ম্যানসিটিকে উড়িয়ে রাইসের হুংকার: লিভারপুলকে পেছনে ফেলব
Published: 3rd, February 2025 GMT
এই মৌসুমে শীর্ষ স্থান নিয়ে লিভারপুলের সাথে আর্সেনালের নিরবিচ্ছিন্ন প্রতিযোগিতা চলছেই। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) ম্যাচে বর্তমান শিরোপাধারী ম্যানচেস্টার সিটিকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পরও গানাররা বেশ পিছিয়ে আছে লিভারপুলের তুলনায়। তবে আর্সেনালের মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস জানিয়েছেন তারা অলরেডদের পেছনে ফেলতে বদ্ধ পরিকর।
ঘরের মাঠ এমিরেটসে খেলা শুরু হতে না হতেই, মাত্র ২ মিনিটে মার্টিন ওডেগার্ডের গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। বিরতির আগ পর্যন্ত স্কোর লাইনে আর কোন পরিবর্তন আসেনি। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে আর্লিং হালান্ডের গোলের মাধ্যমে সিটি সমতা ফিরে। তবে এর পরপরই, টমাস পার্টির গোলে আর্সেনাল পুনরায় ২-১ ব্যবধানে লিড নেয়। এরপর, ৬২ মিনিটে মাইলস লুইস-স্কেলি, ৭৬ মিনিটে কাই হাভার্টজ এবং যোগকরা সময়ে এথান নওনিরির গোলের মাধ্যমে আর্সেনাল ব্যবধান ৫-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করে। গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি দুটি সহজ সুযোগ মিস না করলে ব্যবধানটি আরও বড় হতো।
আরো পড়ুন:
উড়তে থাকা বোর্নমাউথকে হারিয়েও অস্বস্তিতে লিভারপুল
শেফিল্ডের জার্সিতে নেমেই ম্যাচসেরা হামজা
ইপিএলে দারুণ ছন্দে এগিয়ে চলা লিভারপুল ২৩ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। ২৪ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে আর্সেনাল। ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় স্থানে নটিংহ্যাম ফরেস্ট। অন্যদিকে আসরে সপ্তম হারের স্বাদ পাওয়া সিটিজেনরা ৪১ পয়েন্ট নিয়ে আছে চার নম্বরে।
আর্সেনাল শিরোপা দৌড়ে লিভারপুলের সাথে নিরলসভাবে লড়াই করছে। তবে রবিবার ম্যানচেস্টার সিটি কে ৫-১ ব্যবধানে পরাজিত করার পরেও গানার্সরা এখনো লিভারপুল থেকে পয়েন্ট ব্যবধানে বেশ পিছিয়ে রয়েছে। তবে মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস বলেছেন যে, অলরেডদের ধাওয়া করতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সিটির বিপক্ষে দুটি অ্যাসিস্ট করা রাইস স্মরণ করিয়ে দিলেন গানার্সরা এখনো লড়াই ছেড়ে দেয়নি, “লিভারপুল এখনও অনেক এগিয়ে, বিশেষ করে তারা একটা ম্যাচ কম খেলেছে আমাদের চেয়ে। গতকালও (শনিবার) জিতেছে, তাই আমাদের জিততেই হতো। আমরা এই দৌড়ে থাকব এবং আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। হ্যাঁ, আমাদের সাহায্য দরকার হবে বাকিদের, তবে আমরা জানি আমাদের লক্ষ্য প্রিমিয়ার লিগ জেতা।”
এরপর রাইস ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করলেন অ্যাস্টনভিলার ম্যাচটি, “অ্যাস্টন ভিলার সাথে ম্যাচটা খুবই হতাশাজনক, যেখানে আমরা ২-০ তে এগিয়ে থেকেও পয়েন্ট খুইয়েছি। তা না হলে আমরা লিভারপুলের আরও কাছাকাছি থাকতে পারতাম।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর স ন ল আর স ন ল ব যবধ ন
এছাড়াও পড়ুন:
যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
চিরসবুজ অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর একটি সাক্ষাৎকার দেন ববিতা। এ আলাপচারিতায় জীবনবোধ নিয়ে কথা বলেন এই শিল্পী।
জীবন নিয়ে ববিতা বলেন, “যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না।”
একটি ঘটনা উল্লেখ করে ববিতা বলেন, “এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে। অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে ‘ববিতা ডে’ ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদযাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।”
আরো পড়ুন:
বধূবেশে অভিষেক কন্যা
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ববিতা বলেন, “তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ–বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।”
কারণ ব্যাখ্যা করে ববিতা বলেন, “চারপাশে অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি, দিনের পর দিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে কষ্ট পেয়েছেন। যারা একা থাকেন, তাদের জন্য এই কষ্ট যেন আরো বেশি। তাই সব সময় এটা ভাবি, কখনোই যেন অন্যের বোঝা না হই।”
সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা ববিতার কখনো ছিল না। পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও প্রথমে রাজি হননি। পরে মা আর বোনের পীড়াপীড়িতে অভিনয় করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়।
পরিচালক জহির রায়হান আবারো ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ উর্দু সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে বললে প্রথমে রাজি হননি ববিতা। তখন বয়স মাত্র ১৪। কিন্তু সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হওয়ার পরও শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে না পারায় সিনেমাটি আর শেষ করা হয় না।
এরপর জহির রায়হান ববিতাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা বানান। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারহিট হয়। অভিনয় করার ইচ্ছা না থাকলেও সিনেমা হিট হওয়ায় আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর ‘স্বরলিপি’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন রাজ্জাক-ববিতা। প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট।
ঢাকা/শান্ত