কুড়িগ্রামে মার্চ ফর ফেলানী নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম শাখা। বুধবার রাতে কুড়িগ্রাম কলেজ মোড়স্থ অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ জানান, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা ‘মার্চ ফর ফেলানী’ উপলক্ষে পথযাত্রা করবেন। এতে নেতৃত্ব দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।   

এসময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নাগরিক কমিটির কুড়িগ্রাম জেলা সংগঠক মুকুল মিয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ, সদস্য সচিব ফয়সাল আহমেদ সাগর ও মুখ্য সংগঠক সাদিকুর রহমান।

মূল বক্তব্য তুলে ধরে ড.

আতিক মুজাহিদ বলেন, কুড়িগ্রাম সীমান্তে ফেলানীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যার পর অমানবিকভাবে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। এছাড়াও সীমান্তে নানাভাবে বিএসএফ মানুষ হত্যা করেই চলেছে। বিগত নতজানু আওয়ামী সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে শাসন আমলে ভারতের এমন হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। তাই বর্তমান ছাত্র-জনতার সরকারের আমলে ফেলানী হত্যার বিচারসহ সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে জাতীয়ভাবে আন্দোলন শুরু করা হবে কুড়িগ্রাম থেকে। তাই আগামীকাল (আজ বৃহস্পতিবার) কুড়িগ্রামে সারজিস আলমসহ জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা এসে পথসভাসহ আন্দোলন শুরু করবেন। এটি কুড়িগ্রাম থেকে শুরু হলেও তা জাতীয় কর্মসূচি হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সীমান্ত হত্যা বন্ধের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হবে। এটি আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসেবে আমরা সরকারের সহায়তায় ভারতকে কাছে দাবি জানাব। আর দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র র

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ