পদ্মা সেতুতে বাসের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে গেল অ্যাম্বুলেন্স, আহত ৫
Published: 17th, February 2025 GMT
পদ্মা সেতুতে নিয়ন্ত্রণ হারানো বাসের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে গেছে অ্যাম্বুলেন্স। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচজন।
আজ সোমবার দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা এলাকায় সেতুর ৩০ নম্বর পিলারের ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার শিকার অ্যাম্বুলেন্সটি পদ্মা সেতু দিয়ে শিবচরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ঢাকা থেকে আসা ইলিশ পরিবহনের একটি বাস অতিরিক্ত গতিতে এসে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় অ্যাম্বুলেন্সটিকে। এতে অ্যাম্বুলেন্সের পেছনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ভেতরে থাকা পাঁচজন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
দুর্ঘটনার পরপরই পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের পেট্রোল টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে। তাদের শিবচরের পাঁচ্চর রয়েল প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নকিব আকরাম হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি। তবে আহতদের নাম-পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তাদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পদ ম স ত দ র ঘটন আহত দ র ঘটন র
এছাড়াও পড়ুন:
আলীকদমে ২ পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় ‘ট্যুর এক্সপার্টের’ বর্ষা গ্রেপ্তার
বান্দরবানের আলীকদমে ২ পর্যটকের মৃত্যু ও ১ জন নিখোঁজের ঘটনায় ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ নামক গ্রুপের অ্যাডমিন বর্ষা ইসলাম বৃষ্টিকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার আলীকদমের একটি পাহাড়ি স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত ১২ ও ১৩ জুন আলীকদম থেকে স্মৃতি আক্তার ও শেখ জুবাইরুল ইসলাম নামে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর হাসান চৌধুরী শুভ নামে এক যুবক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। দুই পর্যটক মৃত্যুর ঘটনায় আলীকদম থানায় করা মামলায় বর্ষা ইসলাম বৃষ্টিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আলীকদম থানার ওসি মির্জা জহির উদ্দিন সমকালকে জানান, বর্ষার বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত স্মৃতি আক্তারের বাবা হাবিবুর রহমান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন বর্ষা ইসলামের আহ্বানে গত ৮ জুন রাতে ৩৩ সদস্যের একটি দল ঢাকা থেকে বান্দরবানে পাহাড়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। গত ১০ জুন বর্ষা ইসলামসহ ১২ সদস্য ও একজন লোকাল গাইড আন্ধারমানিক ট্রেইলের দিকে অগ্রসর হন। অপরদিকে স্মৃতি আক্তারসহ ২০ জনকে পাহাড় সম্পর্কে অনভিজ্ঞ এক ব্যক্তির তত্ত্ববধানে আলীকদমে ফেরত পাঠানো হয়। ১১ জুন বিকেলে শামুক ঝর্ণা এলাকায় হঠাৎ পাহাড়ি ঢলে স্মৃতি আক্তার, হাসান চৌধুরী শুভ এবং শেখ জুবাইরুল ইসলাম নিখোঁজ হন। পরে ১২ ও ১৩ জুন স্মৃতি ও জুবাইরুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে হাসান চৌধুরী এখনও নিখোঁজ।
পুলিশ জানায়, যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আবহাওয়ার সতর্কতা এবং প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ আয়োজনের ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার মামলায় বর্ষা ইসলামসহ সংশ্লিষ্টদের গাফিলতিকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে।