যুবদল নেতা তৌহিদ হত্যার প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন
Published: 2nd, February 2025 GMT
কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুরী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) মানববন্ধন করা হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রাইটস সোসাইটি সদস্যরা। প্রতিবাদ সমাবেশে নাগরিক অধিকার নিশ্চিতসহ নিরাপদ বাংলাদেশের দাবি জানান তারা।
এ সময় তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে ‘জবাব চাই, হত্যার বিচার চাই’, ‘স্টপ এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং’, ‘টুডে তৌহিদুল টুমরো ইউ’, ‘রাইস ইন রেসিসটেন্স’ লেখা দেখা যায়।
মানববন্ধনে সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কায়েস বলেন, “ফ্যাসিস্ট শাসন অবসানের পরও দেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কোনভাবেই কাম্য নয়। কুমিল্লায় তৌহিদুল হত্যাকাণ্ড দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারাবাহিকতার একটি নজির। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই ও দেশে মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান করছি।”
সংগঠনের নারী বিষয়ক সম্পাদক শান্তা আক্তার বলেন, “আমারা বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে অসংখ্য গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেখেছি। কিন্তু সেই সংস্কৃতি এখনো রয়ে গেছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।”
সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, “যুবদল নেতা তাওহিদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ড সার্বজনীন মানবাধিকার আইন ও বাংলাদেশের সংবিধানের মানবাধিকার আইনের চরম লঙ্ঘন। আমরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা আসুন, দেখুন, পর্যালোচনা করুন।”
তিনি বলেন, “বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আর চলতে দেওয়া যায় না। আমরা সরকাসের কাছে ন্যায় এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছি।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
১০ ডিসেম্বর (আজ বুধবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মানবাধিকার সংগঠনটি। এ সময় জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনটি ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের তরুণেরা। এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয়, মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের বাইরে গিয়েও প্রতিদিনই মানবাধিকার বিষয়ে জাগ্রত ও সোচ্চার থাকতে চাই। আইন ও সালিশ কেন্দ্র কখনো মানবাধিকার বিষয়ে কারও কাছে মাথা নত করেনি, কারও সঙ্গে আপস করেনি। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানেই আইন ও সালিশ কেন্দ্র সব সময় সোচ্চারভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে।’
নারী অধিকারের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থার এই উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘আইনের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু নারী ও শিশুর প্রত্যয়ী সহিংসতাগুলো বন্ধ হয়নি। এটি নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আজ বুধবার, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে