স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস নিলেন স্ত্রী!
Published: 15th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে এক নববধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত সামিয়া (১৫) টেটিয়া উলুকান্দি গ্রামের মুসা মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী পার্শ্ববর্তী মানিকপুর গ্রামের রওশন আলীর ছেলে নাসিম ইসলাম।
শুক্রবার বিকেলে আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের টেটিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, সামিয়া চৈতন্যকান্দা গোলাম মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে মানিকপুর গ্রামের রওশন আলীর ছেলে নাসিম ইসলামের সাথে পরিচয় ঘটে। একপর্যায়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত দুই মাস আগে ১০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা নারায়ণগঞ্জে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। দুই মাস নারায়ণগঞ্জ সদরে থাকার পর গত সপ্তাহে এলাকায় এসে সামিয়াকে তার বাবার বাড়ি রেখে আসেন। এরপর থেকে নাসিম সামিয়ার পরিবারকে দেনমোহরের ১০ লাখ টাকার পরিবর্তে এক লাখ টাকা ধার্য করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। সামিয়া ও তার পরিবার এতে রাজি না হওয়ায় তাকে নিয়ে সংসার করবেন না বলে নাসিম সাফ জানিয়ে দেয়। এ নিয়ে মোবাইলে তাদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়।
গত শনিবার বাড়িতে কেউ না থাকায় সামিয়া মোবাইলে নাসিমকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। পরিবারের লোকজন বাড়িতে এসে তার ঝুলন্ত লাশ দেখে দ্রুত উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে। আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ পর ব র র পর ব
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।