আমি ছিলাম তার গোপন অনুরাগী। আমার ভাই বলেছিল, ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে লাভ নেই, মেয়েদের রিকোয়েস্ট সে একসেপ্ট করে না।

মাত্র কয়েক দিন হলো ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলেছি। ঝোঁকের বশে পাঠিয়েই দিলাম বন্ধু হওয়ার অনুরোধ। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, সত্যি সত্যি সে রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করেছে!

এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী। কেউ কাউকে কিচ্ছু বলি না। কালেভদ্রে স্ট্যাটাসে দু–একটা লাইক। ও হ্যাঁ, সে যুগে কেয়ার, লাভ, ওয়াও রিঅ্যাক্ট ছিল না।

আমাকে অবাক করে কোনো এক বসন্তের রাতে হঠাৎ তার মেসেজ, ‘আচ্ছা, আমি কি তোমাকে চিনি?’

এই প্রশ্নের উত্তর সেদিন আর দেওয়া হয়নি!

অসম্পূর্ণ কথামালা নিয়ে এরপর বিভিন্ন সময় আমার ইনবক্সে সে এসেছে। বুঝতে পারতাম, কিছু একটা বলতে চেয়েও বলতে পারছে না। আমিও কোনো দিন জোর করে শুনতে চাইনি সে কথা। একবার স্ট্যাটাসে লিখল, ‘চায়ের দোকান দিতে চাই, দোকানের নাম হবে “কাকার দোকান”।’

আমি লিখেছিলাম, ‘দোকানের মালিকের সঙ্গে চা খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা আছে?’

একদিন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরছি। সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে বলে দ্রুত হাঁটছি। হুট করে কোথা থেকে সে সামনে এসে দাঁড়াল! আবার সেই অদ্ভুত প্রশ্ন, ‘আমি কি তোমাকে চিনি?’

আমি শুধু হেসে চলে এসেছিলাম।

ডাক্তারদের একটা পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দায়িত্বে সে ছিল। বন্ধুরা মিলে র‍্যাম্প ওয়াক করব বলে রিহার্সাল করছিলাম। মঞ্চের পর্দাগুলো কীভাবে সাজাতে হবে, এটা জানার জন্য তাকে ডেকে আনলাম। সে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান, প্রতিটি কথাতেই পাঞ্চলাইন আর জোক। সবাইকে সব সময় হাসাতেই থাকে। স্টেজের ডিরেকশন বোঝাতে গিয়ে সে হঠাৎ পা পিছলে পড়ে যাচ্ছিল। স্টেজের সবাই জোরে হেসে উঠল।

আমি একাই নাকি সেদিন ‘ইশ্‌’ বলে দুঃখ প্রকাশ করেছিলাম। গোমড়ামুখে দাঁড়িয়েও ছিলাম।

পার্বতীর ‘ইশ্‌’ শুনে ফেঁসেছিল দেবদাস আর আমার বলা ‘ইশ্‌’ তার মনে দাগ কেটেছিল। সেদিনের পর থেকে বারবার আমার গোমড়ামুখটাই নাকি তার চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। বারবারই তাই এড়িয়ে গেছে অনেক যোগ্য নারীর বিয়ের প্রস্তাব। মজার বিষয় হলো, তার মনে দাগ কাটা ঘটনাটার বিন্দুমাত্র আমার মনে নেই।

আয়োজন করে ‘ভালোবাসি’ না বলে একরাশ অসম্পূর্ণ কথোপকথন নিয়েই একসময় বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়েছিলাম। আসছে ভালোবাসা দিবসে গাঁটছড়া বাঁধার চার বছর পূর্তি। চায়ের দোকান দেওয়ার স্বপ্নটা দুজন মিলেই দেখি এখন। নামটা শুধু বদলেছে ‘ফলিং ইন লাভ অ্যাট আ টি স্টল’।

আরও পড়ুনপ্রেমিকের থুতনিতে নাড়া দিয়ে বলে আসলাম, ‘বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কেড়ে’১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বোনকে খুন করে লাশ বস্তায় ভরেন, পুলিশ জিজ্ঞেস করলে জানান বস্তায় গম

ভারতের উত্তর প্রদেশের গোরখপুরে এক তরুণ তাঁর বোনকে খুন করে লাশ একটি বস্তায় ভরে রেখেছিলেন। ওই বস্তা নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে ভেতরে কী আছে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘এর মধ্যে গম আছে।’

উত্তর প্রদেশের ৩২ বছর বয়সী রাম আশিস নিষাদ তাঁর ১৯ বছর বয়সী বোন নীলমকে খুন করেন।

ওই এলাকায় একটি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। আশিসের বাবা চিংকু নিষাদ সেখানে সরকারের জমি অধিগ্রহণ বাবদ ছয় লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, ওই ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া অর্থের ভাগাভাগি নিয়েই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই রুপি বোনের বিয়েতে খরচ করা হবে জেনে রাম আশিস ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাম আশিস একটি কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে বোন নীলমকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর নীলমের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভেঙে ফেলে দেহটি একটি বস্তায় ভরেন। পরে বাইকের সঙ্গে বেঁধে তিনি গোরখপুর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কুশীনগরের একটি আখখেতে বস্তাটি ফেলে আসেন।

সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে অভিযুক্ত

সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে রাম আশিসকে একটি বস্তা নিয়ে যেতে দেখা যায়। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই বস্তার মধ্যে ছিল তাঁর বোনের লাশ। কুশীনগর যাওয়ার পথে পুলিশ তাঁকে থামিয়ে বস্তায় কী আছে জানতে চেয়েছিল।

রাম আশিস পুলিশকে জানান, বস্তায় গম আছে। পরে আবার তিনি কুশীনগরের দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে যান। সেখানে তিনি আখখেতে নীলমের লাশ ফেলে দেন।

এরপর নীলমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর বাবা প্রথমে ধরে নেন, মেয়ে ছটপূজার জন্য কোথাও গেছে। তবে প্রতিবেশীরা যখন জানান, সোমবার রাম আশিস একটি বস্তা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তখন পরিবারের সন্দেহ হয় এবং ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।

পুলিশ প্রথমে নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ও তদন্ত শুরু করে। গত মঙ্গলবার নীলমের পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়, রাম আশিসই নীলমকে খুন করেছেন।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় রাম আশিস প্রথমে কিছু না জানার ভান করেন। তবে পুলিশের টানা জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পরে বোনকে খুনের কথা স্বীকার করেন। গত বুধবার রাতে আখখেত থেকে নীলমের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

আগামী জানুয়ারি মাসেই নীলমের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের সবকিছু ঠিকঠাকও হয়ে গিয়েছিল।

রাম আশিসের বাবা চিংকু অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া ওই ছয় লাখ রুপি মেয়ের বিয়েতে খরচ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এ কারণে রাম ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। কারণ, তিনি জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া ওই রুপির ভাগ চেয়েছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
  • যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
  • বোনকে খুন করে লাশ বস্তায় ভরেন, পুলিশ জিজ্ঞেস করলে জানান বস্তায় গম