জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী-অভিনেতা তাহসান খান। অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশীদ মিথিলার সঙ্গে সংসার ভাঙার পর দীর্ঘদিন একা জীবন পার করেছেন এই গায়ক। গত ৪ জানুয়ারি মেকআপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদকে বিয়ে করেন তাহসান। বিয়ের খবর প্রকাশ্যে এনে রীতিমতো হইচই ফেলে দেন এই গায়ক।
অনেক দিন ধরেই পরস্পরকে চেনেন তাহসান খান ও রোজা আহমেদ। দুজনে পছন্দ করেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। তবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পারিবারিকভাবে সম্পন্ন করেন এই যুগল। বিয়ের পরই নবদম্পতি মধুচন্দ্রিয়ায় উড়ে যান মালদ্বীপে। সেখানে সময়টা দারুণ উপভোগ করেন। তাহসান খান শোবিজ অঙ্গনের তুমুল জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হলেও রোজা আহমেদ এই অঙ্গনের নন। যদিও মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে এই অঙ্গনের মানুষের সঙ্গে তার একটা যোগাযোগ রয়েছে। রোজা আহমেদ তার বর্তমান ক্যারিয়ার যে জায়গায় নিয়ে এসেছেন, তা অনেক সংগ্রামের পর সম্ভব হয়েছে।
আরো পড়ুন:
প্রিন্স মাহমুদের সুরে গাইলেন আনিসা-তাহসান
তাহসানের সঙ্গে সিঁথির ‘একা ঘর আমার’ (ভিডিও)
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ব্রাইডাল মেকআপ নিয়ে কাজ করছেন রোজা। কিন্তু তার আগে দীর্ঘ জার্নির গল্প রয়েছে রোজার। তার ভাষায়, “আমি বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান তাই সব থেকে আদরের ছিলাম সবার। আর বাবা আমাকে সব সময় বলত, ‘আমার ছোট্ট পরিটা কইরে।’ সেই সময় বরিশাল শহরে আমাদের পরিবারের বেশ প্রভাব ছিল। ছোটবেলায় কখনো কমতি পাই নি। এর বাসায় দাওয়াত, তার বাসায় দাওয়াত আর যেতেই হবে কারণ আমাদের ছাড়া দাওয়াত অসম্পূর্ণ হবে। এমন দিন গিয়েছে দিনে ৪টা দাওয়াতেও অংশ নিয়েছি। শুধু দেখা করে আসার জন্য।”
বাবা মারা যাওয়ার পর রোজার অনেক আত্মীয়-স্বজনেরাও দূরে সরে যান। বাবার অনুপস্থিতিতে কাছের মানুষদের এমন আচরণে আবাক হন রোজা ও তার মা। এসব আচরণের কারণে অনেক কান্নাকাটি করতেন মা-মেয়ে। রোজার বাবা অনেক কিছুই রেখে গেছেন। তার দাদারও অনেক আছে কিন্তু কিছুই গোছানো ছিল না। কে জানতেন যে এত অকালে রোজার বাবা চলে যাবেন। আর রোজার দাদার সব সম্পত্তিতেই চাচা-ফুফুদের ভাগ আছে। তার মায়ের খুব অল্প বয়সেই বিয়ে হয়। পড়াশোনার সুযোগ পায়নি। এরই মাঝে রোজার জন্ম হয়। যার কারণে প্রতিবাদ করার সাহসও ছিল না তার মায়ের। অধিকার নিয়ে তার মা কথা না বলতে পারলেও প্রতিবাদ করতে শুরু করেন রোজা। ফলে, তার বাসায় আরো জটিলতা সৃষ্টি হয়। তার মধ্যে রোজাকে বিয়ে দেওয়ার চাপ দিতে থাকেন পরিবারের অন্য সদস্যরা।
রোজা স্কুলে ক্লাশের পাশাপাশি কোচিংয়েও পড়তেন। কিন্তু এক পর্যায়ে কোচিংয়ে পড়া বাদ দিয়ে টাকার জন্য টিউশন শুরু করেন রোজা। কারণ পরিবার থেকে যে টাকা দেওয়া হতো তা দিয়ে ছোট ভাইটিকেও কিছু কিনে দিতে পারতেন না। ফলে টিউশনের টাকা দিয়ে রোজা তার ভাইকে তার পছন্দমতো খাবার-পোশাক কিনে দিতেন। কয়েক মাস টিউশন করার পর খবরটি তার বাসায় জানতে পারে। এতে করে টিউশন-কোচিং উভয়ই বন্ধ করে দেন তার পরিবার।
স্কুল জীবন থেকেই সাজগোজের ব্যাপারে রোজার যেমন আগ্রহ ছিল, তেমনি দক্ষও ছিলেন তিনি। মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে যাত্রা শুরুর গল্প স্মরণ করে রোজা আহমেদ বলেন, “স্কুলে আমি অনেক পপুলার ছিলাম নাচের জন্য। ওহ ক্লাস থ্রিতে থাকতে নাচের জন্য আমি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলাম। আর তখন থেকেই একা একা সাজতাম আর যারা আমার সাথে নাচ করত ওদেরকেও সাজিয়ে দিতাম। আর সবাই আমার সাথে চলতে চাইত বিশেষভাবে মেয়েরা। কারণ আমি খুব ভালো সাজাতে পারি। আমার এক দূরের কাজিনের বিয়ের প্ল্যান ছিল ঢাকা থেকে আর্টিস্ট আনবে, তখন বরিশালে ফ্রিল্যান্সার আর্টিটিস্টের নামটার সাথে কেউ পরিচিত ছিল না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মেয়েটা ঢাকার আর্টিস্ট আনতে পারেনি। আমাকে কল দিয়ে খুব মন খারাপ করে বলল, ‘পরিবার বিয়েতে অনেক খরচ করছে, এত বড় আয়োজন। কিন্তু মেকআপের জন্য এত টাকা দিবে না আর বরিশালের কোনো পার্লারের সাজ আমার পছন্দ না, তোর সাজটা আমার খুব ভালো লাগে।’ আমি একটু চুপ থেকে বললাম, ‘আপু তোমার এত বড় বিয়ের আয়োজনে আমার কাছে সাজবা শিওর তুমি?’ বলল, ‘হ্যাঁ তোর মতো করে আমাকে সাজিয়ে দিস তাহলেই হবে।’ সেই থেকে মেকআপের প্রফেশনাল জার্নিটা শুরু।”
বউ সাজিয়ে পারিশ্রমিক নেওয়ার তথ্য উল্লেখ করে রোজা বলেন, “এরপর আপুকে সাজাতে খুব ভয় হচ্ছিল, আমি কি বিয়েতে যাব? কারণ কেমন না কেমন হয়েছে সাজ? মা জোর করে নিয়ে গেল। সবার প্রসংশা আর ফিডব্যাক পেয়ে আমি নিজেই হতভম্ব। এরপর থেকেই আপুর অনেক ফ্রেন্ড আমার কাছে সাজা শুরু করল। মাত্র ২০০০ টাকা করে নিতাম।”
মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ শুরুর পর যেসব আত্মীয়-স্বজন বিরোধিতা করেছিলেন, সুনাম ছড়ানোর পর তারাই প্রশংসা করেন। ব্রাইডের পরিমাণ বাড়তে থাকে। বরিশাল থেকে পুরো দেশে নাম ছড়িয়ে পড়ে রোজার। বাসায় অর্থনেতিকভাবে অংশগ্রহণ শুরু করেন তিনি। মজার বিষয় হলো, তার পরিবারের সবাই তাকে গর্ব করতে শুরু করেন। একেবারে সবার মধ্যমণি হয়ে যান রোজা।
যাহোক, বরিশাল থেকে ঢাকায় এসে কাজ করে ফের বরিশালে ফিরে যেতেন রোজা। সেই স্মৃতিচারণ করে তাহসানপত্নী বলেন, “ঢাকা থেকে ক্লায়েন্টের নক আসা শুরু করল। কিন্তু ঢাকাতে তো কারো বাসায় উঠব না, অন্যদিকে পরের দিন বরিশালে ৪-৫টা ক্লায়েন্ট তাই সারাদিন কাজ করে রাত ৯টায় লঞ্চে করে ঢাকা এসে সারাদিন কাজ করে আবার বরিশালে ব্যাক করি। এই যাতায়াতে করতে গিয়ে রাস্তাঘাটে কত মানুষের কথা শুনেছি, তবে আমাকে কেউ নারী বলে হেনস্তা করার সাহস পায়নি। কারণ আমার চোখ তাদের বলে দিত যে, আমি জীবনে কাউকে ছাড় দেই না, দেব না। তা বাসায় হোক আর বাহিরে হোক। ঢাকার ক্লায়েন্টের পরিমাণ বাড়ল, বাজেট বাড়ল। বিবিএ’র স্টুডেন্ট ছিলাম, কাজের পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সব মিলিয়ে বেশ একটা কঠিন সময় যাচ্ছিল।”
বরিশাল থেকে ঢাকায় এসে স্টুডিও সেটআপ তৈরি করেন রোজা। পাশাপাশি নারীদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণও দিতে শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ৫ শতাধিক নারীকে দক্ষ করে তুলেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য তার মামা আবেদন করেছিলেন। এক পর্যায়ে ভিসা পেয়ে যান রোজা। সবকিছু বাংলাদেশে ফেলে উড়ে যান যুক্তরাষ্ট্রে। নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশ। ফলে সেখানে গিয়েও নতুন করে সংগ্রাম শুরু করেন রোজা। নিজের কাজের প্রচার চালাতে থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ক্লায়েন্ট পেয়ে যান রোজা। আস্তে আস্তে ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি প্রবাসীরাও তার কাছে সাজা শুরু করেন। পাশাপাশি ক্লাস করাতে থাকেন। তা ছাড়াও কসমেটোলজির মাধ্যমে স্কিন, হেয়ার এবং মেকআপ রিলেটেড পড়াশোনা করেন কলেজে। এরপর গড়ে তুলেন স্টুডিও। কসমেটোলজির উপর নতুন করে আবার পড়াশোনা, লাইসেন্স নেয়া সব চ্যালেঞ্জ নতুন করে আবার ফেইস করেন রোজা। সবচেয়ে ব্যয়বহুল, কোয়ালিটিফুল প্রোডাক্ট দিয়ে সাজিয়েছেন তার স্টুডিওয়ের পুরো সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ন র জ র জন য পর ব র ক জ কর আহম দ ট উশন
এছাড়াও পড়ুন:
টাইব্রেকারে দুটি শট আটকে ফারইস্টকে বিদায় করে এআইইউবিকে ফাইনালে তুললেন রাজীব
ইস্পাহানি-প্রথম আলো তৃতীয় আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি)।
জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ প্রথম সেমিফাইনালে টুর্নামেন্টের গত আসরের রানার্সআপ এআইইউবি জিতেছে রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারে। টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের রানার্সআপ ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিপক্ষে নির্ধারিত ৭০ মিনিটে ম্যাচটি ছিল ২-২ সমতায়। এরপর টাইব্রেকারে এআইইউবি জেতে ৬-৫ গোলে।
টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপার চূড়ান্ত লড়াইয়ের টিকিট পেয়েছে এআইইউবি। নির্ধারিত সময়ে দুবার পিছিয়ে ম্যাচে ফিরেছে তারা, টাইব্রেকারেও একপর্যায়ে পিছিয়ে ছিল দলটি। টাইব্রেকারে দুটি শট আটকে এআইইউবিকে ফাইনালে তুলে নেন গত মৌসুমে দেশের শীর্ষ লিগে চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে খেলা গোলকিপার রাজীব ইসলাম।
জাতীয় স্টেডিয়ামে গোটা ম্যাচজুড়েই ছিল টান টান উত্তেজনা। টাইব্রেকারে প্রথম চারটি শটে দুই দলই গোল করে। এআইইউবির আজিজুল হক অনন্তর নেওয়া পঞ্চম শট পোস্টে লাগে। এরপর এআইইউবির গোলকিপার রাজীব প্রতিপক্ষ গোলকিপার আরমান হোসেনের শট আটকে দলকে ম্যাচে রাখেন। তখন স্কোর দাঁড়ায় ৪-৪।
এরপর সাডেন ডেথের প্রথম শটে দুই দলই গোল করে, ৫-৫। কিন্তু সাডেন ডেথে ষষ্ঠ শটে এআইইউবি গোল করলেও ফারইস্টের সালমান গোল করতে পারেননি। তাঁর শট আটকে দেন এআইইউবির গোলকিপার রাজীব। আরমান ও সালমান দুই ভাই।
দুজনই টাইব্রেকারে শট মিস করেন। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে জেতে এআইইউবি।
ফারইস্টের দুর্ভাগ্য, দুবার এগিয়ে গিয়েও এবং টাইব্রেকারে লিড নিয়েও তারা জিততে পারেনি। পারেনি এআইইউবির গোলকিপার রাজীব ইসলামের দৃঢ়তায়। জয়ের পর গোলকিপার রাজীবকে নিয়ে এআইইউবি মেতে ওঠে উল্লাসে। ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন এআইইউবির জয়ের নায়ক রাজীব।
মূল ম্যাচে এআইইউবির প্রাধান্য ছিল। তবে নির্ধারিত ৭০ মিনিটে তারা জিততে পারেনি। ৩০ মিনিটে গোল করে ক্ষয়িষ্ণু শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামা ফারইস্টকে এগিয়ে দেন ব্রাদার্সের ফরোয়ার্ড মেরাজ প্রধান।
বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে প্লেসিং করেন তিনি। ৪৪ মিনিটে সেই গোল শোধ করেন এআইইউবির আরিফুল হক। ৫৪ মিনিটে আবার গোল করে ফারইস্টকে এগিয়ে নেন মেরাজ। তবে দ্রুতই সেই গোল শোধ হয়ে যায়। ৫৯ মিনিটে গোলাম রাব্বি গোল করে ম্যাচে ২-২ সমতা ফেরান। এরপর ম্যাচ গড়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে, যেখানে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে এআইইউবি।
ফারইস্ট আজ তাদের কয়েকজন সেরা খেলোয়াড়কে পায়নি। বাংলাদেশ লিগে খেলা থাকায় খেলতে পারেননি আবাহনীর ফরোয়ার্ড আসাদুল মোল্লা, একই দলের গোলকিপার পাপ্পু হোসেন, পুলিশের মিডফিল্ডার এমএস বাবলু, ফকিরেরপুলের ফরোয়ার্ড স্বাধীন হোসেন, প্রথম বিভাগের ডিফেন্ডার লিহান উদ্দিন এবং অধিনায়ক আল আমিন ও সেনাবাহিনীর গোলকিপার আশরাফুল।
ফারইস্ট পেয়েছে প্রিমিয়ার লিগে খেলা শুধু মেরাজকে। সেই মেরাজ দুই গোল করেও দলকে জেতাতে পারেননি।
অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগের আরামবাগের মিডফিল্ডার ওমর ফারুক মিঠু ও আক্কাস আলী, মোহামেডানের স্ট্রাইকার সৌরভ দেওয়ান, ডিফেন্ডার আজিজুল হক ও জাহিদ হাসানকে পেয়েছে এআইইউবি। আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় খেলতে পারেননি রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার আলফাজ মিয়া।
ম্যাচসেরার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান ও জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো. মঞ্জুর ই খোদা তরফদার, ইস্পাহানি টি লিমিটেডের বিপণন মহাব্যবস্থাপক ওমর হান্নান, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য, জাহিদ হাসান এমিলি ও মামুনুল ইসলাম।
গত বছর ফাইনালে এআইইউবি হেরে যায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কাছে। এবার তাদের ফাইনালের প্রতিপক্ষ হবে গণ বিশ্ববিদ্যালয় ও চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ী দল। ম্যাচটি আজই জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।