দৌড়াতে পারবেন না, তবু আলিসের ওপর ভরসা ছিল চিটাগংয়ের
Published: 5th, February 2025 GMT
শেষ বলে দরকার চার রান। চিটাগং কিংসের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে উইকেটে আসা বাকি কেবল বিনুরা ফার্নান্দোর। আরেকজনও তখনো আউট হননি, কিন্তু তাঁর দৌড়ানোর সামর্থ্যও নেই। দুই বল আগেই রান নিতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন আলিস আল ইসলাম।
এরপর ম্যাচের আশা বাঁচিয়ে রাখা আলিসকে মাঠ ছাড়তে হয় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ব্যথা যে বেশ ভালোই পেয়েছিলেন, তা–ও বোঝা যাচ্ছিল। তবুও তাঁর প্রতিই আস্থা ছিল চিটাগংয়ের। ম্যাচ শেষে চিটাগংয়ের প্রতিনিধি হয়ে আসা খাজা নাফে জানিয়েছেন, দল থেকে আলিসের প্রতি বার্তা ছিল সোজাসাপ্টা, ‘তাকে বলা হয়েছিল, (মাঠে) গিয়ে রান না নিয়ে চার মারো—কারণ, শেষ বলে ওটাই দরকার ছিল।’
ওই আস্থার প্রতিদান আলিস দিয়েছেন বেশ ভালোভাবেই। খুলনা টাইগার্সের মুশফিক হাসানের শেষ বলে চার মেরে দলকে তুলেছেন ফাইনালে। এরপর ব্যাট শূন্যে উড়িয়ে করেছেন উদ্যাপন। ফাইনালে ওঠার আনন্দে আত্মহারা হতে দেখা গেছে পুরো চিটাগং কিংসকেই; কিন্তু শেষ বলে আলিস চার মারতে পারবেন, এই ভরসা কতটা ছিল?
আলিস আল ইসলামের যে শটে নিশ্চিত হয় চিটাগংয়ের জয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ষ বল
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও টানা ছয়টি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।
বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে তুলে নেন সেঞ্চুরি, এরপর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। মিরাজ ছাড়াও ৯ উইকেট শিকার করে ম্যাচে বড় অবদান রাখেন তাইজুল ইসলাম, আর ওপেনার সাদমান ইসলামও তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২২৭ রান। জবাবে টাইগাররা তোলে ৪৪৪ রান, পায় ২১৭ রানের লিড। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে মাত্র তিন দিনেই টেস্ট জয়ের উৎসবে মাতে স্বাগতিকরা।
বল হাতে টাইগারদের শুরুটা এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ব্রায়ান বেনেটকে ফেরান স্লিপে সাদমানের হাতে ক্যাচ করিয়ে। একই ওভারে এলবিডব্লিউ করেন নিক ওয়েলচকে, রিভিউ নিয়ে পান উইকেটটি। এরপর উইলিয়ামসকেও বিদায় করেন অফ স্পিনার নাঈম ইসলাম, দ্বিতীয় স্লিপে সাদমানের হাতেই ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেটে আরভিন-কারেন জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, মিরাজ এসে ভেঙে দেন সেই জুটি। এক ওভারেই ফেরান আরভিন ও মাদেভারেকে। এরপর তাফাদওয়া সিগা, মাসাকাদজা ও কারেনকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন মিরাজ। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি, সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পাশে নাম লেখান।
শেষ দিকে আবার বল হাতে ফিরে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান তাইজুল। এরপর রানআউটের মাধ্যমে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এই জয়ে শুধু সিরিজে সমতায়ই ফিরেনি বাংলাদেশ, বরং দেশের মাটিতে দীর্ঘ দিনের টেস্ট জয়ের অপেক্ষাও ঘুচিয়েছে।