ঢাবিতে শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু
Published: 17th, February 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের উদ্যোগে বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের বিএফএ এবং এমএফএ এর ৮১জন শিক্ষার্থীর শিল্পকর্ম নিয়ে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। চলবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
অনুষদের ওসমান জামান মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড.
অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রদর্শনীর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র গাইন।
এ সময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, “দেশ ও সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে শিল্পী সমাজের ভূমিকা রাখতে হবে। শিল্পীরা শিল্পকর্মের মাধ্যমে সমাজের নানা অসংগতি ও চারপাশের অদৃশ্য বিষয় আমাদের সামনে তুলে ধরেন। সৃজনশীল শিল্পকর্মের মাধ্যমে দেশের শিল্প জগৎকে সমৃদ্ধ করার জন্য তরুণ শিল্পীদের ভূমিকা রাখতে হবে।”
তিনি বলেন, “তরুণ শিল্পীদের আকর্ষণীয় ও বৈচিত্র্যময় শিল্পকর্ম নিয়ে আয়োজিত এ প্রদর্শনীর একটি ভিন্ন মাত্রা রয়েছে। আগামী দিনের শিল্প জগৎ এ তরুণ শিল্পীদের হাত ধরেই সমৃদ্ধ হবে।”
বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে ১১ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা হয়। উপ-উপাচার্যসহ অন্য অতিথিরা শিল্পীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- এমএফএ দ্বিতীয় পর্বের শিক্ষার্থী রাকিন নাওয়ার (আনোয়ারুল হক পুরস্কার, সব মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ), বিএফএ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী দেওয়ান মো. ফয়সাল হাসান পাশা (রফিকুন নবী বিশেষ পুরস্কার), এমএফএ দ্বিতীয় পর্বের শিক্ষার্থী বনানী সিমলাই (শ্রেষ্ঠ পুরস্কার, নিরীক্ষাধর্মী কাজ), বিএফএ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মামুন অর রশিদ লিয়ন (মাধ্যম শ্রেষ্ঠ পুরস্কার, তেলরং), বিএফএ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ঐশী রানী মন্ডল (মাধ্যম শ্রেষ্ঠ পুরস্কার, পেন), বিএফএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অভিজিৎ চন্দ্র দে (মাধ্যম শ্রেষ্ঠ পুরস্কার, পেন্সিল), এমএফএ দ্বিতীয় পর্বের শিক্ষার্থী অরৈনি হোসেন অথৈ (কাজী আব্দুল বাসেত স্মৃতি পুরস্কার), এমএফএ দ্বিতীয় পর্বের শিক্ষার্থী কৌস্তভ মানি পাঠক (দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি পুরস্কার), এমএফএ দ্বিতীয় পর্বের শিক্ষার্থী ঝলক সাহা (মাহবুবুল আমিন স্মৃতি পুরস্কার), বিএফএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তানজিলা ইসলাম (শহীদ শাহনেওয়াজ স্মৃতি পুরস্কার) এবং বিএফএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সমুদ্র সাহা (বিশেষ পুরস্কার, পেন্সিল)।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর ষ র শ ক ষ র থ শ ল পকর ম ব এফএ
এছাড়াও পড়ুন:
‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়’
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে আল-নাসর। তবে মাঠের ফলাফলের চেয়েও এখন আলোচনায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রতিক্রিয়া। ম্যাচ শেষে তার ‘বিষণ্ণ ও নাটকীয়’ আচরণ উপহাস হিসেবে দেখছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
বুধবার রাতে জেদ্দার আলিনমা স্টেডিয়ামে জাপানি ক্লাব কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হারে সৌদি ক্লাব আল-নাসর। এই পরাজয়ে রোনালদোর দলের সামনে চলতি মৌসুমে আর কোনো ট্রফি জয়ের সুযোগ থাকল না। সেমিফাইনালের ম্যাচটিতে রোনালদো একটি সুবর্ণ সুযোগও নষ্ট করে। প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষককে কাটিয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন পর্তুগিজ মহাতারকা। সমর্থকদের মতে, রোনালদোর গোল মিস করাটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
ম্যাচ শেষে হতাশ রোনালদোকে দেখা যায় মাঠের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে নিজে নিজে কথা বলতে ও আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুটা নাটকীয় ভঙ্গিতে হাত নেড়েছেন। তার এই অদ্ভুত আচরণ নিয়েই এখন সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘রোনালদোর জন্য ‘ফুটবলকে ছেড়ে দাও, তার আগেই যে ফুটবল তোমাকে ছাড়বে’—এই কথাটা একেবারে যথার্থ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এই লোকটা এখন আর মজার না… শুধু অহঙ্কারে ভরা।’
তৃতীয় একজন মন্তব্য করেছেন, ‘মেসির বিশ্বকাপ জয় মানসিকভাবে শেষ করে দিয়েছে রোনালদোকে।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে বলেন, ‘ক্যামেরার জন্য এমন মরিয়া চেষ্টাও এক রকম প্রশংসার দাবি রাখে—যদি না সেটা এত করুণ হতো।’
অনেকে আবার রোনালদোর স্বার্থপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়।’
তবে এত সমালোচনার পরও অবসরের কোনো ইঙ্গিত দেননি রোনালদো। বরং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে দলের প্রতি নিজের গর্বের কথা জানান তিনি। রোনালদো লেখেন, ‘সবসময় স্বপ্ন পূরণ হয় না। তবে আমি গর্বিত আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে। যারা আমাদের পাশে থেকেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সমর্থন আমাদের অনেক কিছু বলে।’
এদিকে ম্যাচ শেষে আল-নাসরের কোচ স্তেফানো পিওলি দলের পারফরম্যান্সে ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কৌশলে সমস্যা ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে ঝুঁকি নিয়েছিলাম। তবে যে পারফরম্যান্স হয়েছে, তা হতাশাজনক। প্রতিপক্ষ আমাদের চমকে দেয়নি, বরং নিজেদের দুর্বলতাই বড় ধাক্কা দিয়েছে।’
এই হারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়েছে আল-নাসর, আর প্রশ্নটা থেকে গেছে—রোনালদো আসলে কোথায় গিয়ে থামবেন?