আমার বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার আছে। আমি যখন ইতিবাচক থাকি, মনে হয় যে আমি একাই বিশ্বটা ঠিক করে ফেলতে পারব। আবার কিছুক্ষণ পরেই মনে হয়, আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। ডুবে যাচ্ছি, সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। সমস্যা হলো, ৯ মাস ধরে আমি এই অবস্থার ভেতর দিয়েই যাচ্ছি। জুলাই আন্দোলনে আমি ঘরে, বাইরে, রাস্তায় সবখান থেকে ছাত্রদের সমর্থন করেছি। ছাত্র-জনতার সঙ্গেই ছিলাম। দেশটাকে নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছে। ভেতরে ভেতরে প্রচণ্ড অস্থিরতা কাজ করে। ঘর থেকে বের হই না। কারও সঙ্গে কথা বলি না। প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা হয়। সবকিছু নিয়ে অনিশ্চয়তা কাজ করে। হাত-পা কাঁপে, রাতে ঘুম হয় না। ইটিং ডিজঅর্ডারে গত ৯ মাসে আমার ১৭ কেজি ওজন বেড়েছে।

তবে একটু একটু করে আমি সেরেও উঠছি, ফিরছি। এই যাত্রায় আমার হাত ধরে রেখেছে আমার মেয়ে। এ ছাড়া এক দশক ধরে আমার বাসায় কাজের সাহায্যকারী হালিমা বেগম, বিভিন্ন বয়সের কিছু কাছের বন্ধু আর আমার থেরাপিস্ট ডা.

রেহানূর ইসলামও এই যাত্রায় আমার সঙ্গে আছেন। দিনে তিনটা করে অবসাদ–নিরাময়ী (অ্যান্টি-ডিপ্রেসান্ট) ওষুধ খাচ্ছি। জিমে যাচ্ছি। আমাকে ওজন ঝরাতে সাহায্য করছেন ডায়েটিশিয়ান ডা. তামান্না। এসবের অনুপ্রেরণা হিসেবে রয়েছে একটা কাজ। অনেক আগে একজন পরিচালকের সঙ্গে কাজটার ব্যাপারে আলাপ হয়েছিল। তারপর বছর কেটে গেছে। কয়েক দিন আগে ফোন করে আমাকে তৈরি হতে বললেন। আমি আবার নতুন করে নিজের সেরাটা দিয়ে ফেরার জন্য তৈরি হচ্ছি। সব মিলিয়ে আমি হয়তো আবার বেঁচে উঠব।

মেয়ের সঙ্গে বাঁধন

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে সালিস বৈঠকে অংশ নিলে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি

পটুয়াখালীতে স্থানীয় পর্যায়ে সালিস বৈঠকে অংশ নিলে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ওই বিজ্ঞপ্তির কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সম্প্রতি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী সালিস বৈঠকে অংশ নিয়ে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা এ বিষয়ে ফেসবুকে নানা মন্তব্য তুলে ধরে ক্ষোভ জানিয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জেলা বিএনপি এই বিজ্ঞপ্তি দেয়।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান টোটন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন। সংকটময় মুহূর্ত আসছে, তাই দলীয় নেতা-কর্মীরা যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনায় না জড়ান, তাই তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে।’

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামী সংগঠন। এই দলের প্রত্যেক কর্মী জনগণের আস্থার প্রতীক এবং আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রণী সৈনিক। তাই দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখা ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জেলা বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কোনো নেতা-কর্মী স্থানীয় পর্যায়ে কোনো প্রকার সালিস, দাঙ্গা-ফ্যাসাদ বা পক্ষপাতদুষ্ট এবং মধ্যস্থতাকারী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না।

একই সঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মসূচি এবং জনগণের পাশে থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নেতা-কর্মীদের সদা হাস্যোজ্জ্বল, ভদ্র ও অমায়িক আচরণমুখী হতে বলা হয়েছে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ