নতুন মেয়াদের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানালেন ড. ইউনূস
Published: 20th, January 2025 GMT
ওয়াশিংটন ডিসিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করার প্রাক্কালে ঢাকা আজ তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে। সোমবার বিকেলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন। সেই বার্তায়, প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন যে, উভয় দেশ সহযোগিতার নতুন পথ অন্বেষণে একসাথে কাজ করবে।’ খবর-বাসস
বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আমরা সেই বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করছি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন মেয়াদ শুরু হওয়ার সাথে সাথে তাঁকে আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ঘরের ভেতরে স্থানান্তরিত অনুষ্ঠানে ট্রাম্প ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটালের রোটুন্ডায় শপথ গ্রহণ করেন। গত নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে জয়লাভের পর ট্রাম্পকে দেওয়া এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আপনার জয়ের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি আনন্দিত।’
বার্তায় বলা হয়েছে, ‘দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনাকে নির্বাচিত করা এটাই প্রতিফলিত করে যে, আপনার নেতৃত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি অনুরণিত হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, আপনার নেতৃত্বে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমৃদ্ধ হবে এবং বিশ্বজুড়ে অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ট্রাম্পের কার্যকালে এ সম্পর্ক গভীরতা ও মাত্রায় আরো বৃদ্ধি পাবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ অংশীদারিত্বের নতুন পথ অন্বেষণে কাজ করছে তাই সীমাহীন সম্ভাবনার রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউন স
এছাড়াও পড়ুন:
যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে।”
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন ঘিরে সরগরম কেরাণীগঞ্জের রাজনীতি
হেভিওয়েটদের বিপক্ষে এনসিপির প্রার্থী হচ্ছেন যারা
তারেক রহমান বলেন, “সামনের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে। জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে বিএনপির পরিকল্পনা তুলে ধরতে হবে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। এই দেশ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়-মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষাই আজ সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি।”
তারেক রহমান বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে স্বৈরাচারী শাসনের অধীনে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণের ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি বলেন, “শত শত মানুষ হত্যা, গুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয়েছে বহু মানুষকে। অনেকে ফিরে আসেনি। যারা ফিরেছে, তাদের শরীরে নির্যাতনের নির্মমতা লেগে রয়েছে।”
বিগত সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আইটি পার্ক ও অবকাঠামোর নামে যেসব প্রকল্প হয়েছে, তার অনেকগুলোই আজ অব্যবহৃত পড়ে আছে—সেখানে গরু-ছাগল চরে বেড়াচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমরা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরব। প্রয়োজনে এ দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধও করব।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা চাই না আর কোনো আবরার নির্মম হত্যার শিকার হোক। আমরা চাই না শহিদুল আলমের মতো কাউকে রাজনৈতিকভাবে নির্যাতনের মুখে পড়তে হোক। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জীবন ও সম্মান রক্ষাই আমাদের প্রথম কাজ।”
তারেক রহমান জানান, জাতীয়তাবাদী দর্শনই মানুষের সম্মান, নিরাপত্তা ও সমতার অধিকার নিশ্চিত করে। মানুষের মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার প্রতিষ্ঠাই বিএনপির রাজনীতির মূল ভিত্তি।
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে জনগণ আমাদের পক্ষে রায় দিলে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালুর মাধ্যমে নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করব। নারীসমাজকে শক্তিশালী না করলে দেশ এগোবে না।”
শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাষা শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে কর্মসংস্থানে সংকটে না পড়ে। দেশের ডাটাবেইস ধরে বিদেশে কর্মসংস্থানের পথও উন্মুক্ত করা হবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের খাল খনন করতে হবে, পরিবেশ রক্ষায় ২৫ কোটি গাছ লাগাতে হবে।”
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন হাবিব উন নবী খান সোহেল, ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, আমিনুল হক, হাসান জাফির তুহিন, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, এস এম জিলানী প্রমুখ।
ঢাকা/আলী/সাইফ