একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আগে কখনো হয়নি দেশে, ফলে মানুষের বিভ্রান্তি হতে পারে ধরে নিয়ে তা বোঝানোর উদ্যোগ নিয়েছে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর। ‘হ্যাঁ/না’ ভোট বোঝাতে জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি নির্বাচনে কী করা যায়, কী করা যায় না, তা বোঝানো হবে গানে গানে।

ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ বুধবার মাঠপর্যায়ের প্রচার কৌশল সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিতে জেলা তথ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে এক সভায় এই তথ্য জানানো হয়।

এ সভায় বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন বা গ্রাম পর্যন্ত তৃণমূল পর্যায়ে জনগণকে অবহিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে তথ্য কর্মকর্তারা এই চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করবেন বলেই তিনি আশাবাদী।

অনুষ্ঠানে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.

আবদুল জলিল বলেন, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধির সঙ্গে সমন্বয় করে ৩৪টি গান প্রস্তুত করা হয়েছে। এগুলো আঞ্চলিক ভাষায় গেয়ে নির্দিষ্ট অঞ্চলে পরিবেশন করা হবে। গ্রামের হাটবাজারে কেমন করে ‘হ্যাঁ/না’ ভোট দিতে হয়, তার ডেমো জনগণকে দেখানো হবে।

ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত এই সভায় মাঠপর্যায়ের কৌশল সম্পর্কে দিকনির্দেশনা পেতে যুক্ত হন অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের ৬৮টি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়াতে জনমুখী ও উদ্ভাবনী প্রচার কৌশল নিতে জেলা তথ্য কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন মাহবুবা ফারজানা। আজ থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করার জন্য জেলা তথ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।

তথ্যসচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী, অতীতের সব নির্বাচনের চেয়ে স্বতন্ত্র ও অভূতপূর্ব নির্বাচন হতে যাচ্ছে আগামী নির্বাচন। এ নির্বাচনে জেলা তথ্য অফিসগুলো ব্যাপক জনসংযোগ বা জনমত গঠনের মূল দায়িত্ব পালন করবে।

নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে কাজ করবে বলে জানান সচিব মাহবুবা ফারজানা। তিনি বলেন, গুজব ও ফ্যাক্ট চেকিংয়ের জন্য পিআইবির নেতৃত্বে বাংলা ফ্যাক্টের সঙ্গে তথ্য কর্মকর্তাদের সংযোগ স্থাপন করে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তথ্য কর্মকর্তাদের একটি ইনোভেটিভ টিম হিসেবে কাজ করতে হবে। জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গেও সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম, যুগ্ম সচিব মাহফুজা আখতার, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এবং সৈয়দ এ মু’মেন বক্তব্য দেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর য য় ম হব ব

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রাম আদালতে ছোট মামলাগুলো নিস্পত্তি হলে আদালতে মামলা জট কমবে : ডিসি রায়হান

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির বলেছেন, দেশে আদালতগুলোতে লাখ লাখ মামলা পেন্ডিং রয়েছে। যে কারণে গ্রামের ছোট ছোট মামলাগুলো গ্রাম আদালতে নিস্পত্তি করা গেলে আদালতে মামলা জট অনেক কমবে।

নারায়ণগঞ্জে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সারাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় তিনি গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করে বলেন, গ্রাম আদালত থাকলে পক্ষ পাতিত্ব কম হবে। সঠিক প্রক্রিয়ায় বিচার না হলে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আসবে। ছোট-খাটো ঘটনা ঘটলে আমরা থানায় চলে যাই। যে বিষয়ে যাই থানাও জানেনা এটা গ্রাম আদালতে বিচার করা সম্ভব। 

তিনি আরও বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান হবেন গ্রাম আদালতের বিচারক। তিনি না থাকলে যে মেম্বার যোগ্য বেশী তিনিও গ্রাম আদালতের বিচারক হতে পারবেন। গ্রাম আদালত সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকার রায় দিতে পারবে। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। ব্যাপব প্রচারণা করতে হবে। 

নাঈমা ইসলাম, ডিডিএলজি (ভারপ্রাপ্ত) এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, তারিক আল মেহেদী সহকারী পুলিশ সুপার, ডা. মেহেদি হাসান সিভিল সার্জন কার্যালয়, মোঃ আসাদুজ্জামান উপ পরিচালক সমাজসেবা অধিদপ্তরের, কামরুজ্জামান রোমান জেলা তথ্য কর্মকর্তা, টি. এম. রাহসিন কবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার, হাসিনা মমতাজ উপ পরিচালক যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, ভিকারুননেছা, উপ পরিচালক মহিলা অধিদপ্তর। 

কর্মশালায় নারায়ণগঞ্জ জেলার জুলাই ২০২৪ জুন ২০২৫ গ্রাম আদালতের কার্যক্রমের অগ্রগতি ও পর্যালোচনা এবং করণীয় বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন জেলা ব্যবস্থাপক ফিরোজা বেগম ঝুমুর। 

গ্রাম আদালত নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার টি. এম রাহসিন কবির। এ সময় তিনি গ্রাম আদালত গঠন, কর্মপরিধি, জরিমানা ও এ আদালত কিভাবে জনগনের সহায়তা করতে পারেন বিশদ বর্ননা দেন। 

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন- গ্রীন ফর পীচের চেয়ারম্যান আরিফ মিহির, প্রভাত সমাজ কল্যান সংসদের চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার দাস, নারায়ণগঞ্জ জেলা রির্পোটার্স ইউনিটির সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ্ রাসেল, দেশ রূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি শরীফ সুমন, দি নিউ নেশন পত্রিকার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মোশতাক আহমেদ শাওন, মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আজমীর ইসলাম, ঢাকা নিউজের সম্পাদক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, আজকের নীর বাংলার বার্তা সম্পাদক আনিসুল হক হীরা, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ বিভিন্ন এনজিও এবং প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও গতিশীল করতে কর্মশালা 
  • গ্রাম আদালতে ছোট মামলাগুলো নিস্পত্তি হলে আদালতে মামলা জট কমবে : ডিসি রায়হান