়োগ দিল কেকেআর
শেষটায় কী অপেক্ষা করছে?
হঠাৎ ডট বল নিয়ে আলোচনা কেন? পেছনের কারণ, এই ডট বল এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটের মাথা ব্যথার বড় কারণ। সীমিত পরিসরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেই ডট বল ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গতকাল বাংলাদেশ যে ম্যাচ হেরেছে তার অন্যতম কারণ ডট বল। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিক ডট বল খেলায় ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যর্থ হয় ব্যাটসম্যানরা। স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারার ব্যর্থতায় এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বেশি ভোগাচ্ছে।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫০ বলে কোনো রান নিতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ম্যাচে যা ছিল ৪৮টি। এ তো গেল ঘরের মাঠে। কিছুদিন আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হওয়া সিরিজে তিন ম্যাচে ডট বল ছিল যথাক্রমে ১৬৯, ১১৫ (২৮.
গতকাল চট্টগ্রামে ম্যাচ হেরে ব্যাটিং ব্যর্থতার দায় নিয়ে তানজিদ হাসান ডট বল কমানোর তাগিদ দিলেন, ‘‘হয়তো আমাদের জন্য একটা খারাপ সময় যাচ্ছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে ওইভাবে ব্যাটসম্যানরা তৈরি করতে পারছি না। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, আমরা কীভাবে ধারাবাহিক হতে পারি এবং কীভাবে এই মাঝের ওভারগুলোতে আরও ডট বলের সংখ্যা কমিয়ে খেলাটাকে বড় করতে পারি। এটাই আমাদের সবাই মিলে খুঁজে বের করতে হবে।’’
ইনিংসের শুরু থেকে চার-ছক্কার বাড়তি চাপ নিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করতে পারছিলেন না ব্যাটসম্যানরা। বৃত্তের সুবিধায় সব ব্যাটসম্যানরাই চার-ছক্কার খোঁজে থাকেন। প্রতিপক্ষের ভালো আক্রমণে অনেক সময় বাউন্ডারি আদায় করা কঠিন হয়ে যায়। তখন স্ট্রাইক রোটেট একমাত্র ভরসা। তানজিদও সেই কথাই বললেন, ‘‘এই জায়গাটা যদি আমরা একটু ডট বলগুলো কমাতে পারতাম, তাহলে হয়তো আমাদের চাপটা একটু কম হতো। কিন্তু হয় নাই। এটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে যে, কীভাবে ডট বল আরও কম করে খেলাটাকে আগে নিয়ে যাওয়া যায়।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র য টসম
এছাড়াও পড়ুন:
ডট, ডট, ডট…
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আইসিসি ছড়িয়ে দেওয়ায় এমন অনেক দেশ এখন স্বীকৃত ম্যাচ খেলছে যা অনেকের ধারনারও বাইরে। তাই রেকর্ডের পাতা, অর্জনের ঝুলি নিয়মিতই ওলটপালট হচ্ছে।
২০২৪ সালের এসোয়াতিনি বনাম আইভরি কোস্টের ম্যাচটার কথাই চিন্তা করুন। আইভরি কোস্টের ইনিংসের ১০০ বলে কোনো রান হয়নি! কল্পনা করা যায়। ওই আসরে তারা আরেক ম্যাচে ৯৯ বল ডট খেলেছিল। এছাড়া স্বীকৃত ক্রিকেটে ৯০ এর ঘরে কেবল আরেকটি দেশই ডট বল খেলেছে। জাপানের বিপক্ষে মঙ্গোলিয়ার ডট বল ৯৪টি।
আরো পড়ুন:
২০২৬ আইপিএলের আগে নতুন হেড কোচ নিয়োগ দিল কেকেআর
শেষটায় কী অপেক্ষা করছে?
হঠাৎ ডট বল নিয়ে আলোচনা কেন? পেছনের কারণ, এই ডট বল এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটের মাথা ব্যথার বড় কারণ। সীমিত পরিসরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেই ডট বল ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গতকাল বাংলাদেশ যে ম্যাচ হেরেছে তার অন্যতম কারণ ডট বল। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিক ডট বল খেলায় ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যর্থ হয় ব্যাটসম্যানরা। স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারার ব্যর্থতায় এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বেশি ভোগাচ্ছে।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫০ বলে কোনো রান নিতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ম্যাচে যা ছিল ৪৮টি। এ তো গেল ঘরের মাঠে। কিছুদিন আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হওয়া সিরিজে তিন ম্যাচে ডট বল ছিল যথাক্রমে ১৬৯, ১১৫ (২৮.৩ ওভার) ও ১০৬ (২৭.১ ওভার)। ডট বলের এমন সামাজ্রের রেকর্ড আরো আছে বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৬৯ বল ডট খেলেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে সেই সংখ্যাটি ২২৯।
গতকাল চট্টগ্রামে ম্যাচ হেরে ব্যাটিং ব্যর্থতার দায় নিয়ে তানজিদ হাসান ডট বল কমানোর তাগিদ দিলেন, ‘‘হয়তো আমাদের জন্য একটা খারাপ সময় যাচ্ছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে ওইভাবে ব্যাটসম্যানরা তৈরি করতে পারছি না। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, আমরা কীভাবে ধারাবাহিক হতে পারি এবং কীভাবে এই মাঝের ওভারগুলোতে আরও ডট বলের সংখ্যা কমিয়ে খেলাটাকে বড় করতে পারি। এটাই আমাদের সবাই মিলে খুঁজে বের করতে হবে।’’
ইনিংসের শুরু থেকে চার-ছক্কার বাড়তি চাপ নিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করতে পারছিলেন না ব্যাটসম্যানরা। বৃত্তের সুবিধায় সব ব্যাটসম্যানরাই চার-ছক্কার খোঁজে থাকেন। প্রতিপক্ষের ভালো আক্রমণে অনেক সময় বাউন্ডারি আদায় করা কঠিন হয়ে যায়। তখন স্ট্রাইক রোটেট একমাত্র ভরসা। তানজিদও সেই কথাই বললেন, ‘‘এই জায়গাটা যদি আমরা একটু ডট বলগুলো কমাতে পারতাম, তাহলে হয়তো আমাদের চাপটা একটু কম হতো। কিন্তু হয় নাই। এটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে যে, কীভাবে ডট বল আরও কম করে খেলাটাকে আগে নিয়ে যাওয়া যায়।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল