গাজীপুরের রুমা বেগম পোশাককর্মী ছিলেন। দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর তিনি চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। কারণ, কারখানায় শিশু দেখাশোনার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। স্বামীর একার আয়ে সংসার চলছিল না। ছয় মাস পর পাশের একটি নতুন কারখানায় ডে–কেয়ার চালু হয়। রুমা আবার কাজে ফেরেন। এখন তাঁর মাসিক আয় বেড়েছে ৪০ শতাংশ, মানসিক চাপ কমেছে, আর তাঁর মেয়ের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিকাশ হচ্ছে সেই ডে–কেয়ারের সুষম খাবার, স্বাস্থ্যের পরিচর্যা ও শেখার পরিবেশে।

রুমার গল্প হাজারো মায়ের গল্প। যখন বিএনপি নারীকে কর্মে ফিরিয়ে আনতে ‘ডে–কেয়ার সর্বত্র’ নীতিকে সামনে আনছে, তখন ধর্মভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান নারীদের কাজের সময় আট থেকে পাঁচ ঘণ্টা করার প্রস্তাব দিচ্ছেন। প্রথমে এটি সহানুভূতিশীল মনে হলেও বাস্তবে এটি নারীদের আয় কমায়, পদোন্নতির সুযোগ সীমিত করে এবং শেষ পর্যন্ত কর্মক্ষেত্র থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়। এমন নীতি নারীর মর্যাদা নয়; বরং তাঁদের প্রান্তিক অবস্থাকে স্থায়ী করে।

শিশুপুষ্টি: ডে–কেয়ারের এক নীরব বিপ্লব

বাংলাদেশে পাঁচ বছরের নিচে প্রায় ২৫ শতাংশ শিশু খর্বাকৃতি (স্টানটেড) এবং এই হার দরিদ্র পরিবারের শিশুদের মধ্যে দ্বিগুণ। মায়েরা কর্মজীবনে থাকলেও যদি শিশুরা দিনে আট ঘণ্টা সুরক্ষিত, পরিচ্ছন্ন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ পরিবেশে থাকতে পারে, তাহলে এই অপুষ্টির চক্র ভাঙা সম্ভব। ডে–কেয়ারে শিশুরা নিয়মিত সুষম খাবার, হাত ধোয়া ও স্বাস্থ্যবিধির অভ্যাস, ওজন–উচ্চতা পর্যবেক্ষণ, এমনকি পুষ্টি শিক্ষার সুযোগ পায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দেশে মানসম্মত ডে–কেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে শিশুদের ওজন ও উচ্চতা দুটিই দ্রুত বৃদ্ধি পায়, স্কুলে ভর্তি ও শেখার সক্ষমতাও বাড়ে। বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে ৪০ শতাংশ মায়েরা কর্মজীবী, সেখানে ডে–কেয়ার শিশুপুষ্টি ও প্রারম্ভিক মেধার বিকাশে এক শক্তিশালী বিনিয়োগ।

নারীর কর্মজীবনে ফিরে আসা মানে জাতীয় অগ্রগতি

বাংলাদেশে মেয়েরা আজ শিক্ষায় অনেক এগিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এখন ছাত্রীদের উপস্থিতি ছাত্রদের প্রায় সমান। কিন্তু কর্মজীবনে সেই অগ্রগতি থমকে আছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৪ সালের শ্রমশক্তি জরিপ বলছে, পুরুষের ৮০ শতাংশের বিপরীতে মাত্র ৪৩ শতাংশ নারী শ্রমবাজারে সক্রিয়। অর্থাৎ দেশের অর্ধেকের বেশি মেধা ব্যবহার হচ্ছে না।

এর একটি বড় কারণ হলো সাশ্রয়ী ও নিরাপদ ডে–কেয়ার সেন্টারের অভাব। সন্তান জন্মের পর অনেক তরুণী মা কর্মজীবনে ফিরে যেতে পারেন না, আবার অনেক ছাত্রী পড়াশোনা অসমাপ্ত রাখেন। ফলে সম্ভাবনার এক বিশাল ভান্ডার ব্যবহারহীন থেকে যাচ্ছে।

বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি: ডে–কেয়ার মানে বিনিয়োগ, ব্যয় নয়

বিএনপি মনে করে, নারীর কর্মসংস্থান শুধু সামাজিক উন্নয়ন নয়, এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাবিকাঠি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে প্রণীত বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামতের কর্মসূচিতে তাই ‘ডে–কেয়ার সর্বত্র’ উদ্যোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস ও ৫০ জনের বেশি কর্মী থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোয় শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হবে।

শুধু শিশুর যত্ন নয়, সেখানে থাকবে পুষ্টি ও বিকাশ কর্মসূচি: প্রত্যেক শিশুকে দৈনিক পুষ্টিকর খাবার, ডিম–দুধ–বিস্কুট সরবরাহ; প্রতি মাসে ওজন ও উচ্চতা পর্যবেক্ষণ এবং স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে সংযুক্তি। এতে শিশুর পুষ্টি উন্নত হবে, মায়েরা নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারবেন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও দক্ষ ও সুস্থ নাগরিক হয়ে উঠবে।

বেসরকারি খাতকে উৎসাহ দিতে কর–প্রণোদনা ও সিএসআর–সুবিধা দেওয়া হবে। নিম্ন আয়ের কর্মীদের জন্য থাকবে সহনীয় ফি–ভিত্তিক মডেল। প্রশিক্ষিত কেয়ারগিভার, শিশুর পুষ্টি ও নিরাপত্তা মানদণ্ড এবং নিয়মিত তদারকি নিশ্চিত করা হবে।

ডে–কেয়ারের অর্থনৈতিক রিটার্ন

নারীরা কাজ করলে শুধু পরিবারের আয় বাড়ে না, দেশের জিডিপিও বাড়ে। হিসাব বলছে, শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ ১ শতাংশ বাড়লে প্রায় ৫ দশমিক ৭ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এবং বছরে ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা নতুন আয় যুক্ত হয়। ৩ শতাংশ বৃদ্ধি আনতে পারলে এই অঙ্ক দাঁড়াবে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকায়, যা দেশের জিডিপির প্রায় ১ শতাংশ।

ডে–কেয়ারের খরচ কম, লাভ বেশি। ঢাকায় গড়ে একটি ডে–কেয়ার পরিচালনায় প্রত্যেক শিশুর জন্য মাসিক খরচ প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। এটি কোনো প্রতিষ্ঠানের মোট বেতনের ১ শতাংশের কম। কিন্তু সুফল অসীম—কর্মী ধরে রাখা সহজ হয়, অনুপস্থিতি কমে, উৎপাদনশীলতা বাড়ে এবং প্রতিষ্ঠানের সুনামও বৃদ্ধি পায়।

‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’ মানে মানবিক বিনিয়োগ

তারেক রহমান বারবার বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’ মানে জনগণের মর্যাদা ও কল্যাণকে সর্বাগ্রে রাখা। শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র সেই মানবিক কল্যাণেরই প্রতিফলন। ডে–কেয়ার কোনো বিলাসিতা নয়, এটি কাজ, শিক্ষা ও পরিবার—এই তিন স্তম্ভকে একসূত্রে বাঁধার অবকাঠামো।

যে রাষ্ট্র মাকে কর্মে, সন্তানকে পুষ্টিতে ও পরিবারকে স্থিতিতে রাখে, সেই রাষ্ট্রই টেকসই ও আধুনিক। বিএনপি সেই রাষ্ট্র গঠনের পথেই এগোচ্ছে, যেখানে নারী হবে কর্মক্ষম, শিশু হবে পুষ্ট ও মেধাবী, আর বাংলাদেশ হবে মানবসম্পদে সমৃদ্ধ একটি আধুনিক রাষ্ট্র।

ড.

জিয়াউদ্দিন হায়দার চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), সাবেক সিনিয়র হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন স্পেশালিস্ট, বিশ্বব্যাংক

*মতামত লেখকের নিজস্ব

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ম পর ব র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ডে–কেয়ার সর্বত্র: নারী কর্মসংস্থান, শিশুপুষ্টি ও মানবসম্পদ উন্নয়নের চাবিকাঠি

গাজীপুরের রুমা বেগম পোশাককর্মী ছিলেন। দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর তিনি চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। কারণ, কারখানায় শিশু দেখাশোনার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। স্বামীর একার আয়ে সংসার চলছিল না। ছয় মাস পর পাশের একটি নতুন কারখানায় ডে–কেয়ার চালু হয়। রুমা আবার কাজে ফেরেন। এখন তাঁর মাসিক আয় বেড়েছে ৪০ শতাংশ, মানসিক চাপ কমেছে, আর তাঁর মেয়ের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিকাশ হচ্ছে সেই ডে–কেয়ারের সুষম খাবার, স্বাস্থ্যের পরিচর্যা ও শেখার পরিবেশে।

রুমার গল্প হাজারো মায়ের গল্প। যখন বিএনপি নারীকে কর্মে ফিরিয়ে আনতে ‘ডে–কেয়ার সর্বত্র’ নীতিকে সামনে আনছে, তখন ধর্মভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান নারীদের কাজের সময় আট থেকে পাঁচ ঘণ্টা করার প্রস্তাব দিচ্ছেন। প্রথমে এটি সহানুভূতিশীল মনে হলেও বাস্তবে এটি নারীদের আয় কমায়, পদোন্নতির সুযোগ সীমিত করে এবং শেষ পর্যন্ত কর্মক্ষেত্র থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়। এমন নীতি নারীর মর্যাদা নয়; বরং তাঁদের প্রান্তিক অবস্থাকে স্থায়ী করে।

শিশুপুষ্টি: ডে–কেয়ারের এক নীরব বিপ্লব

বাংলাদেশে পাঁচ বছরের নিচে প্রায় ২৫ শতাংশ শিশু খর্বাকৃতি (স্টানটেড) এবং এই হার দরিদ্র পরিবারের শিশুদের মধ্যে দ্বিগুণ। মায়েরা কর্মজীবনে থাকলেও যদি শিশুরা দিনে আট ঘণ্টা সুরক্ষিত, পরিচ্ছন্ন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ পরিবেশে থাকতে পারে, তাহলে এই অপুষ্টির চক্র ভাঙা সম্ভব। ডে–কেয়ারে শিশুরা নিয়মিত সুষম খাবার, হাত ধোয়া ও স্বাস্থ্যবিধির অভ্যাস, ওজন–উচ্চতা পর্যবেক্ষণ, এমনকি পুষ্টি শিক্ষার সুযোগ পায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দেশে মানসম্মত ডে–কেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে শিশুদের ওজন ও উচ্চতা দুটিই দ্রুত বৃদ্ধি পায়, স্কুলে ভর্তি ও শেখার সক্ষমতাও বাড়ে। বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে ৪০ শতাংশ মায়েরা কর্মজীবী, সেখানে ডে–কেয়ার শিশুপুষ্টি ও প্রারম্ভিক মেধার বিকাশে এক শক্তিশালী বিনিয়োগ।

নারীর কর্মজীবনে ফিরে আসা মানে জাতীয় অগ্রগতি

বাংলাদেশে মেয়েরা আজ শিক্ষায় অনেক এগিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এখন ছাত্রীদের উপস্থিতি ছাত্রদের প্রায় সমান। কিন্তু কর্মজীবনে সেই অগ্রগতি থমকে আছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৪ সালের শ্রমশক্তি জরিপ বলছে, পুরুষের ৮০ শতাংশের বিপরীতে মাত্র ৪৩ শতাংশ নারী শ্রমবাজারে সক্রিয়। অর্থাৎ দেশের অর্ধেকের বেশি মেধা ব্যবহার হচ্ছে না।

এর একটি বড় কারণ হলো সাশ্রয়ী ও নিরাপদ ডে–কেয়ার সেন্টারের অভাব। সন্তান জন্মের পর অনেক তরুণী মা কর্মজীবনে ফিরে যেতে পারেন না, আবার অনেক ছাত্রী পড়াশোনা অসমাপ্ত রাখেন। ফলে সম্ভাবনার এক বিশাল ভান্ডার ব্যবহারহীন থেকে যাচ্ছে।

বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি: ডে–কেয়ার মানে বিনিয়োগ, ব্যয় নয়

বিএনপি মনে করে, নারীর কর্মসংস্থান শুধু সামাজিক উন্নয়ন নয়, এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাবিকাঠি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে প্রণীত বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামতের কর্মসূচিতে তাই ‘ডে–কেয়ার সর্বত্র’ উদ্যোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস ও ৫০ জনের বেশি কর্মী থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোয় শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হবে।

শুধু শিশুর যত্ন নয়, সেখানে থাকবে পুষ্টি ও বিকাশ কর্মসূচি: প্রত্যেক শিশুকে দৈনিক পুষ্টিকর খাবার, ডিম–দুধ–বিস্কুট সরবরাহ; প্রতি মাসে ওজন ও উচ্চতা পর্যবেক্ষণ এবং স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে সংযুক্তি। এতে শিশুর পুষ্টি উন্নত হবে, মায়েরা নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারবেন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও দক্ষ ও সুস্থ নাগরিক হয়ে উঠবে।

বেসরকারি খাতকে উৎসাহ দিতে কর–প্রণোদনা ও সিএসআর–সুবিধা দেওয়া হবে। নিম্ন আয়ের কর্মীদের জন্য থাকবে সহনীয় ফি–ভিত্তিক মডেল। প্রশিক্ষিত কেয়ারগিভার, শিশুর পুষ্টি ও নিরাপত্তা মানদণ্ড এবং নিয়মিত তদারকি নিশ্চিত করা হবে।

ডে–কেয়ারের অর্থনৈতিক রিটার্ন

নারীরা কাজ করলে শুধু পরিবারের আয় বাড়ে না, দেশের জিডিপিও বাড়ে। হিসাব বলছে, শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ ১ শতাংশ বাড়লে প্রায় ৫ দশমিক ৭ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এবং বছরে ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা নতুন আয় যুক্ত হয়। ৩ শতাংশ বৃদ্ধি আনতে পারলে এই অঙ্ক দাঁড়াবে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকায়, যা দেশের জিডিপির প্রায় ১ শতাংশ।

ডে–কেয়ারের খরচ কম, লাভ বেশি। ঢাকায় গড়ে একটি ডে–কেয়ার পরিচালনায় প্রত্যেক শিশুর জন্য মাসিক খরচ প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। এটি কোনো প্রতিষ্ঠানের মোট বেতনের ১ শতাংশের কম। কিন্তু সুফল অসীম—কর্মী ধরে রাখা সহজ হয়, অনুপস্থিতি কমে, উৎপাদনশীলতা বাড়ে এবং প্রতিষ্ঠানের সুনামও বৃদ্ধি পায়।

‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’ মানে মানবিক বিনিয়োগ

তারেক রহমান বারবার বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’ মানে জনগণের মর্যাদা ও কল্যাণকে সর্বাগ্রে রাখা। শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র সেই মানবিক কল্যাণেরই প্রতিফলন। ডে–কেয়ার কোনো বিলাসিতা নয়, এটি কাজ, শিক্ষা ও পরিবার—এই তিন স্তম্ভকে একসূত্রে বাঁধার অবকাঠামো।

যে রাষ্ট্র মাকে কর্মে, সন্তানকে পুষ্টিতে ও পরিবারকে স্থিতিতে রাখে, সেই রাষ্ট্রই টেকসই ও আধুনিক। বিএনপি সেই রাষ্ট্র গঠনের পথেই এগোচ্ছে, যেখানে নারী হবে কর্মক্ষম, শিশু হবে পুষ্ট ও মেধাবী, আর বাংলাদেশ হবে মানবসম্পদে সমৃদ্ধ একটি আধুনিক রাষ্ট্র।

ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), সাবেক সিনিয়র হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন স্পেশালিস্ট, বিশ্বব্যাংক

*মতামত লেখকের নিজস্ব

সম্পর্কিত নিবন্ধ