ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নে ‘বৈষম্যবিরোধী’, বেগম খালেদা জিয়ার দেশের প্রথম ফ্লাইওভার উদ্বোধন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন শূন্য তত্ত্ব, আবু সাঈদের স্মরণে উন্নত মমশির শিল্পকর্ম, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কিত বিষয়াদি স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট রেজিম পতনের একটি বর্ণনা নিয়ে লিখিত অংশে একটি অনুচ্ছেদ অনুবাদ এসেছে।  

শনিবার দেশব্যাপী আটটি বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন এবং প্রতি আসনের বিপরীতে লড়েছেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী।

ভর্তি পরীক্ষার বহুনির্বাচনি অভীক্ষা (এমসিকিউ) বাংলা অংশে এসেছে, ‘বৈষম্যবিরোধী- শব্দটি যে সমাসে নিষ্পন্ন’, সাধারণ জ্ঞান অংশে এসেছে-‘ঢাকা শহরের প্রথম ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন কে? অপশনে ছিল জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, বেগম খালেদা জিয়া, বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ’; ঢাকার প্রথম ফ্লাইওভার মহাখালী ফ্লাইওভার-এটি ২০০৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উদ্বোধন করেন।

আরও প্রশ্ন এসেছে-‘তিন শূন্যের অন্তর্ভূক্ত নয় কোনটি? অপশনে ছিল ‘শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব, শূন্য নেট কার্বন নির্গমন, শূন্য ক্ষুধা’। ড.

মুহাম্মদ ইউনূস তিন শূন্যের তত্ত্বের প্রবক্তা; এখানে তিন শূন্য হলো শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব, শূন্য নেট কার্বন নির্গমন।

আরেকটি প্রশ্নে এসেছে, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে অঙ্কিত শিল্পকর্মের নাম-অপশনে ছিল ‘উন্নত মমশির, অকুতোভয়, বিদ্রোহী, দূরন্ত’; আবু সাঈদের স্মরণে নির্মিত শিল্পকর্মটি হলো উন্নত মমশির, বিশিষ্ট শিল্পী শহীদ কবির এটি আঁকেন।

সাধারণ জ্ঞান অংশে আরেকটি প্রশ্ন এসেছে-‘বাংলাদেশের সংবিধানের কোন সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে?’, ২০১১ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে করা পঞ্চদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। সম্প্রতি এটি পুনর্বহাল করেছে হাইকোর্ট।

এ ছাড়াও এমসিকিউ এসেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে কতজন নারী রয়েছেন, ২৫ তম প্রধান বিচারপতি কে? উত্তর বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। প্রশ্ন এসেছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে; ‘মুক্তিযুদ্ধে নৌবাহিনী কোন সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেছে?’ আরেকটি প্রশ্ন এসেছে-‘কোন ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী মুসলিম?’ উত্তর হলো-পাঙন।  

লিখিত অংশে একটি ইংরেজি অনুচ্ছেদ বাংলায় অনুবাদ করতে বলা হয়। অনুচ্ছেদটি ৫ আগস্টের ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের বর্ণনা নিয়ে। এতে ইংরেজিতে উল্লেখ করা হয়, ‘শেষ বিকেলে, ঢাকার সড়কে মানুষের ঢল নামে; তারা ছিলেন উৎফুল্ল। কেউ পরিবারের সঙ্গে; কেউ বন্ধুদের সঙ্গে। তারা ঢাক-ঢোল বাজিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন এবং স্বৈরশাসককে দুয়োধ্বনি দিতে থাকেন। এটি ছিল ছাত্রদের বিজয়, জনগণের বিজয়! দীর্ঘ সময় পর ফ্যাসিস্ট শাসন থেকে মুক্তি পেয়ে জনগণ উল্লসিত।’

এ দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ বলেন, সুষ্ঠুভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোনো রকম কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটার যৌক্তিক সংস্কার আনা হয়েছে। আমরা শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা রেখে নাতি-নাতনিদের কোটা বাদ দেওয়া হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড ইউন স পর ক ষ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিকাশ-এ লেনদেনের তথ্য-শেয়ার এখন আরও সহজ ও নিরাপদ

বিকাশ অ্যাপে লেনদেন করে তার তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পাঠানো এখন আরও সহজ, নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। বিল দেওয়া, পেমেন্ট, বিশেষ করে কাউকে টাকা পাঠানোর পর স্ক্রিনশট শেয়ার করার বিষয়টি চর্চিত এবং প্রায় অবধারিত। গ্রাহকের এই প্রয়োজনকে সহজ করতে বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হয়েছে এক-ক্লিকেই শেয়ার অপশন।

বিকাশ অ্যাপ থেকে সেন্ডমানি করার সাথে সাথেই স্ক্রিনে শেয়ার অপশন দেখতে পান গ্রাহক। যে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাঠানো হয়েছে এবং যে অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে, ট্রানজেকশন আইডি, টাকার পরিমাণ, সময়-তারিখ এবং রেফারেন্স -এই তথ্যগুলো শেয়ার স্ক্রিনে দেওয়া থাকে। গ্রাহক এক ট্যাপেই হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, ই-মেইলসহ যেকোনো পছন্দের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তথ্য শেয়ার করে দিতে পারেন।

এই পদ্ধতিতে তথ্য শেয়ারের সময় গ্রাহকের সবশেষ ব্যালেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, ফলে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট-ব্যালেন্সের তথ্য থাকে সুরক্ষিত।

কোনো গ্রাহক এই শেয়ার অপশন না ব্যবহার করে স্ক্রিনশট দিয়ে তথ্য শেয়ার করতে চাইলেও বর্তমান ব্যালেন্সকে এক ট্যাপেই হাইড করা সম্ভব। বর্তমান ব্যালেন্সের ঠিক পাশেই থাকা ‘আই’ (চোখ) -আইকনে ক্লিক করে বর্তমান ব্যালেন্স হাইড করে রাখতে পারেন।

অনেক গ্রাহক আছেন যারা ম্যাসেজ পাঠানো বা শেয়ারের চেয়ে কল করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। সেসব গ্রাহকদের কথা বিবেচনায় রেখে টাকা পাঠানোর সাথে সাথে পরের স্ক্রিনেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরাসরি কল করার অপশনও যুক্ত করা হয়েছে। এতে আর ঐ ব্যক্তিকে কন্টাক্ট লিস্টে গিয়ে কল করতে হয় না। ফলে তার সময় বাঁচে। গ্রাহক পেয়ে যান বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য।

অনেক গ্রাহক আছেন লেনদেন করার পর কেবল ট্রানজেকশন আইডিটি কপি করে কাউকে পাঠান বা কোনো ফরম পূরণ করতেও ব্যবহার করেন। তেমন গ্রাহকদের জন্য এই স্ক্রিনেই কেবল ট্রানজেকশন আইডি কপি করার সুযোগ রয়েছে। ট্রানজেকশন আইডির পাশেই ‘কপি’ চিহ্নিত আইকন ট্যাপ করলেই নম্বরটি ক্লিপবোর্ডে কপি হয়ে যায়। পরে গ্রাহক তার প্রয়োজন অনুসারে যেকোনো উইন্ডোতে পেস্ট করে তথ্যটি কাজে লাগাতে পারেন।

একইভাবে, পেমেন্ট, বিল পে সহ অন্যান্য তথ্য সহজেই শেয়ার করতে পারছেন গ্রাহক। বর্তমান সময়ে এসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা। গ্রাহকের সুবিধার কথা বিবেচনায় তাই এমন ছোট ছোট গুরুত্বপূর্ণ সেবার সংযোজনে গ্রাহকের লেনদেনের তথ্য নিয়ন্ত্রিতভাবে কাজে লাগানোর সাথে সাথে তার সুরক্ষাকে নিশ্চিত করা হচ্ছে।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিকাশে লেনদেনের তথ্য-শেয়ার এখন আরো সহজ ও নিরাপদ
  • বিকাশ-এ লেনদেনের তথ্য-শেয়ার এখন আরও সহজ ও নিরাপদ