ফরিদপুর সদরের গেরদা এলাকার রাজবাড়ী-ভাঙ্গা রেলপথে দুর্ঘটনায় আহত চা দোকানি শেখ জিন্নাত (৫৯) মারা গেছেন। রাজধানীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয়।

শেখ জিন্নাত গেরদা ইউনিয়নের কাফুরা এলাকার বাসিন্দা। রেললাইনের পাশে চায়ের একটি দোকান চালাতেন তিনি। এর আগে ৭ জানুয়ারি দুপুরে গেরদা এলাকার রাজবাড়ী-ভাঙ্গা রেলপথে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত হন। আহত হন জিন্নাতসহ চারজন। নিহত ব্যক্তিরা নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও জিন্নাতের স্বজনরা জানান, দুর্ঘটনার আগে মাইক্রোবাসটিকে রাস্তার পাশে থেকে থামার সংকেত দিচ্ছিলেন জিন্নাত। কিন্তু চালক বিষয়টি লক্ষ্য না করেই অরক্ষিত গেরদা রেল ক্রসিংয়ে উঠে পড়েন। মাইক্রোবাসটি ট্রেনের ধাক্কায় পাশের খাদে পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। গাড়ির সামনের ভারী কাচ ভেঙে জিন্নাতের বুকে আঘাত করে। এতে তাঁর ছয়টি হাড় ভেঙে যায়। কাচের টুকরো পেটে ঢুকে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উদ্ধার করে তাঁকে প্রথমে ভর্তি করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৮ জানুয়ারি রাজধানীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক।

জিন্নাতের বড় ছেলে শামীম শেখ জানান, তাঁর বাবাকে স্থানান্তর করা হলেও প্রথমে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানেও ভর্তি করতে পারেননি। এর পর দু’দিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এর মধ্যে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছিল পরিবার। শনিবার রাত ১০টার দিকে সেখানে জিন্নাতকে ভর্তি করা হয়। ঘণ্টা দুয়েক পর রাত ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে আবারও বিমান বিপর্যয়, পাইলটের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন ২৫০ হজযাত্রী

ভারতের লখনৌতে অবতরণের সময় সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ল্যান্ডিংয়ের পরই বিমানের বাঁ দিকের চাকা থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে, দেখা যায় স্ফুলিঙ্গও। পাইলটের তৎপরতায় নিরাপদভাবে ২৫০ জনকে নামানো হয় লখনৌয়ে।

রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এসভি-৩১১২ শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে জেদ্দা থেকে রওনা দেয়। রোববার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বিমানটি লখনৌয়ের চৌধুরি চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরনের কথা রয়েছে। 

বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, অবতরণের ঠিক পরপরই বিমানের বাঁ দিকের চাকায় ধোঁয়া এবং আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে পাইলট বিপদ সংকেত পাঠান কন্ট্রোল রুমে। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে বিমানটিকে রানওয়ে থেকে সরিয়ে আনা হয় ট্যাক্সিওয়েতে।

তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিমানবন্দরের এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম। ফোম ও জল ব্যবহার করে ২০ মিনিটের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয় পরিস্থিতি। এরপর একে একে বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয় সব যাত্রী ও কর্মীদের। সৌভাগ্যবশত, কারো কোনো চোট লাগেনি।

তদন্তে জানা যায়, বিমানের হুইল অ্যাসেম্বলিতে আচমকা হাইড্রলিক তরল লিক করায় অতিরিক্ত ঘর্ষণে বেশি তাপ তৈরি হয়েছিল। সেটাই ধোঁয়া ও স্ফুলিঙ্গের কারণ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সমস্যা যদি উড়া চলাকালীন বা টেক-অফের সময় ঘটত, তাহলে বড় বিপদ হতে পারত।

ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ালেও পাইলটের দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইটটি হাজযাত্রীদের নিয়ে জেদ্দা থেকে এসেছিল এবং খালি অবস্থায় সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ