শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ. কে. আজাদের পক্ষ থেকে ফরিদপুরে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। দশ দিনব্যাপী এ কার্যক্রমের সপ্তম দিন  শুক্রবার পৌর এলাকায় এক হাজার মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়। 

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আওতায় শনিবার ফরিদপুরে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে সদরের ১২টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ২০ হাজার কম্বল দেওয়া হবে। এতে সহায়তা করছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ও ফরিদপুরের পাঁচটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা– এফডিএ, বিএফএফ, একেকে, এসডিসি এবং পিডাবলুও।

পৌর এলাকার আলীপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বেনিফিসিয়ারিস ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম (বিএফএফ) ও সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটির (এসডিসি) অফিস চত্বরে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ফরিদপুর শাখার ব্যবস্থাপক কে এম আনিসুর রহমানের তত্ত্বাবধানে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এ সময় সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক আবুল কালাম আজাদ, এফডিএর উপদেষ্টা আজাহারুল ইসলাম, এসডিসির নির্বাহী পরিচালক কাজী আশরাফুল হাসান, বিএফএফের নির্বাহী পরিচালক আনম ফজলুল হাদী সাব্বির, পিডাবলুওর নির্বাহী পরিচালক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ.

কে. আজাদের নির্দেশনায় ব্যাংকটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। তাদের অনুদানে এবং বাস্তবায়নকারী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ে সুশৃঙ্খলভাবে প্রন্তিক পর্যায়ে পাওয়ার যোগ্য মানুষদের হাতে শীতবস্ত্র পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এ ক আজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে গুরুত্ব আরোপ

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। এ পরস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বুধবার দুজনকে করা এ ফোন কলে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া দুই 

ফোনালাপের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে দেওয়া পৃথক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় মার্কো রুবিও বলেন, তিনি পেহেলগাম হামলায় নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

তবে তিনি আরও বলেন, ভারত যেন পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করার আগে সতর্ক থাকে, কারণ এখনও পর্যন্ত ভারত এই হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার কোনও প্রমাণ প্রকাশ করেনি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা কমাতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য বলেছেন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনালাপে রুবিও- ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, রুবিও এই অযৌক্তিক হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, ভারতের উস্কানিমূলক আচরণ শুধু উত্তেজনাই বাড়াচ্ছে এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা ভারতের ওপর দায়িত্বশীল আচরণ ও ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাপ প্রয়োগ করে।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।

এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।

তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সূত্র-এএফপি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ