আজ রোববার রাতে শেষ হচ্ছে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী আন্তর্জাতিক বইমেলা। এবারের বইমেলায় ২৫ কোটি ২০ লাখ রুপির বই বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে মেলার আয়োজক সংস্থা।

এ বইমেলার উদ্বোধন হয়েছিল ২৮ জানুয়ারি। উদ্বোধন করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ছিল এই বইমেলার ৪৮তম বর্ষ। এবারের বইমেলার থিম কান্ট্রি ছিল জার্মানি।

এবারের এই বইমেলায় বাংলাদেশ যোগ না দেওয়ায় বইমেলায় আসা বাংলাভাষী বইপ্রেমিকেরা হতাশ হয়েছেন।

এবার বইমেলার সেরা বিদেশি প্যাভিলিয়ন হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে জার্মানি আর দেশের সেরা প্যাভিলিয়নের পুরস্কার পায় আজকাল পাবলিশার্সের প্যাভিলিয়ন। বিকেলে সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

বইমেলার আয়োজক সংস্থা বুক সেলার্স ও পাবলিশার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় প্রথম আলোকে বলেছেন, আজ রাত ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই বইমেলার শেষ ঘণ্টা বাজবে। তিনি আরও বলেছেন, এই বইমেলায় এখন পর্যন্ত ২৭ লাখ বইপ্রেমী মেলা দেখেছে। আর এখন পর্যন্ত বই বিক্রি হয়েছে ২৫ কোটি ২০ লাখ রুপির।

কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বই দেখছে এক শিশু.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বইম ল য় বইম ল র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ