সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রায় শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) চালানো যাবে না। যদি কেউ সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কম তাপমাত্রায় এসি চালায়; তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা ব্যক্তির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি পর্যবেক্ষণে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দিষ্ট টিম কাজ করবে। কোথাও নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে সে এলাকায় লোডশেডিং করা হবে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বাণিজ্য উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হবে, যাতে বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এ সিদ্ধান্ত জানায়। ধর্ম উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হবে যাতে মসজিদের ইমামদের অনুরোধ করেন যে, ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রায় শীতাতপ যন্ত্র না চালান। কেবিনেট ডিভিশনের সচিবকে ডিও দিয়ে সচিবালয়সহ সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হবে।

ফাওজুল কবির খান বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে লোডশেডিং কমানোর জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, শীত মৌসুমে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯০০০ মেগাওয়াট। কিন্তু গ্রীষ্ম মৌসুমে চাহিদা বেড়ে ১৭০০০ থেকে ১৮০০০ মেগাওয়াট হয়ে যায়।

উপদেষ্টা বলেন, দুটো কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়, তার একটি হচ্ছে সেচ। সেচে ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে। এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেটা আমরা দিতে চাই। এর বাইরে ৬০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে শুধু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালানোয়। এসি এখন শুধু শহরে নয়, গ্রাম পর্যন্ত ব্যবহার হয়। অনেকে সোয়েটার, কোট পরে ১৯,২০,২১,২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও এসি চালায়। আমাদের দেশে এত কম তাপমাত্রার দরকার নেই।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

যৌনকর্মী হতে বাধ্য হয়েছিলেন এই নায়িকা, শেষ জীবনে নিঃস্ব

একসময় তাঁর জীবনে আলোর অভাব ছিল না। অভিনয়ে এসেই পেয়ে গিয়েছিলেন বি আর চোপড়ার মতো পরিচালকের ছোঁয়া, সহ-অভিনেতা ছিলেন রাজকুমার ও সুনীল দত্ত। ‘হামরাজ’-এর সাফল্যের পর মনে হয়েছিল, বলিউডে হয়তো নতুন এক তারকা জন্ম নিলেন—ভিমি। কিন্তু সেই উজ্জ্বল স্বপ্ন দ্রুতই রূপ নেয় এক দুর্বিষহ দুঃস্বপ্নে। ১৯৭৭ সালে, মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে মারা যান ভিমি, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে। মৃত্যুর পর তাঁর দেহ চিতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঠেলাগাড়িতে করে। বলিউডে যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন, তাঁদের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। কেবল ছিলেন সুনীল দত্ত।

ভিমির জীবন যেন ছিল এক ট্র্যাজেডির চিত্রনাট্য। গানের তালিম নিয়েছিলেন ছোটবেলায়, কিন্তু সিনেমায় অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই পরিবার তাঁকে ত্যাগ করে। পলি হিলে বিলাসবহুল বাংলো, গলফ খেলার শখ, স্পোর্টস কারে চড়া—সবই ছিল তাঁর জীবনে। তবু ব্যক্তিজীবনের টানাপোড়েন আর ক্যারিয়ারের ছন্দপতন তাঁর গল্পকে করে তোলে করুণ।

সিনেমার দৃশ্যে ভিমি। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ