অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ত্রয়োদশ সাধারণ নির্বাচনে তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। তিনি বলেছেন, ‘‘সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময়ের কথা বলে দীর্ঘসময় নেওয়া ঠিক হবে না। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। আমরা চাই, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন এবং অবাধ, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। যে দল ষড়যন্ত্র করবে জনগণ তাদের সমুচিত জবাব দেবে।’’

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিকালে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চাঁদপুর জেলা বিএনপির আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘‘আমরা সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। আমরা সরকারের কাছে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চাই। যৌক্তিক সময় বলে দীর্ঘ সময় নেওয়া ঠিক হবে না। সরকার কী করতে চায়, কতদিন সময় নিবে, কী কী সংস্কার হবে এগুলো আমরা জানতে চেয়েছি। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, প্রতিটি প্রজন্ম তার আগের প্রজন্ম থেকে বেশি দূরদর্শী। ভবিষ্যতে নতুন নতুন সংস্কারের প্রয়োজন হবে। বেশি সংস্কার করে লাভ হবে না। জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্বারা পাশ করা না হলে সেই সংস্কার টেকসই হবে না। তাই কেবল অতীব জরুরি সংস্কার করে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে আমরা বলতে পারি; আমাদের গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচিত সরকার আছে।’’

আরো পড়ুন:

আ.

লীগ ছাড়াও একটি দল বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে: সোহেল

ভারতকে মির্জা ফখরুল
বন্ধুত্ব করতে চাইলে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিন

চাঁদপুর জেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ তিনি বলেন, ‘‘নিজেদের একতাবদ্ধ করার চেষ্টা করতে হবে। অতীতে কী হয়েছে, তা ভুলে যেতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাকে জয়লাভ করাতে হবে।’’ 

আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘‘বিভক্তির মাধ্যমে সমাধান হবে না। যারা অন্যায় করেছে অবশ্যই তাদের বিচার হতে হবে। আইনকে নিজের হাতে তোলা যাবে না। এই সরকারকে জনগণের সরকার বলা যাবে, তবে গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকার বলা যাবে না।’’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ অন্যায় করেছে, সন্ত্রাস করেছে, তাদের ব্যাপারে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থা নেয়নি এটা দুঃখের বিষয়।’’ 

চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সলিম উল্যাহ সেলিমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদ, রাশেদা বেগম হীরা, এলডিপি নেতা আবু তাহের, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহবুব আনোয়ার বাবলু প্রমুখ।
 

ঢাকা/জয়/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

স্বচ্ছতার জন্য ডিএনসিসির প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে:

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।  

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ডিএনসিসির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পশ্চিম শেওড়াপাড়া, পশ্চিম কাজীপাড়া ও সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৫ কিলোমিটার নর্দমা ও দেড় কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণকাজের উদ্বোধন ও গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, ডিএনসিসির সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রকল্পটি কবে শুরু হবে, কবে শেষ হবে, কতা টাকা বরাদ্দ আছে—এসব তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এছাড়া, রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ হলে নির্মাণ সামগ্রী কী, সেটা জনগণের জানা দরকার। যখন জনগণ জানবে, তখন তারা জবাবদিহি করতে পারবে।

তিনি বলেন, “আমি গত সপ্তাহে কাউকে না জানিয়ে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে চলমান কাজ পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, রাস্তাকে ধরে রাখার জন্য যে ওয়াল (বিশেষ দেয়াল) দেওয়া হয়েছে, সেটার পিলার বানানোর কথা ছিল স্টোন দিয়ে; কিন্তু বানিয়ে রেখেছে ব্রিক দিয়ে। এটা বড় দুর্নীতি। স্থানীয় মানুষ যদি না জানে, কী নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হবে, তাহলে দুর্নীতি করাটা সহজ। তথ্যের যত বেশি আদান-প্রদান হবে, তথ্য যত বেশি পাবলিক করা হবে, জনগণ তত বেশি জবাবদিহি করতে পারবে। আমি ঠিকাদারকে জানিয়ে দিয়েছি, সঠিক নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করলে বিল দেব না। তারা বলেছে, এটা ঠিক করে দেবে।” 

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, যার যার এলাকার কাজ তারা বুঝে নেবেন। বুঝে নেওয়ার জন্য যত তথ্য ও সহযোগিতা লাগবে, সেটা আমরা দেব। ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকল্পের সব তথ্য ও ঠিকাদারের ফোন নম্বরসহ দেওয়া থাকবে। স্থানীয় জনগণ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ বুঝে নেবেন। আমরা চাই, সকলের অংশগ্রহণে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হবে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় সোসাইটি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতা পাচ্ছি। সবার অংশগ্রহণ বাড়াতে আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিয়ে গণশুনানি করছি। প্রতি মাসে ফেসবুক লাইভে দেশে-বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সাথে যুক্ত হচ্ছি। ডিএনসিসির সবার ঢাকা অ্যাপ আছে, সেটির পাসওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের দিচ্ছে না। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা ৪ কোটি টাকা খরচ করে এই অ্যাপ বানিয়েছে। পাসওয়ার্ড না দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় হকারদের জন্য হাটা যায় না। মানুষের অবাধ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। ঢাকা শহরে মানুষের চলাচলের অধিকার সবার আগে, সেই অধিকার আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। মিরপুর-১০ এর প্রধান সড়কের যত হকার ও অটোরিকশা আছে, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। যারা এ ধরনের ইনফরমাল পেশায় যুক্ত আছেন, তাদের পুনর্বাসনের জন্যও আমরা প্ল্যাটফর্ম করব। তাদের জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা আমরা তৈরি করব। এই শহরটা সবার, সবাই একসাথে বসবাস করব; কিন্তু অন্যদের কষ্ট না দিয়ে, অন্যের অধিকার নষ্ট না করে। 

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সাথে পুলিশের মতবিনিময়
  • ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিপিবি নেতার সৌজন্য সাক্ষাৎ
  • রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত স্থগিতের দাবি রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের
  • ট্রাম্প কানাডাকে ‘ভেঙে ফেলতে’ চেয়েছিলেন
  • পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
  • হামদর্দের গাজার জনগণের প্রতি মানবিক সহায়তা
  • প্রশাসক নিয়োগের বিরুদ্ধে রিট, ইউনিয়ন পরিষদটিতে চার মাস ধরে সব সেবা বন্ধ
  • সংসদে সংরক্ষিত আসন, না তৃণমূল রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ?
  • স্বচ্ছতার জন্য ডিএনসিসির প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে: