দেশের বিভিন্ন জেলায় ভাঙচুরের ঘটনায় গতকাল শনিবার সকাল থেকে সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের সব গেটের পাশাপাশি প্রাঙ্গণে সেনাসদস্য, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে প্রবেশের ক্ষেত্রে পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে।

এদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের সময় আইনজীবী, আইনজীবীর সহকারী, বিচারপ্রার্থীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার অনুরোধ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

গতকাল হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাহিদামতো এনআইডি কার্ড, পাসপোর্ট কিংবা অফিসিয়াল পরিচয়পত্র দেখানোর অনুরোধ করা হলো।’

এ প্রসঙ্গে ডিএমপি সুপ্রিম কোর্ট অ্যান্ড স্পেশাল কোর্ট সিকিউরিটি বিভাগের উপকমিশনার  মিনহাজ-উল-ইসলাম বলেন, চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিত

খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিত করেছে এডহক কমিটি। সমিতির সদস্য সচিব শেখ নুরুল হাসান রুবা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

শেখ নুরুল হাসান রুবা বলেন, ‘‘৯৪ জন আইনজীবী নির্বাচন ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিতের আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে দুপুর ২টায় বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়। সভায় নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

তৃতীয় খসড়া তালিকা প্রকাশ, বাড়ল ভোটার

যারা সংস্কা‌রের প‌ক্ষে, তাদের সঙ্গে এনসিপির জোট হবে: হাসনাত 

নির্বাচন স্থগিতের সংবাদে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ আইনজীবীরা। 

আজ রবিবার (২ নভেম্বর) বিকালে খুলনা প্রেস ক্লাবে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদ জানান জামায়াত সমর্থিত বাংলাদেশ ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল ও এনসিপি সমর্থিত স্বতন্ত্র আইনজীবী পরিষদের প্রার্থীরা।

ল’ ইয়াস কাউন্সিলের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সেক্রেটারি মনিরুল ইসলাম পান্না বলেন, ‘‘এর আগেও মনোনয়ন বিক্রির শেষ দিনে কথিত সাধারণ সভার নামে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। আজ একই কায়দায় আবারো এডহক কমিটি নির্বাচন স্থগিত করল। এটা অগণতান্ত্রিক, নব্য ফ্যাসিস্টের বহিঃপ্রকাশ।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘দেশে অনেক আইনজীবী সমিতিতে নির্বাচন হয়েছে এবং হচ্ছে। আইনজীবী সমিতির বর্তমান এডহক কমিটি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে, যা নতুন বিপ্লবের সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।’’

স্বতন্ত্র আইনজীবী পরিষদের সভাপতি প্রার্থী আকতার জাহান রুকু বলেন, ‘‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে জেলা আইনজীবী সমিতিতে যে এডহক কমিটি গঠন করা হয়, তার মেয়াদ ছিল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু এডহক কমিটি টালবাহানা করে সাধারণ সভা দিয়ে মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। অনিচ্ছাসত্ত্বেও আমরা তা মেনে নিয়েছিলাম।’’ 

তিনি নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি জানান।

নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবর ছিল মনোনয়নপত্র জমা ও উত্তোলনের শেষ দিন।   

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত
  • পঞ্চদশ সংশোধনী সম্পূর্ণ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল
  • সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ক্যাসিনো–কাণ্ডের সেলিম প্রধান রিমান্ডে
  • সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে দেশ টিভির আরিফ ও নাসার নজরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো
  • অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
  • আপিল বিভাগের বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করলেন নেপালের প্রধান বিচারপতি
  • খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিত
  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
  • সঞ্চয়পত্র কেনার পর যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন
  • এখন দেখছি নতুন প্রতারকের জন্ম হয়েছে: কায়সার কামাল