আতিফ আসলামের কণ্ঠে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির থিম সং, কেমন হলো
Published: 7th, February 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে ২৯ বছর পর বৈশ্বিক ক্রিকেট আসর আয়োজন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। টুর্নামেন্ট শুরু হতে বাকি আর ১২ দিন। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, দেশটিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ–উন্মাদনা ততই বাড়ছে।
সেটার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আমেজ নিয়ে আসতে আইসিসি আজ প্রকাশ করেছে অফিশিয়াল থিম সং। ‘জিতো বাজি খেল কে’ (খেলে বাজিমাত করো) নামের গানটি গেয়েছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আতিফ আসলাম।
আরও পড়ুনদেখে নিন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের ম্যাচ কবে, কোথায়২৪ ডিসেম্বর ২০২৪বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি আজ দুপুরে তাদের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পেজগুলোতে থিম সংয়ের ভিডিও পোস্ট করে লিখেছে, ‘অপেক্ষার পালা শেষ! চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অফিশিয়াল সং “জিতো বাজি খেল কে”। গেয়েছেন সুরের ওস্তাদ আতিফ আসলাম। তাঁর সঙ্গে আপনারও গান।’
থিম সংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাকিরাও পাকিস্তানি। গানটির প্রযোজক আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, গীতিকার আদনান ঢুল ও আসফান্দিয়ার আসাদ।
আরও পড়ুনবিশ্বকাপের থিম সং নিয়ে এত সমালোচনা কেন২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে পাকিস্তানের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আইসিসি আশা করছে, গানটি রাস্তাঘাটের প্রাণচাঞ্চল্য, বাজারের কোলাহল ও স্টেডিয়ামের উচ্ছ্বাস—সব জায়গাতেই ছড়িয়ে পড়বে এবং এটি বিশ্বের সব ক্রিকেট অনুরাগীর চেতনাকে ধারণ করবে। গানটি জনপ্রিয় অডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে।
প্রধান গায়ক আতিফ আসলাম থিম সংয়ের অংশ হতে পেরে রোমাঞ্চিত। তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেট আমার খুবই পছন্দের খেলা এবং আমি (ছোটবেলা থেকে) সব সময় ফাস্ট বোলার হতে চেয়েছিলাম। খেলাটির প্রতি তীব্র আবেগের কারণে আমি দর্শকদের উদ্দীপনা, উচ্ছ্বাস ও অনুভূতিগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারি। রোমাঞ্চে ঠাসা ও আবেগে ভরপুর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। এ কারণেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির থিম সংয়ের অংশ হতে পারা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির থিম সংয়ের অংশ হতে পারা আতিফ আসলামের কাছে বিশেষ কিছু.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইস স
এছাড়াও পড়ুন:
রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশ: ডেরা রিসোর্টের লাইসেন্স বাতিল
মানিকগঞ্জের ঘিওরের বালিয়াখোড়ায় অবস্থিত ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের নানা অনিয়ম নিয়ে রাইজিংবিডিতে ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ডেরা রিসোর্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক (সিনিয়র সহকারী সচিব) শেখ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টার ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন করেন। নানা অনিয়মের কারণে তাদের লাইসেন্স নামঞ্জুর করা হয়েছে। রিসোর্টের লাইসেন্স না থাকায় প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘ফসলি জমি দখল করে ডেরা রিসোর্ট নির্মাণ, বিপাকে কৃষক’; ১৯ মার্চ ‘ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ডেরা রিসোর্ট, তদন্ত কমিটি গঠন’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে রাইজিংবিডি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ডেরার লাইসেন্স নামঞ্জুর করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, “অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিতে ডেরা রিসোর্ট নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও ভোগান্তি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদক অনুসন্ধান করে ডেরা রিসোর্টের নানা অনিয়ম তুলে এনেছেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে এটি ভালো উদ্যোগ। তবে এসব নির্দেশনা কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়ন করাটাই বড় কাজ। নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে।”
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কপি পেয়েছি। সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, “লাইসেন্সের বিষয়ে কোন নোটিশ এখনও পাইনি আমরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়েও জানা নেই। যদি লাইসেন্স বাতিল করে থাকে, তাহলে আমরা আইনিভাবে বিষয়টি সমাধান করব।”
এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এশিউর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ সাদীর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা/চন্দন/এস