‘বেহুলা নাচারি’ নিয়ে ‘বেহুলা দরদী’
Published: 31st, October 2025 GMT
২০১৭ সালের কথা। ঢাকার নাখালপাড়ায় বেড়ে ওঠা অভিনেত্রী সূচনা শিকদার গেলেন শ্বশুরবাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুরে। গ্রামে কিছুদিন থাকার পর জানতে পারেন, তাঁর স্বামীর পরিবারের সবাই একসময় টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী গীতিনাট্য বেহুলা নাচারির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই বেহুলা নাচারিতে নৃত্যের সঙ্গে গান পরিবেশন করা হতো, যা এখন প্রায় বিলুপ্তের পথে। সেই সময়ে শ্বশুর তাঁকে বেহুলা নাচারি এবং এই হারিয়ে যেতে বসা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে বলেন। কীভাবে তাঁরা এখনো কিছুটা টিকিয়ে রেখেছেন, তা জানান। প্রায় ২০০ বছর ধরে চলে আসা এই গীতিনাট্যের কথা শুনে ভালো লেগে যায় সূচনার।
বেহুলা নাচারিতে নৃত্যের সঙ্গে গান পরিবেশন করা হতো, যা এখন প্রায় বিলুপ্তের পথে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নাগেশ্বরীতে আগুনে পুড়ল ৮ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা বাজারে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে লাগা আগুনে আটটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে ৪২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, সার-তেল, বীজ ও কীটনাশক ব্যাবসায়ী অধির চন্দ্র সাহার ১৭ লাখ, একই পণ্যের ব্যাবসায়ী আমিনুল ইসলামের ১০ লাখ, কাকলী ট্রেডর্সের মালিক হাছেন আলীর ১০ লাখ, মুদি দোকান মালিক মমিনুল ইসলাম, সুপারি ব্যবসায়ী আতাউর ও ইব্রাহিমের ৩ লাখ, সেলুন মালিক ফনি চন্দ্র শীলের দেড় লাখ এবং মসলা ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর আলীর ৫০ হাজার টাকার মালমাল আগুনে পুড়ে গেছে।
আরো পড়ুন:
পাঁচ কোটি টাকা সংগ্রহে ব্রেইন স্টেশনের কিউআইও’র আবেদন
ই-জেনারেশনের ২.২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, “আজ ভোর পৌনে ৫টার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখি, বাজারের উত্তর পাশের একটি দোকানে আগুন জ্বলছে। মানুষজনকে ডাকাডাকি করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি।”
খাইরুল ইসলাম নামে অপর এক ব্যক্তি বলেন, “মূহূর্তেই আগুন অন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।”
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী আমিনুর রহমানের ছোট ভাই মমিনুল ইসলাম জানান, তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অধির চন্দ্র সাহার ছেলে প্রাণ চন্দ্র সাহা বলেন, “রাতে বাবা দোকন বন্ধ করে বাসায় ফেরেন। ভোরে মানুষের হৈচৈ শুনে বাজারে এসে দেখি, দোকানে আগুন জ্বলছে। আগুনে আমাদের ১৭ লাখ টাকা মালামাল পুড়ে গেছে।”
কেদার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়াম্যান আ.খ.ম ওয়াজিদুল কবীর রাশেদ বলেন, “ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। তাদরে একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে স্থানীয়রা আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেন।”
নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার সাইফুল ইসলাম জানান, বৈদ্যতিক শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করা হচ্ছে।
ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ
 বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে তিনি হয়েছিলেন ‘গুরু মা’
বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে তিনি হয়েছিলেন ‘গুরু মা’