লোকে বলে, ভাগ্য সহায় হলে নাকি অনেক অসম্ভবও সম্ভব হয়ে যায়। চিলির আদ্রিয়ান সিমানকাসের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে হয়তো এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলা যেতে পারে। কেননা, তিমির পেটে গিয়েও প্রাণ নিয়ে ফিরে এসেছেন তিনি।

আদ্রিয়ানের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটেছে গত শনিবার। চিলির মাগেলান প্রণালিতে বাবার সঙ্গে কায়াকিং করছিলেন আদ্রিয়ান। এমন সময় একটি তিমি তাঁর কায়াকে (ফাইবার, কাঠ ও পাটের তন্তু দিয়ে তৈরি ১০ ফুট লম্বা সরু নৌকা) আক্রমণ করলে আদ্রিয়ান পানিতে পড়ে যান।

আদ্রিয়ান কায়াক থেকে সমুদ্রে পড়ে যাওয়ার পর তিমিটি আবার তাঁকে আক্রমণ করে। কিছুক্ষণ তাড়া করার পর একপর্যায়ে তাঁকে গিলে ফেলে তিমিটি। তবে আদ্রিয়াকের ভাগ্য ছিল ভালো। বেশিক্ষণ তাঁকে তিমির পেটে থাকতে হয়নি। কয়েক মুহূর্ত পর তিমিটি তাঁকে পেট থেকে উগরে দেয়।

ছেলে এত বড় বিপদের মুখে পড়লেও বাবা ছিলেন এ সময় একেবারে শান্ত। তিনি পুরো ঘটনাটি মুঠোফোনের ক্যামেরায় ধারণ করেন। সেই ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, হলুদ রঙের কায়াকে বসে বইঠা বাইছেন আদ্রিয়ান। হঠাৎ সমুদ্র থেকে একটি তিমি ভেসে ওঠে। এরপর তিমিটি আদ্রিয়ানকে গিলে ফেলে। কিছুক্ষণ পরই আদ্রিয়ানকে আবার পানিতে ভেসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তাঁর বাবা ছেলের উদ্দেশে বলছিলেন, ‘ধৈর্য ধরো, শান্ত থাকো।’

তিমির পেটে কয়েক মুহূর্ত থাকার পর আদ্রিয়ান আবার পানিতে ভেসে উঠলে দ্রুত তাঁর কাছাকাছি যান বাবা। তিনি আদ্রিয়ানকে টেনে তাঁর কায়াকে তোলেন। এরপর বাবা–ছেলে মিলে তীরে ফেরেন। তবে এ ঘটনায় দুজনের কেউই আহত হননি।

ভয়াল সে মুহূর্তের বর্ণনা দিয়ে আদ্রিয়ান বলেন, ‘তিমিটি আমাকে খেয়ে ফেলবে মনে করেছিলাম। কিন্ত একপর্যায়ে তিমির পেট থেকে বেরিয়ে আসি। এ সময় ভয় আরও বাড়ে। তখন একটা কথাই মনে হচ্ছিল, যদি ঠিক সময়ে তীরে ফিরতে না পারি।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অসুখবিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না: ববিতা

জন্মদিনে দেশে নেই দেশবরেণ্য অভিনয়শিল্পী ববিতা। তিনি এখন আছেন কানাডায়, একমাত্র ছেলে অনিকের কাছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ছেলের কাছে উড়াল দিয়েছেন ববিতা। থাকবেন আগামী নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর দেশবরেণ্যে এই অভিনয়শিল্পীর ঢাকায় ফেরার কথা। আজ বুধবার কানাডার স্থানীয় সময় সকালে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে কথা প্রসঙ্গে জানালেন ববিতা।

আজ ৩০ জুলাই ববিতার জন্মদিন। কয়েক বছর ধরে এই দিনে ঢাকায় থাকলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে গুলশানের বাসায় গান শোনা, আড্ডা দেওয়া, খাওয়াদাওয়া হয়। এর বাইরে পরিচিতজনেরা শুভেচ্ছা জানান। এবার ওসব নেই, যেহেতু কানাডায় আছেন তিনি। ববিতা প্রথম আলোকে জানান, জন্মদিন নিয়ে সেভাবে কোনো ধরনের পরিকল্পনা নেই। কখনো এটা থাকেও না। বললেন, ‘আমার ছেলের আজকে অফিস আছে। বিকেল পাঁচটায় ওর অফিস শেষ হবে। এরপর মা–ছেলে দুজন মিলে ঘুরতে যাব। ছবি তুলব। রাতের খাবার খাব। কেক কাটব। তারপর দুজন মিলে বাসায় ফিরব। ছেলের কাছে আছি, এটাই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার।’

ফরিদা আক্তার ববিতা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আবারও হতাশায় ডুবিয়ে এগিয়ে গেল পাকিস্তান
  • গভীর রাতে থানায় গিয়ে স্বামীর আত্মসমর্পণ, পরে ভাড়া বাসা থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
  • জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ভিপিএনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল
  • রূপ নয়, সাহস দিয়ে জয় করা এক নায়িকা
  • টানা দুই জয়ের পর এবার হার বাংলাদেশের যুবাদের
  • বক্সিং রিংয়ে চ্যাম্পিয়ন জিনাতই, বোনকে উৎসাহ দিতে গ্যালারিতে আফঈদা
  • ভারতের অর্থনীতি মৃত, ট্রাম্প ঠিকই বলেছেন: রাহুল
  • হেনরির ৬ উইকেটের পর দুই ওপেনারে নিউজিল্যান্ডের দিন
  • অসুখবিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না: ববিতা