Samakal:
2025-08-01@21:55:21 GMT

শীতেও চাই সানস্ক্রিন

Published: 14th, January 2025 GMT

শীতেও চাই সানস্ক্রিন

শীতকালে ত্বকের যত্নের ধরনেও পরিবর্তন আসে। অনেকে মনে করেন শীতকালে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। কারণ সূর্যের তাপ কম থাকে। এটি ভুল ধারণা। শীতেও সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এ কারণে শীতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের গুরুত্ব কম নয় বরং বছরের প্রতিটি সময়ের মতোই অপরিহার্য।
রাজিয়া’স মেকওভারের স্বত্বাধিকারী রাজিয়া সুলতানা জানান, শীতে ত্বক যেহেতু শুষ্ক থাকে, তাই সানবার্ন বেশি হয়। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা খুবই জরুরি। কেউ যদি মনে করেন, ঘরে থাকলে সানস্ক্রিনের প্রয়োজন নেই, এটিও ভুল। কারণ ঘর হোক বা অফিস, আমাদের অতিমাত্রায় বৈদ্যুতিক বাতির সামনে থাকতে হয়। এ সময়েও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। 
রাতে ঘুমানোর আগে মুখে হেভি ময়েশ্চারাইজার বা নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। দিনের বেলায় সানস্ক্রিনের পাশাপাশি হালকা ময়েশ্চারাইজারও ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন এ রূপবিশেষজ্ঞ।  আপনার ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো সেটি দেখে নেবেন। 
শীতে সানস্ক্রিন কেন জরুরি
শীতকালে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও সূর্যের ইউভি-এ এবং ইউভি-বি রশ্মি মেঘ ভেদ করে পৌঁছে যায়। ইউভি রশ্মি ত্বকের পিগমেন্টেশন, ব্রণের দাগ এবং বার্ধক্যের লক্ষণ বাড়াতে পারে। তাছাড়া দীর্ঘমেয়াদে এটি ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়। সানস্ক্রিন ব্যবহারের মাধ্যমে এইক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
বার্ধক্যের লক্ষণ প্রতিরোধে 
শীতের সময় শুষ্ক আবহাওয়া ত্বককে রুক্ষ এবং প্রাণহীন করে তোলে। এর সঙ্গে সূর্যের ইউভি রশ্মি যোগ হলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায় এবং বলিরেখা বা ফাইন লাইনস দেখা দেয়। এ সময় সানস্ক্রিন ব্যবহারের পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
ঠোঁটের সুরক্ষায়
শীতকালে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায় এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ঠোঁটের সূক্ষ্ম ত্বকে ক্ষতি করতে পারে। ঠোঁটের কালচে ভাব ও শুষ্কতা রোধে লিপ বাম বা সানস্ক্রিনযুক্ত লিপ কেয়ার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এসপিএফ যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন। বাইরে যাওয়ার আগে ঠোঁটকে আর্দ্র রাখুন।
অসমতা দূর 
ইউভি রশ্মি ত্বকের মেলানিন উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে ত্বকে দাগ, ফাটা চামড়া এবং রঙের অসমতা দেখা দেয়। শীতকালেও সানস্ক্রিন নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের রঙের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় থাকে। শীতে অনেকে ভ্রমণ বা পাহাড়ে বেড়াতে যান। সমুদ্র-পাহাড়-সমতল যেখানেই যান না কেন, সঙ্গে সানস্ক্রিন রাখুন। নয়তো ত্বকে অসম দাগ পড়তে পারে।  
মেকআপের সঙ্গে সানস্ক্রিন 
যারা মেকআপ করেন, তারা সানস্ক্রিন বেস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি মেকআপকে দীর্ঘস্থায়ী করে এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। অনেকেই মনে করেন, শীতকালে ময়েশ্চারাইজার বা ফাউন্ডেশনে এসপিএফ থাকলেই সানস্ক্রিনের প্রয়োজন নেই। তবে এটি যথেষ্ট নয়। শুধু সানস্ক্রিনই ইউভি রশ্মি থেকে পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারে।
সানস্ক্রিন ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
বাইরে বের হওয়ার অন্তত ১৫-২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখুন। মুখের পাশাপাশি ঘাড়, কান, হাত, পা এবং অন্য যেসব অংশ সূর্যের সংস্পর্শে আসে সেসব স্থানে সানস্ক্রিন লাগান। পানি প্রতিরোধী সানস্ক্রিন বেছে নিন, বিশেষ করে যারা বাইরে কাজ করেন বা ঘাম ঝরান। সকালে একবার লাগানোর পর দিনের বাকি সময়ে প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর আবার লাগানোর চেষ্টা করুন।
উপযুক্ত সানস্ক্রিন নির্বাচন
শীতকালে এমন সানস্ক্রিন বেছে নেওয়া উচিত, যা ত্বককে শুষ্ক না করে। ময়েশ্চারাইজিং গুণসম্পন্ন সানস্ক্রিন শীতের শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি যুক্ত সানস্ক্রিন নির্বাচন করুন। এও নিশ্চিত করুন যে এটি ইউভি-এ ও ইউভি-বি থেকে সুরক্ষা দেয়। v

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’

সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অনাহারে মৃত্যু ১৫৪

গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।

গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।

বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।

গাজায় স্টিভ উইটকফ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ