উত্তরার সাহসী নারী ও সরকারের ‘শয়তান ধরা অভিযান’
Published: 20th, February 2025 GMT
বাংলাদেশে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মতো মানুষ কমে গেছে। তা-ও যদি সেই অন্যায় হয়ে থাকে গরিব মানুষের ওপর। কেউ প্রতিবাদ করতে চান না। কেননা যাঁরা অন্যায় করেন, তাঁরা ক্ষমতাবান। কেউ অর্থে, কেউ অস্ত্রে। কে যায় খামোখা ঝামেলা করতে?
কিন্তু উত্তরার মেহেবুল হাসান ও নাসরিন আক্তার যখন দেখলেন, একটি মোটরসাইকেলে দুই তরুণ প্রচণ্ড শব্দে সামনের রিকশাকে ধাক্কা দিলেন, তাঁরা প্রতিবাদ করলেন। ওই রিকশায় শিশুসন্তানসহ এক দম্পতি যাচ্ছিলেন। যেকোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মেহেবুল ও নাসরিনের জীবন বিপন্ন হওয়ার উপক্রম। প্রথমে দুই মোটরসাইকেলে আসা তিন যুবক তাঁদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেন। এরপর তাঁরা ওই যুগলকে আক্রমণ করলেন। একজন টেলিফোন করে অন্য সহযোগীদের ডেকে আনেন, যাঁদের একজনের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র।
ভাইরাল হওয়া ১৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একজন নারী ও একজন পুরুষের ওপর দুজন ধারালো অস্ত্র (রামদা) দিয়ে হামলা করছেন। তাঁরা বাঁচার জন্য চিৎকার করছেন। একপর্যায়ে ফুটপাত ঘেঁষে রাখা একটি রিকশার পেছনে আশ্রয় নেন হামলার শিকার পুরুষটি। তখন এক যুবক রিকশার সামনের দিকে ঘুরে তাঁর ওপর হামলা করেন। নারীর ওপর হামলাকারী যুবকও দৌড়ে রিকশার কাছে আসেন। এরপর হামলার শিকার নারী দৌড়ে পুরুষের কাছে এসে ঢাল হয়ে তাঁকে রক্ষার চেষ্টা করেন।
বুধবার প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ছয়টি ছবি ছাপা হয়েছে। এতে দেখা যায়, কখনো নারীটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত থেকে বাঁচার জন্য আকুতি জানাচ্ছেন, কখনো পুরুষটির সামনে এসে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁকে রক্ষার জন্য। অন্যদিকে অস্ত্রধারী একের পর এক আঘাত করে যাচ্ছেন। যুবকদের আঘাতে তাঁদের শরীর রক্তাক্ত হয়। হাত পা কেটে যায়। এরপরও ওই যুগল হাল ছেড়ে দেননি। তাঁদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হন। এগিয়ে আসে আশপাশে টহলে থাকা পুলিশ সদস্যরাও।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এক দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছে—এমন খবর এলে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনগণের সহায়তায় এ ঘটনায় জড়িত মো.
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নাসরিন আক্তার বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে আবদুল্লাহপুর পশ্চিম পাড়া থেকে রামদা দিয়ে ভুক্তভোগীদের কুপিয়ে আহত করা আসামি আলফাজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে সজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর আসামি মেহেদী হাসান সাঈফকে টঙ্গীর মাজার বস্তি এলাকা থেকে বুধবার ভোরে গ্রেপ্তার হন। তাঁর কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও ঘটনার সময় তাঁর গায়ে থাকা একটি শার্ট জব্দ করা হয়।
কারা এই যুবক? পুলিশের দাবি, আটক সবাই স্থানীয় অপরাধী চক্রের সদস্য ও ভাসমান। তাঁরা মোটরসাইকেলে দীর্ঘদিন নানা অপরাধ করে আসছিলেন। তাহলে আগে ধরা হলো না কেন? ঢাকা শহরে কিশোর গ্যাং ও ‘বুড়ো’ গ্যাংদের দৌরাত্ম্য চলছে বহু বছর ধরে।‘ বুড়ো’ গ্যাং মানে কৈশোরোত্তীর্ণ বয়সী।
রাজনৈতিক সরকারের আমলে আমরা দেখেছি, এ ধরনের অপারেশন চালানো হতো বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পাকড়াও করতে। কারণ, এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দল রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার করত। বর্তমান সরকারের তো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। অতীতের অপরাধ দমন করতে গিয়ে সরকার যদি বর্তমানের প্রতি চোখ বুজে থাকে, তাহলে অভিযান ব্যর্থ হতে বাধ্য।আমরা ধারণা করেছিলাম, অপারেশন ডেভিল হান্ট এই অপরাধীদের সবাইকে একে একে ধরবে। কিন্তু কোথাও অঘটন না ঘটা পর্যন্ত কেউ ধরা পড়ে না। তাহলে সরকার কাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালাচ্ছে?
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, যত দিন ‘ডেভিলরা’ থাকবে, তত দিন যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘ডেভিল হান্ট’ চলবে। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অভিযান চলছে। যাঁরা ধরা পড়ছেন, তাঁদের বেশির ভাগই ক্ষমতাচ্যূত রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ।
এ রকম মাস্তানি, হামলা ও সন্ত্রাসী ঘটনা কেবল উত্তরা নয়, প্রতিটি পাড়ায় হরহামেশা ঘটছে। এর সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সংঘাত ও মব জাস্টিসের ঘটনাও ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে মানুষ ভয়ে কথা বলছে না। আওয়ামী লীগ আমলে একধরনের ভয় ছিল, এখন অন্য ধরনের ভয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ডিসিদের বরাত দিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক বলে দাবি করেছেন। কিন্তু এর সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। কয়েক দিন আগে প্রথম আলোয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেপরোয়া ডাকাতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অপারেশন ডেভিল হান্টের পর হত্যা, ছিনতাই, হামলার ঘটনা খুব কমেছে, তাও বলা যাবে না। কিছুদিন আগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের চার সদস্যসহ পাঁচজন হামলার শিকার হয়েছেন। সেই মোহাম্মদপুরে বুধবার রাতে বন্ধুক যুদ্ধে দুই সন্ত্রাসী মারা গেল বলে পুলিশের দাবি।
সংবাদমাধ্যমে যেসব তথ্য এসেছে, তাতে দেখা যায়, অপারেশন ডেভিল হান্টে আটক ব্যক্তিদের ৯০ শতাংশ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। অর্থাৎ অতীতের কর্মকাণ্ডের জন্যই তাঁদের ধরা হয়েছে। অতীতে যাঁরা রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনা নিশ্চয়ই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু বর্তমানে যারা অপরাধ করে বেড়াচ্ছে, তারা কি পার পেয়ে যাবে?
রাজনৈতিক সরকারের আমলে আমরা দেখেছি, এ ধরনের অপারেশন চালানো হতো বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পাকড়াও করতে। কারণ, এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দল রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার করত। বর্তমান সরকারের তো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। অতীতের অপরাধ দমন করতে গিয়ে সরকার যদি বর্তমানের প্রতি চোখ বুজে থাকে, তাহলে অভিযান ব্যর্থ হতে বাধ্য।
একজন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, মাটির নিচ কিংবা অন্তরিক্ষ—যেখানেই অপরাধীরা থাকুক না কেন, তাদের খুঁজে বের করা হবে। কিন্তু অপরাধীরা তো মাটির নিচেও থাকে না, অন্তরিক্ষেও না। তারা লোকালয়েই থাকে। তাদের ধরতে হলে লোকালয়েই সাঁড়াশি অভিযান চালাতে হবে। কে কোন দলের সমর্থক এটা দেখলে চলবে না।
সবশেষে উত্তরার ঘটনা আমাদের সমাজকেও একটা বার্তা দিল। সেটি হলো সাহস নিয়ে অপরাধীর মুখোমুখি দাঁড়ানো। উত্তরার ওই নারী ও পুরুষ ঝুঁকি নিয়েছিলেন বলেই অপরাধীরা ধরা পড়েছেন। তাঁদের স্যালুট জানাই। আসুন, তাদের মতো আমরাও পাড়ামহল্লার অপরাধীদের রুখে দাঁড়াই।
সোহরাব হাসান প্রথম আলোর যুগ্মসম্পাদক ও কবি
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর র জন ত ক স অপর ধ দ অপর ধ র সরক র র অন য য় র জন য র ঘটন ক ষমত প রথম র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা
সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর শহরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)–এর কাছ থেকে পালিয়ে আসা ক্ষুধার্ত এবং নির্যাতিত মানুষেরা বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করছেন। তবে তাঁরা পালাতে পারলেও হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর ছিল রাজ্যটিতে সুদানি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি। গত রোববার আরএসএফ বাহিনী এটির দখল নেয়। এরপর থেকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা স্থানীয় মানুষের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এরই মধ্যে দারফুরে ধর্ষণ, মুক্তিপণ ও গণহত্যাসহ অন্যান্য নির্যাতনের কথা সামনে আসছে।
আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ইসমাইল বলেন, ‘খার্তুমের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এমন একজন তরুণ সেখানে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “ওকে হত্যা করো না”। এরপর তাঁরা আমার সঙ্গে থাকা সব তরুণ ও আমার বন্ধুদের হত্যা করেন।’
তাবিলা এলাকায় পালিয়ে আসা অন্য নাগরিকেরাও তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তেমনই একজন তাহানি হাসান। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই তাঁরা সেখানে হাজির হলেন। কোথা থেকে এলেন জানি না। ভিন্ন ভিন্ন বয়সী তিন তরুণকে দেখা গেল। তাঁরা আকাশে গুলি ছুড়লেন এবং বললেন, ‘থামো, থামো’। তাঁরা আরএসএফের পোশাকে ছিলেন।’
আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। আলখেইর বলেছেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত ব্যক্তি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।তাহানি হাসান বলেন, ‘এই তরুণেরা আমাদের বেধড়ক মারধর করেছেন। আমাদের পোশাক মাটিতে ছুড়ে ফেলেছেন। এমনকি আমি একজন নারী হওয়ার পরও আমাকে তল্লাশি করা হয়েছে। হামলাকারীরা সম্ভবত বয়সে আমার মেয়ের চেয়েও ছোট হবে।’
ফাতিমা আবদুলরহিম তাঁর নাতি–নাতনিদের সঙ্গে তাবিলাতে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ দিন ধরে অনেক কষ্ট করে হেঁটে তাবিলাতে পৌঁছাতে পেরেছেন।
ফাতিমা বলেন, ‘তাঁরা (আরএসএফের সদস্যরা) ছেলেশিশুগুলোকে মারলেন এবং আমাদের সব সম্পদ কেড়ে নিলেন। আমাদের কিছুই রাখা হলো না। আমরা এখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম, আমাদের পর যেসব মেয়ে এসেছে, তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে আমাদের মেয়েরা বেঁচে গেছে।’
পালিয়ে আসা তরুণী রাওয়া আবদাল্লা বলেছেন, তাঁর বাবা নিখোঁজ।
গত বুধবার রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। হামদান ‘হেমেদতি’ নামেও পরিচিত।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাদের সঙ্গে আরএসএফ সদস্যদের লড়াই চলছে। গত বৃহস্পতিবার আরএসএফ দাবি করে, নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করেছে তারা।
তবে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সাধারণ নাগরিকদের ওপর আরএসএফ সদস্যদের নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে বাহিনীটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফের একজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার এই ঘটনাগুলো ‘গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর দাবি, এল–ফাশেরে নিজেদের পরাজয় ও ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করতে সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্ররা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
জাতিসংঘের তথ্য বলছে, এ সংঘাত চলাকালে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী—দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। বিরাজ করছে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের অবস্থা। পাশাপাশি কলেরা ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।
দারফুর থেকে পালিয়ে আসা লোকজন তাবিলা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২৯ অক্টোবর, ২০২৫