যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একে অপরকে পুরোনো বন্ধুর মতো অভিনন্দন জানালেন। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার এলমেনডর্ফ–রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে তাদের এই অভ্যর্থনাকে উষ্ণ বললে কিছুটা খাটো করা হবে।

দুই নেতা করমর্দন করলেন এবং একে অন্যের বাহু স্পর্শ করলেন, যেন প্রকাশ্যে পরস্পরের প্রতি আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য বিশ্বের অনেক দেশে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিবেচিত হলেও পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রেখেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমন্ত্রণে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতে তাঁকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে।

যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেন থেকে শত শত শিশুকে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি)।

তবে রাশিয়া যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিষ্ঠার চুক্তিতে সই না করা ক্রেমলিন ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে অকার্যকর আখ্যায়িত করে আসছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা জোরেশোরে বলে আসছেন। সম্প্রতি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ না করলে মস্কোকে পরিণতি ভোগ করতে হবে। অবশ্য তেমন কিছু এখনো করেননি তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ