দ্রুতগতির একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয় সড়ক বিভাজকে। এরপর ট্রাকটি উল্টে পড়ে পাশে থাকা একটি লেগুনা ও একটি মোটরসাইকেলের ওপর। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হন মোটরসাইকেলের এক আরোহী। আজ বুধবার সকাল সাতটার দিকে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার নিজামপুর বাজারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম মো.

আক্তার হোসেন। তিনি মিরসরাই উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর গ্রামের মৃত রবিউল হোসেনের ছেলে। এলাকায় একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে তাঁর।

দুর্ঘটনাকবলিত লেগুনার চালক নুরুল মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, সকালে সড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে গাড়িতে যাত্রী নিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী আক্তার হোসেন লেগুনার পাশে আসেন। জানতে চান বাজার থেকে কেনা তাঁর কিছু পণ্য রেস্তোরাঁয় নিয়ে যেতে কত টাকা ভাড়া দিতে হবে। ভাড়া নিয়ে দরদাম করার সময় কয়লাবোঝাই ট্রাকটি পাশের সড়ক বিভাজকে ধাক্কা দেয়। এরপর উল্টে লেগুনা ও মোটরসাইকেলের ওপর পড়ে। নুরুল মোস্তফা বলেন, ‘ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মোটরসাইকেলে থাকা আক্তার হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যান। আমার লেগুনা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আমি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।’

জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে থাকা কুমিরা হাইওয়ে থানা-পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শামসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ স্বজনেরা নিয়ে গেছেন। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও লেগুনাটি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাকচালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘ধারণা করছি, চালক ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

সাজিদকে উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে উদ্ধারে পাশে ৪০ ফুট গভীর গর্ত খনন করা হয়েছে। মূল সরু গর্তে পৌঁছাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখন সুড়ঙ্গ করার কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত সাজিদের দেখা মেলেনি।

গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে মায়ের পেছন পেছন হাঁটার সময় গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। এরপর থেকে তাকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। বুধবার থেকেই ওই গর্তে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।

আরো পড়ুন:

৩৫ ফুট নিচে ক্যামেরা পাঠিয়েও দেখা যায়নি সাজিদকে

কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে মামা-ভাগ্নের মৃত্যু

তানোরের এই এলাকাটি উচ্চ খরাপ্রবণ এলাকা। এখানে মাটির ১২০ থেকে ১৩০ ফুট গভীরেও ভূ-গর্ভস্থ পানির সন্ধান মেলে না। জমির মালিক কছির উদ্দিন একটি গভীর নলকূপ বসাতে চেয়েছিলেন। বছর খানেক আগে ৮ ফুট ব্যাসার্ধে খনন করেছিলেন। পানি না পেয়ে গভীর নলকূপ বসানো হয়নি। সেই গর্তে পড়ে গেছে গ্রামের রাকিবুল ইসলামের ছেলে সাজিদ। ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছিল, শিশুটি প্রায় ৩৫ ফুট নিচে পড়ে গেছে।

ক্যামেরা নামিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা শিশুটিকে দেখতে পাননি। বিকেল থেকে ওই সরু গর্তের পাশে স্কেভেটর দিয়ে খনন শুরু করেন তারা। পর পর তিনটি স্কেভেটর যন্ত্র আনা হয়। এগুলোর মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত গর্ত করা সম্ভব হয়। এরপর সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হয়।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী স্টেশনের সহকারী পরিচালক দিদারুল ইসলাম বলেন, “উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। গর্ত কাটা শেষে এখন সুড়ঙ্গ কাটা হচ্ছে। আমরা শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে চাই।”

এদিকে, অসংখ্য মানুষ উৎকণ্ঠা নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা দেখছেন। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশৃঙ্খলতায় পণ্ড মেসিকে ঘিরে কলকাতার আয়োজন
  • দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে মাস্ক পরা যুবক, এরপর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আগুন
  • তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর
  • হাদিকে গুলি: সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেল
  • রণবীরের হাঁটুর বয়সি নায়িকা সারাকে কতটা জানেন?
  • শত বছরের পুরোনো বিমানবন্দরে হচ্ছে ৩ হাজার কোটি ডলারের শহর
  • চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচন নিয়ে অচলাবস্থা কেটেছে
  • ‘এরপর তাঁর পালা’: কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট পেত্রোকে ট্রাম্পের হুমকি
  • ৮ ম্যাচে মাত্র ২ জয় রিয়ালের, চাকরি হারানোর শঙ্কার মুখেও ‘ইতিবাচক’ আলোনসো
  • সাজিদকে উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ