দুর্ঘটনা ঠেকাতে চাওয়া জিন্নাত চলে গেলেন
Published: 12th, January 2025 GMT
ফরিদপুর সদরের গেরদা এলাকার রাজবাড়ী-ভাঙ্গা রেলপথে দুর্ঘটনায় আহত চা দোকানি শেখ জিন্নাত (৫৯) মারা গেছেন। রাজধানীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয়।
শেখ জিন্নাত গেরদা ইউনিয়নের কাফুরা এলাকার বাসিন্দা। রেললাইনের পাশে চায়ের একটি দোকান চালাতেন তিনি। এর আগে ৭ জানুয়ারি দুপুরে গেরদা এলাকার রাজবাড়ী-ভাঙ্গা রেলপথে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত হন। আহত হন জিন্নাতসহ চারজন। নিহত ব্যক্তিরা নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও জিন্নাতের স্বজনরা জানান, দুর্ঘটনার আগে মাইক্রোবাসটিকে রাস্তার পাশে থেকে থামার সংকেত দিচ্ছিলেন জিন্নাত। কিন্তু চালক বিষয়টি লক্ষ্য না করেই অরক্ষিত গেরদা রেল ক্রসিংয়ে উঠে পড়েন। মাইক্রোবাসটি ট্রেনের ধাক্কায় পাশের খাদে পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। গাড়ির সামনের ভারী কাচ ভেঙে জিন্নাতের বুকে আঘাত করে। এতে তাঁর ছয়টি হাড় ভেঙে যায়। কাচের টুকরো পেটে ঢুকে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উদ্ধার করে তাঁকে প্রথমে ভর্তি করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৮ জানুয়ারি রাজধানীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক।
জিন্নাতের বড় ছেলে শামীম শেখ জানান, তাঁর বাবাকে স্থানান্তর করা হলেও প্রথমে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানেও ভর্তি করতে পারেননি। এর পর দু’দিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এর মধ্যে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছিল পরিবার। শনিবার রাত ১০টার দিকে সেখানে জিন্নাতকে ভর্তি করা হয়। ঘণ্টা দুয়েক পর রাত ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৬ বছর বুটেক্সে ক্যারিয়ার ফেয়ার অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) গতকাল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ক্যারিয়ার ফেয়ার-২০২৫’।
দীর্ঘ ছয় বছর পর এবারের ক্যারিয়ার ফেয়ার আয়োজন করে বুটেক্স ক্যারিয়ার ক্লাব। পাশাপাশি আয়োজনে সহযোগিতা করে ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস্টস (আইটিইটি)। এবারের আয়োজনে দেশের নানা শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিল্প খাতের প্রতিনিধিদের সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করাই ছিল এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক মো. জুলহাস উদ্দিন জব ফেয়ার উদ্বোধন করেন। এরপর হাতে সিভি নিয়ে শিক্ষার্থীর ভিড়ে মুখর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টলে গিয়ে করপোরেট প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং চাকরি ও ইন্টার্নশিপের সুযোগ সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৩ ঘণ্টা আগেপ্রায় ২৫টি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান অংশ নেয় ফেয়ারে। এর মধ্যে ছিল ডেকো ইশো গ্রুপ, ফকির অ্যাপারেলস, মাসকো গ্রুপ, ডেকাথলন বাংলাদেশ, ব্যাবিলন গ্রুপ, এসজিএস বাংলাদেশ, ঊর্মি গ্রুপ, স্টার্লিং স্টাইলস, নিট এশিয়া, হা-মীম গ্রুপ, স্নোটেক্স, এপিলিয়ন গ্রুপ, ব্র্যাক ক্যারিয়ার হাব, ভিয়েলাটেক্স, ফ্যাশন স্টেপ গ্রুপ, ডাইসিন, কালারটেক্স ও ফকির নিটওয়্যারস লিমিটেড। অন-স্পট নিয়োগও দেয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষার্থীরা জানান, এ ধরনের আয়োজন তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং করপোরেট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ দেয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, এ ধরনের আয়োজন আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং করপোরেট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ দেয়