জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যেসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে পর্যায়ক্রমে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেককে ধরা হয়েছে। প্রতিদিনই দু-একজনকে ধরা হচ্ছে। 

বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে এমন পুলিশ সদস্যদেরও বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে বদলি ও পদায়ন করা হচ্ছে। তাদের গ্রেপ্তার না করার কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, একদিনই তো আর সবাইকে ধরা সম্ভব না। ভিডিও ফুটেজ দেখে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে আইনের হাতে নিয়ে আসা হবে। 

এ সময় তিনি বলেন, আনসার সদস্যদের দীর্ঘদিনের ছুটি নিয়ে যে দাবি ছিল। সেই ছুটি এখন থেকে আর থাকছে না। কোন সদস্যকেই এখন থেকে আর বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে না।

তিনি জানান, প্রায় ৬১ লাখ সদস্যের এই বাহিনী দেশের যেকোনো মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। এই বাহিনীর সদস্যদের আরও কিভাবে প্রশিক্ষিত করে কাজে লাগানো যায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সবাইকে ডাটাবেজের আওতায় নিয়ে আসা যায় কিনা সেটা নিয়েও কথা হয়েছে। 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আজকে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদরদপ্তর পরিদর্শন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে- বাহিনীর সমস্যাগুলো জানা। বাহিনীকে আরও কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় এ বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়েছে। আনসার সব বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে যেকোনো দুর্যোগে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া পূজার সময় আনসারের ভূমিকা প্রশংসনীয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আনস র ও ভ ড প সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

গণবিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে মিষ্টি বিতরণ এবং প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করেছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদামতলায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর এবং মিষ্টি বিতরণ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। 

ফাঁসি কার্যকর ও মিষ্টি বিতরণ কর্মসূচিতে গকসুর কেন্দ্রীয় নেতা এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে দেখা যায়।

উপস্থিত শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে দীর্ঘ ১৭ বছর এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অত্যাচারীত এবং নিপীড়িত সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মুনিয়া রহমান বলেন, “আমাদের ক্যাম্পাসে হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে এতে আমরা খুশি। তবে যেদিন হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে প্রকৃত ফাঁসি কার্যকর হবে সেদিন জুলাই আনদোলনের শহীদরা ন্যায়বিচার পাবে।”

প্রতীক ফাঁসি কর্মসূচির আয়োজক রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নাসিম বলেন, “শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করার মধ্যে দিয়েই এদেশের মানুষ ন্যায়বিচার পাবে। একই সাথে জুলাই আন্দোলন থেকে সাধারণ জনগণ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ এদেশে একাত্তরে হত্যা চালিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে ছিল, তেমনি চব্বিশে হত্যা করে ভারতে পালাতে হয়েছে।”

কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (গকসু) এজিএস সামিউল হাসান শোভন বলেন, “প্রতীকী ফাঁসির মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয় অন্যায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যাতে কোনো ফ্যাসিস্টের আধিপত্য ছড়াতে না পারে তারজন্য আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করব।”

ঢাকা/সানজিদা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণবিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি