বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) নিয়োগপ্রক্রিয়া এক বছরের মধ্যে শেষ করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। আজ শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসনে মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও মধ্য পদোন্নতি নীতিমালা/আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে, যাতে সহজেই সেটি পরিবর্তন করা না যায়। সরকারি চাকরিতে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়রেখা প্রতিষ্ঠা করা উচিত, বিশেষ করে বিসিএস, বর্তমান নিয়োগপ্রক্রিয়াটি অত্যধিক দীর্ঘ বিধায় নিয়োগ থেকে যোগদান পর্যন্ত প্রক্রিয়াটিকে সহজতর করা প্রয়োজন। বিসিএস পরীক্ষা এক বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে।

আরও পড়ুনবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পিএইচডি থাকলেও বিসিএস শিক্ষাসহ অন্য ক্যাডারে নেই কেন২ মিনিট আগে

পরীক্ষার প্রক্রিয়াটি একটি ব্যাপক লিখিত পরীক্ষায় পরিবর্তন করা যেতে পারে। পিএসসির পরীক্ষার একটি বার্ষিক ক্যালেন্ডার নিম্নরূপ হতে পারে—

(ক) পিএসসির বিজ্ঞপ্তি: জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে

(খ) প্রিলিমিনারি পরীক্ষা: এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে

(গ) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ: মে মাসের প্রথম সপ্তাহে

(ঘ) মূল লিখিত পরীক্ষা: জুন মাসের দ্বিতীয়ার্ধে (১০ দিন)

(ঙ) মূল লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ: ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে

আরও পড়ুনজীবন বীমা করপোরেশন চাকরি, পদ ৩০১৫ ঘণ্টা আগে

(চ) মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা: পরবর্তী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত

(ছ) পিএসসি কর্তৃক চূড়ান্ত ফল প্রকাশ: এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহে

(জ) স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ছাড়পত্র: মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে

(ঝ) নিয়োগের আদেশ গেজেটে প্রকাশ: জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে

(ঞ) নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মন্ত্রণালয়ে যোগদান: জুলাই মাসের এক তারিখ

(ট) পিএটিসির ফাউন্ডেশন কোর্সে যোগ: আগস্টের প্রথম সপ্তাহ

আরও পড়ুননৌবাহিনী নেবে অফিসার ক্যাডেট, আবেদন চলছে০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র শ ষ কর ব স এস

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ