পঞ্চগড় পৌর বিএনপির ৪১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে মো. তৌহিদুল ইসলামকে। সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পঞ্চগড় সদর পৌরসভাধীন ওয়ার্ড কমিটিগুলো আহ্বায়ক মো.

তৌহিদুল ইসলাম এবং এক নম্বর সদস্য শামসুজ্জামান বিপ্লবের যৌথ স্বাক্ষরে অনুমোদিত হবে।

গত ২৩ নভেম্বর পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম ও সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ স্বাক্ষরিত পঞ্চগড় পৌর বিএনপির ৩১ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ওই কমিটিতে মো. তৌহিদুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও আবদুল বারীকে সদস্যসচিব করা হয়েছিল। পরে ১৫ ডিসেম্বর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে পৌর বিএনপির ওই নবগঠিত কমিটির পরিচিত সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর পৌর বিএনপির ওই আহ্বায়ক কমিটি পৌরসভা এলাকার নয়টি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করেছে।

মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগে জেলা বিএনপি থেকে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়ে ছিল। এবার ঢাকা থেকে ৪১ সদস্যবিশিষ্ট আরেকটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। দুটি কমিটিতেই আমি আহ্বায়ক। এবারের যে কমিটি দেওয়া হয়েছে, সেখানে নতুন করে আরও ১০ জনকে যুক্ত করা হয়েছে। তবে আগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর আমরা নয়টি ওয়ার্ডে কমিটি করেছি।’

নতুন আহ্বায়ক কমিটির এক নম্বর সদস্য শামসুজ্জামান বিপ্লব বলেন, ‘এখানে সবাই তো বিএনপিরই। আর আমাদের আহ্বায়ক সাহেব তো সবারই মুরুব্বি। আমরা আহ্বায়কের সঙ্গে কথা বলে, বাকি কাজগুলো একসঙ্গেই করব। আর ওয়ার্ড কমিটিগুলোর বিষয়ে সবাই আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

২০০৯ সালে পঞ্চগড় পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে মো. তৌহিদুল ইসলাম সভাপতি, এ বি এম আখতারুজ্জামান শাহজাহান সাধারণ সম্পাদক এবং আবদুল্লাহ আল মামুন সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পৌর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ গঠন করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হলেও আর কমিটি গঠিত হয়নি। সর্বশেষ গত বছরের ২৩ নভেম্বর ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর ওই কমিটিতে আরও ১০ জন সংযুক্ত করে। এবার ৪১ সদস্যবিশিষ্ট  আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত হ দ ল ইসল ম হয় ছ ল সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশ: ডেরা রিসোর্টের লাইসেন্স বাতিল

মানিকগঞ্জের ঘিওরের বালিয়াখোড়ায় অবস্থিত ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের নানা অনিয়ম নিয়ে রাইজিংবিডিতে ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ডেরা রিসোর্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর)  বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক (সিনিয়র সহকারী সচিব) শেখ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

জানা গেছে, ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টার ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন করেন। নানা অনিয়মের কারণে তাদের লাইসেন্স নামঞ্জুর করা হয়েছে। রিসোর্টের লাইসেন্স না থাকায় প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘ফসলি জমি দখল করে ডেরা রিসোর্ট নির্মাণ, বিপাকে কৃষক’; ১৯ মার্চ ‘ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ডেরা রিসোর্ট, তদন্ত কমিটি গঠন’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে রাইজিংবিডি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ডেরার লাইসেন্স নামঞ্জুর করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। 

সুশাসনের জন্য নাগরিক মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, “অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিতে ডেরা রিসোর্ট নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও ভোগান্তি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদক অনুসন্ধান করে ডেরা রিসোর্টের নানা অনিয়ম তুলে এনেছেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে এটি ভালো উদ্যোগ। তবে এসব নির্দেশনা কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়ন করাটাই বড় কাজ। নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে।” 

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কপি পেয়েছি। সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, “লাইসেন্সের বিষয়ে কোন নোটিশ এখনও পাইনি আমরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়েও জানা নেই। যদি লাইসেন্স বাতিল করে থাকে, তাহলে আমরা আইনিভাবে বিষয়টি সমাধান করব।”

এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এশিউর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ সাদীর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঢাকা/চন্দন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ