বাংলাদেশে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মতো মানুষ কমে গেছে। তা-ও যদি সেই অন্যায় হয়ে থাকে গরিব মানুষের ওপর। কেউ প্রতিবাদ করতে চান না। কেননা যাঁরা অন্যায় করেন, তাঁরা ক্ষমতাবান। কেউ অর্থে, কেউ অস্ত্রে। কে যায় খামোখা ঝামেলা করতে?
কিন্তু উত্তরার মেহেবুল হাসান ও নাসরিন আক্তার যখন দেখলেন, একটি মোটরসাইকেলে দুই তরুণ প্রচণ্ড শব্দে সামনের রিকশাকে ধাক্কা দিলেন, তাঁরা প্রতিবাদ করলেন। ওই রিকশায় শিশুসন্তানসহ এক দম্পতি যাচ্ছিলেন। যেকোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।

কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মেহেবুল ও নাসরিনের জীবন বিপন্ন হওয়ার উপক্রম। প্রথমে দুই মোটরসাইকেলে আসা তিন যুবক তাঁদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেন। এরপর তাঁরা ওই যুগলকে আক্রমণ করলেন। একজন টেলিফোন করে অন্য সহযোগীদের ডেকে আনেন, যাঁদের একজনের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র।

ভাইরাল হওয়া ১৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একজন নারী ও একজন পুরুষের ওপর দুজন ধারালো অস্ত্র (রামদা) দিয়ে হামলা করছেন। তাঁরা বাঁচার জন্য চিৎকার করছেন। একপর্যায়ে ফুটপাত ঘেঁষে রাখা একটি রিকশার পেছনে আশ্রয় নেন হামলার শিকার পুরুষটি। তখন এক যুবক রিকশার সামনের দিকে ঘুরে তাঁর ওপর হামলা করেন। নারীর ওপর হামলাকারী যুবকও দৌড়ে রিকশার কাছে আসেন। এরপর হামলার শিকার নারী দৌড়ে পুরুষের কাছে এসে ঢাল হয়ে তাঁকে রক্ষার চেষ্টা করেন।

বুধবার প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ছয়টি ছবি ছাপা হয়েছে। এতে দেখা যায়, কখনো নারীটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত থেকে বাঁচার জন্য আকুতি জানাচ্ছেন, কখনো পুরুষটির সামনে এসে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁকে রক্ষার জন্য। অন্যদিকে অস্ত্রধারী একের পর এক আঘাত করে যাচ্ছেন। যুবকদের আঘাতে তাঁদের শরীর রক্তাক্ত হয়। হাত পা কেটে যায়। এরপরও ওই যুগল হাল ছেড়ে দেননি। তাঁদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হন। এগিয়ে আসে আশপাশে টহলে থাকা পুলিশ সদস্যরাও।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এক দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছে—এমন খবর এলে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনগণের সহায়তায় এ ঘটনায় জড়িত মো.

মোবারক হোসেন ও রবি রায়কে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নাসরিন আক্তার বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে আবদুল্লাহপুর পশ্চিম পাড়া থেকে রামদা দিয়ে ভুক্তভোগীদের কুপিয়ে আহত করা আসামি আলফাজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে সজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর আসামি মেহেদী হাসান সাঈফকে টঙ্গীর মাজার বস্তি এলাকা থেকে বুধবার ভোরে গ্রেপ্তার হন। তাঁর কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও ঘটনার সময় তাঁর গায়ে থাকা একটি শার্ট জব্দ করা হয়।

কারা এই যুবক? পুলিশের দাবি, আটক সবাই স্থানীয় অপরাধী চক্রের সদস্য ও ভাসমান। তাঁরা মোটরসাইকেলে দীর্ঘদিন নানা অপরাধ করে আসছিলেন। তাহলে আগে ধরা হলো না কেন? ঢাকা শহরে কিশোর গ্যাং ও ‘বুড়ো’ গ্যাংদের দৌরাত্ম্য চলছে বহু বছর ধরে।‘ বুড়ো’ গ্যাং মানে কৈশোরোত্তীর্ণ বয়সী।

রাজনৈতিক সরকারের আমলে আমরা দেখেছি, এ ধরনের অপারেশন চালানো হতো বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পাকড়াও করতে। কারণ, এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দল রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার করত। বর্তমান সরকারের তো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। অতীতের অপরাধ দমন করতে গিয়ে সরকার যদি বর্তমানের প্রতি চোখ বুজে থাকে, তাহলে অভিযান ব্যর্থ হতে বাধ্য।  

আমরা ধারণা করেছিলাম, অপারেশন ডেভিল হান্ট এই অপরাধীদের সবাইকে একে একে ধরবে। কিন্তু কোথাও অঘটন না ঘটা পর্যন্ত কেউ ধরা পড়ে না। তাহলে সরকার কাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালাচ্ছে?

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, যত দিন ‘ডেভিলরা’ থাকবে, তত দিন যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘ডেভিল হান্ট’ চলবে। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অভিযান চলছে। যাঁরা ধরা পড়ছেন, তাঁদের বেশির ভাগই ক্ষমতাচ্যূত রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ।

এ রকম মাস্তানি, হামলা ও সন্ত্রাসী ঘটনা কেবল উত্তরা নয়, প্রতিটি পাড়ায় হরহামেশা ঘটছে। এর সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সংঘাত ও মব জাস্টিসের ঘটনাও ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে মানুষ ভয়ে কথা বলছে না। আওয়ামী লীগ আমলে একধরনের ভয় ছিল, এখন অন্য ধরনের ভয়।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ডিসিদের বরাত দিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক বলে দাবি করেছেন। কিন্তু এর সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। কয়েক দিন আগে প্রথম আলোয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেপরোয়া ডাকাতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অপারেশন ডেভিল হান্টের পর হত্যা, ছিনতাই, হামলার ঘটনা খুব কমেছে, তাও বলা যাবে না। কিছুদিন আগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের চার সদস্যসহ পাঁচজন হামলার শিকার হয়েছেন। সেই মোহাম্মদপুরে বুধবার রাতে বন্ধুক যুদ্ধে দুই সন্ত্রাসী মারা গেল বলে পুলিশের দাবি।

সংবাদমাধ্যমে যেসব তথ্য এসেছে, তাতে দেখা যায়, অপারেশন ডেভিল হান্টে আটক ব্যক্তিদের ৯০ শতাংশ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। অর্থাৎ অতীতের কর্মকাণ্ডের জন্যই তাঁদের ধরা হয়েছে। অতীতে যাঁরা রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনা নিশ্চয়ই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু বর্তমানে যারা অপরাধ করে বেড়াচ্ছে, তারা কি পার পেয়ে যাবে?  

রাজনৈতিক সরকারের আমলে আমরা দেখেছি, এ ধরনের অপারেশন চালানো হতো বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পাকড়াও করতে। কারণ, এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দল রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার করত। বর্তমান সরকারের তো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। অতীতের অপরাধ দমন করতে গিয়ে সরকার যদি বর্তমানের প্রতি চোখ বুজে থাকে, তাহলে অভিযান ব্যর্থ হতে বাধ্য।  

একজন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, মাটির নিচ কিংবা অন্তরিক্ষ—যেখানেই অপরাধীরা থাকুক না কেন, তাদের খুঁজে বের করা হবে। কিন্তু অপরাধীরা তো মাটির নিচেও থাকে না, অন্তরিক্ষেও না। তারা লোকালয়েই থাকে। তাদের ধরতে হলে লোকালয়েই সাঁড়াশি অভিযান চালাতে হবে। কে কোন দলের সমর্থক এটা দেখলে চলবে না।

সবশেষে উত্তরার ঘটনা আমাদের সমাজকেও একটা বার্তা দিল। সেটি হলো সাহস নিয়ে অপরাধীর মুখোমুখি দাঁড়ানো। উত্তরার ওই নারী ও পুরুষ ঝুঁকি নিয়েছিলেন বলেই অপরাধীরা ধরা পড়েছেন। তাঁদের স্যালুট জানাই। আসুন, তাদের মতো আমরাও পাড়ামহল্লার অপরাধীদের রুখে দাঁড়াই।

সোহরাব হাসান প্রথম আলোর যুগ্মসম্পাদক ও কবি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর র জন ত ক স অপর ধ দ অপর ধ র সরক র র অন য য় র জন য র ঘটন ক ষমত প রথম র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে

বান্দরবানের থানচি উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসার জায়গা ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকটে এই হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পুরো হাসপাতাল চালাচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। গত পাঁচবছরে চিকিৎসাধীন ও রেফার্ড করা ২৪ জন রোগী মারা গেছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৯৯৫ সালে ৩১ শয্যার থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যাত্রা শুরু করে। পরে এটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র দুইজন। তাদের মধ্যে একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন। এ কারণে রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ১৮ জন নার্স পদে রয়েছেন মাত্র চারজন। চারজন মিডওয়াইফ থাকার কথা, নেই একজনও।

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে পাগলা ঘোড়ার কামড়ে আহত ২০

বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লেন কাদের সিদ্দিকী

প্রাথমিক থেকে শুরু করে জরুরি চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে ছুটে যান পাহাড়ি ও বাঙালিরা। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা যোগ হয়নি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন। 

দুর্গম এলাকার রোগীরা অনেক সময় নদীপথ কিংবা পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে এলেও কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা পান না। বরং তাদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অনেক সময় বান্দরবানে যাওয়ার পথে রোগীরা মারা যান। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তারা।

হাসপাতালের পরিসংখ্যানবীদ পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখানে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ১৯৮ জন রোগী। এর মধ্যে ৪৫৬ জনকে রেফার্ড করা হয় বান্দরবান সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৭ জন রোগী। 

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মংক্যসিং মারমা বলেন, “২০১৯ সালে চাকরিতে যোগদান করার পর থেকে অন্তত সাতজন রেফার্ড করা রোগী মাঝপথে আমার গাড়িতেই মারা গেছেন।”

 

শৈসাই মং মারমা তিন বছর আগে বিনা চিকিৎসায় তার মাকে মারা যেতে দেখেছেন। তিনি জানান, তার মা শৈমেপ্রু মারমা (৩৪) অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। রেমাক্রী বাজার থেকে নদীপথে থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ভাড়া গাড়িতে জেলা হাসপাতালে যাওয়ার সময় চিম্বুক বারো মাইল এলাকায় তার মা মারা যান।

লেংরু ম্রো নামে চার সন্তানের মা হারিয়েছেন স্বামীকে। তিনি জানান, তার স্বামী রেং য়ুং ম্রো (৪৫) কিডনি জটিলতা নিয়ে থানচি হাসপাতালে যান। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। থানচি থেকে বান্দরবান যাওয়ার মাঝপথে মারা যান তার স্বামী।

স্থানীয় বাসিন্দা মংমে মারমা বলেন, ‍“হাসপাতালে চিকিৎসক, ওষুধ ও যন্ত্রপাতির সংকট দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বদলি হলেও অনেকেই থানচিতে যোগ দেন না, ডিপুটেশনে থেকে যান সদর হাসপাতালে। ফলে এ অঞ্চলের পাহাড়ি ও বাঙালি প্রায় ৩০ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”

রিয়েং ম্রো নামে অপর বাসিন্দা বলেন, “পাহাড়ে বসবাসকারীদের অধিকাংশ গরিব। জেলা সদর হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া ব্যয়বহুল ও কষ্টকর। রেমাক্রি, বড় মোদক, তিন্দু থেকে থানচি সদরে রোগী আনতেই অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এরপর আবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করলে সাধারণ মানুষ কীভাবে চিকিৎসা করাবে?” 

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, “বর্তমানে হাসপাতালে আমিসহ দুইজন চিকিৎসক রয়েছেন। একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন। তিন রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ফলে পুরো হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব আমাকে একাই সামলাতে হচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “জনবল ও সরঞ্জাম সংকটের কারণে গুরুতর রোগীদের রেফার্ড করা ছাড়া উপায় থাকে না। দীর্ঘ পথের কারণে অনেকেই জীবিত অবস্থায় সদর হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেন না।”

বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, “শুধু বান্দরবান নয়, পুরো তিন পার্বত্য জেলাতেই চিকিৎসক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। নতুন করে ৪৮তম বিসিএসের ডাক্তার পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই সংকট পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও বিভাগীয় প্রধানকে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের আট-দশজন চিকিৎসককে বান্দরবানে বদলি করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

ঢাকা/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
  • গ্রাহকের কাছে পেয়ারা খেতে চায় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা
  • গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
  • রাশিয়ায় এক বাঙালি বিপ্লবীর খোঁজে
  • আপনার এত সাহস হয় কী করে, সাংবাদিককে নায়িকা
  • দুবাইয়ে বিকৃত যৌন ব্যবসা চক্রের প্রধানকে চিহ্নিত করল বিবিসির এক অনুসন্ধান
  • মহানবী (সা.)–এর ইন্তেকালের পরে শাসন নিয়ে যা ঘটেছে
  • কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ ও ৪ ইনস্টিটিউট চালুর সুপারিশ
  • সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
  • ৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে