নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মন্ত্রে হোয়াটসঅ্যাপ যেন মরিয়া। সময়ের আবর্তে দিয়ে যাচ্ছে নিত্যনতুন সেবার জানান। চ্যাটিংয়ের সঙ্গে ইন্টারনেট কলের জন্য অ্যাপটি সর্বাধিক জনপ্রিয়। বিশেষত নির্বিঘ্নে ভিডিও কলের জন্য বেশির ভাগ গ্রাহক মেটা মালিকানাধীন ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং এ অ্যাপকেই পছন্দের তালিকার শীর্ষে নিয়েছেন।
সাধারণ মানুষের ভিডিও কলের গুরুত্ব বুঝে করোনার সময় থেকে অ্যাপটি দারুণ সব পরিষেবা দিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে অ্যাপের ভিডিও কলে ব্যাকগ্রাউন্ড কন্ট্রোল, ভয়েস কল সুইচ, কল লিঙ্ক ক্রিয়েট, এমনকি স্ক্রিন শেয়ারের মতো ফিচার জুড়ে গেছে। ভিডিও কলিং সেবাকে টেক্কা দিতে ও ভক্তদের দুর্দান্ত কলিং অভিজ্ঞতা দিতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে অ্যাপ কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ৩২ জন হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে উপস্থিত থাকতে পারবেন। কিছু বেটা ইউজার নিয়মিত ইনভাইটেশন মেসেজ পাচ্ছেন বলে খবরে প্রকাশ।
লকডাউনের কঠিন সময় থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ নিজের ভিডিও কলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা (লিমিট) বাড়ানোর পরিকল্পনা করে। তবে নতুন আপডেটে হোয়াটসঅ্যাপ উইন্ডোজ সংস্করণে একসঙ্গে ৩২ জন অ্যাপের মাধ্যমে ভিডিও কলে সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারবেন। এর আগে সর্বাধিক আটজন মিলে কলসেবায় যুক্ত থাকতে পারতেন। উইন্ডোজ অ্যাপের সবশেষ আপডেট ইনস্টল করার পরেই ভিডিও কলের নতুন ফিচার দৃশ্যমান হবে। অনেকেই সুবিধাটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আপডেট না থাকার কারণে। আপাতত বেটা গ্রাহকরা সুবিধার আওতায় পড়বেন।
দ্রুতই সব দেশের জন্য ধাপে ধাপে বিশেষ পরিষেবাটি অবমুক্ত হবে। আপডেটে ৩২ জনের একসঙ্গে অডিও কলে অংশগ্রহণের খবর ছিল সর্বাধিক আলোচিত।
মেটার স্বপ্নদ্রষ্টা মার্ক জাকারবার্গ আগেই জানান দিয়েছিলেন, অ্যান্ড্রয়েড আর আইওএস (আইফোন) সংস্করণের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত পরিবর্তনে সুবিধা যুক্ত হবে। উইন্ডোজ সংস্করণে হোয়াটসঅ্যাপ দিয়ে ৩২ জনের একসঙ্গে ভিডিও কলের সুবিধা নতুন মাত্রা যোগ করবে। অন্যদিকে, অডিও কলের একই সংখ্যক সুবিধা আগে থেকেই সচল রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প হ য় টসঅ য প ভ ড ও কল র র জন য আপড ট
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।