উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড
Published: 10th, February 2025 GMT
কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ৩০৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে ৮ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার ম্যাথিউ ব্রিটজকে ওয়ানডে অভিষেকেই বিশ্বরেকর্ড গড়লেও তার দুর্দান্ত ১৫০ রানের ইনিংস শেষ পর্যন্ত দলের জয়ে যথেষ্ট হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলার কীর্তি গড়েছেন তিনি, ভেঙেছেন ৪৭ বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি ডেজমন্ড হেইন্সের করা ১৪৮ রানের রেকর্ড।
টস জিতে বোলিং নেওয়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ধীরগতির শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ব্রিটজকে ও জেসন স্মিথের ১০৫ বলে ৯৩ রানের জুটিতে ভালো অবস্থানে পৌঁছায় দলটি। ১২৮ বলে শতক স্পর্শ করার পর ব্রিটজকে আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন, পরের ৫০ রান করেন মাত্র ১৯ বলে। তার ১১ চার ও ৫ ছক্কার ইনিংসে ভর করে প্রোটিয়ারা ৩০৪ রান সংগ্রহ করে।
তবে উইলিয়ামসন-কনওয়ের জুটিতে এই রানও পর্যাপ্ত প্রমাণিত হয়নি। নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ভাঙে দলীয় ৫০ রানের মাথায়। দ্বিতীয় উইকেটে ডেভন কনওয়ে ও কেইন উইলিয়ামসন মিলে গড়েন ১৫৫ বলে ১৮৭ রানের জুটি। সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন দুজনই। তবে উইলিয়ামসন শতকের দেখা পেলেও ৩ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরেছেন কনওয়ে। ২০১৯ সালের পর ওয়ানডেতে উইলিয়ামসনের প্রথম সেঞ্চুরিটি আসে মাত্র ৭২ বলে, যা তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় দ্রুততম শতক। শেষ পর্যন্ত ১১৩ বলে ১৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন কিউই অধিনায়ক, নিশ্চিত করেন দলের সহজ জয়।
এই জয়ের ফলে নিউজিল্যান্ড ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে আসন্ন ম্যাচটি কার্যত নকআউট লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বিজয়ী দল ফাইনালে কিউইদের মুখোমুখি হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’
সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’
অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি বরাবর অভিযোগ করেন।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।