আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে ২৯ বছর পর বৈশ্বিক ক্রিকেট আসর আয়োজন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। টুর্নামেন্ট শুরু হতে বাকি আর ১২ দিন। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, দেশটিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ–উন্মাদনা ততই বাড়ছে।

সেটার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আমেজ নিয়ে আসতে আইসিসি আজ প্রকাশ করেছে অফিশিয়াল থিম সং। ‘জিতো বাজি খেল কে’ (খেলে বাজিমাত করো) নামের গানটি গেয়েছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আতিফ আসলাম।

আরও পড়ুনদেখে নিন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের ম্যাচ কবে, কোথায়২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি আজ দুপুরে তাদের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পেজগুলোতে থিম সংয়ের ভিডিও পোস্ট করে লিখেছে, ‘অপেক্ষার পালা শেষ! চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অফিশিয়াল সং “জিতো বাজি খেল কে”। গেয়েছেন সুরের ওস্তাদ আতিফ আসলাম। তাঁর সঙ্গে আপনারও গান।’

থিম সংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাকিরাও পাকিস্তানি। গানটির প্রযোজক আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, গীতিকার আদনান ঢুল ও আসফান্দিয়ার আসাদ।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপের থিম সং নিয়ে এত সমালোচনা কেন২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে পাকিস্তানের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আইসিসি আশা করছে, গানটি  রাস্তাঘাটের প্রাণচাঞ্চল্য, বাজারের কোলাহল ও স্টেডিয়ামের উচ্ছ্বাস—সব জায়গাতেই ছড়িয়ে পড়বে এবং এটি বিশ্বের সব ক্রিকেট অনুরাগীর চেতনাকে ধারণ করবে। গানটি জনপ্রিয় অডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে।  

প্রধান গায়ক আতিফ আসলাম থিম সংয়ের অংশ হতে পেরে রোমাঞ্চিত। তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেট আমার খুবই পছন্দের খেলা এবং আমি (ছোটবেলা থেকে) সব সময় ফাস্ট বোলার হতে চেয়েছিলাম। খেলাটির প্রতি তীব্র আবেগের কারণে আমি দর্শকদের উদ্দীপনা, উচ্ছ্বাস ও অনুভূতিগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারি। রোমাঞ্চে ঠাসা ও আবেগে ভরপুর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। এ কারণেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির থিম সংয়ের অংশ হতে পারা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির থিম সংয়ের অংশ হতে পারা আতিফ আসলামের কাছে বিশেষ কিছু.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ