নতুন দলের ঘোষণা হতে পারে ২৬ ফেব্রুয়ারি
Published: 20th, February 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে নতুন যে রাজনৈতিক দল আসতে যাচ্ছে, সেই দলের কাঠামো এখনকার মতোই থাকছে। অর্থাৎ এই দুই প্ল্যাটফর্মের বর্তমান যে কাঠামো (আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র), সেটা থাকছে। আহ্বায়ক হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। পরের পদগুলোর জন্য জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখভাগের কয়েকজন নেতার নাম আলোচনায় আছে।
একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, নতুন দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের আয়োজনটি হতে পারে ২৬ ফেব্রুয়ারি। ঢাকায় অনুষ্ঠান করে দলের ঘোষণা দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানটি হতে পারে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে।
আহ্বায়ক হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। পরের পদগুলোর জন্য জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখভাগের কয়েকজন নেতার নাম আলোচনায় আছে।নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য নাহিদ ইসলাম যেকোনো সময় সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির দায়িত্বশীল তিন নেতা। গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে তাঁরা জানান, সদস্যসচিব পদে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অধিকাংশ নেতার পছন্দ আখতার হোসেনকে। মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র পদের জন্য আলোচনায় আছেন সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।
আরও পড়ুননাহিদ আহ্বায়ক, সদস্যসচিব পদে আলোচনায় তিনজন ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫নতুন দল গঠনের প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে মূলত জাতীয় নাগরিক কমিটি। এ কমিটিতে বিভিন্ন মতাদর্শের লোকজন আছেন। এর মধ্যে তিনটি অংশ স্পষ্ট—১.
এ রকম পরিস্থিতিতে শনিবার রাত থেকে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করে। আখতার হোসেনের শুভানুধ্যায়ীরা ফেসবুকে তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করতে থাকেন। কেউ কেউ লেখেন, আখতারকে ‘মাইনাস’ করার পরিকল্পনা হচ্ছে। ফেসবুকে এমন আলোচনায় এক পক্ষে ছিলেন শিবিরের সাবেক নেতারা, অন্য পক্ষে ছাত্রশক্তি ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক নেতাদের পাশাপাশি দেখা গেছে মধ্যপন্থী অনেককে।
শিবিরের সাবেক নেতারা যাঁকে নতুন দলের সদস্যসচিব পদে দেখতে চেয়েছিলেন, সেই জোনায়েদ গত বছরের ২৬ নভেম্বর জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য হন। এরপর ৯ ডিসেম্বর যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পান। অন্যদিকে এই পদে নাগরিক কমিটির বড় অংশের পছন্দ আখতার হোসেনকে। তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের প্যানেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সমাজসেবা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২৩ সালে ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে বেরিয়ে গিয়ে তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি গঠন করে এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হন। জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সমন্বয়কেরা মূলত ছাত্রশক্তির নেতা ছিলেন। অভ্যুত্থানের পর গত সেপ্টেম্বরে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠিত হলে আখতারকে এর সদস্যসচিব করা হয়।
সদস্যসচিব পদ ঘিরে এই মতবিরোধের মধ্যে আখতার হোসেনের সমর্থকেরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান এবং এর আগের বিভিন্ন আন্দোলনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা ফেসবুকে তুলে ধরেন। অন্যদিকে শিবিরের সাবেক নেতারাও আন্দোলনে তাঁদের বিভিন্ন ভূমিকার কথা তুলে ধরতে শুরু করেন ফেসবুকে।
গত রোববার ফেসবুকে এই বিতর্কে যোগ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি শিবিরের সাবেক নেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে অভ্যুত্থানের ‘ইতিহাস বিকৃতির’ অভিযোগ তোলেন। একই অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদও।
চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে শিবিরের সাবেক নেতাদের মধ্যে একজন আখতার হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন। শীর্ষ চারটি পদে তাঁদের কাউকে না রাখলে নতুন দলে তাঁরা থাকবেন না বলে জানান। মূলত এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিবিরের সাবেক নেতারা আলী আহসান জোনায়েদের পক্ষে প্রচার শুরু করেন। এর পাশাপাশি এমন প্রচারও চালানো হয় যে শিবিরকে ‘মাইনাস’ করে বামপন্থীদের নিয়ে রাজনীতি করতে চান আখতার।‘সমঝোতা’ফেসবুকে এমন বাহাস চলার মধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে রোববার ও সোমবার দুই দফায় বৈঠক করেন নেতারা। তবে সেই বৈঠকগুলোতে শিবিরের সাবেক নেতারা যোগ দেননি। অবশ্য সোমবার দুপুর থেকে শিবিরের সাবেক নেতাদের সঙ্গে নাগরিক কমিটির নেতৃস্থানীয়দের সমঝোতার অনানুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই সমঝোতা একটি ‘সমাধানের’ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে গতকাল প্রথম আলোকে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কয়েকজন নেতা। তাঁরা বলেন, সমঝোতা অনুযায়ী আলী আহসান জোনায়েদকে নতুন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব হওয়ার কথা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর।
একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন। অতি সম্প্রতি নতুন দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বে তাঁর আসা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। তবে এখনো এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
অবশ্য দলের শীর্ষ পর্যায়ে অন্তত একজন নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজনকে দেখতে চাইছে জাতীয় নাগরিক কমিটির একটি অংশ। এ ক্ষেত্রে আলোচনায় রয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন ও যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক রায়। সামান্তা শারমিন একসময় রাষ্ট্রচিন্তার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আর অনিক রায় বামপন্থী ছাত্রসংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
আত্মপ্রকাশ কবে, কোথায়তরুণদের উদ্যোগে নতুন এই দলের আত্মপ্রকাশের আয়োজনের জন্য দুটি জায়গার কথা ভেবেছিল জাতীয় নাগরিক কমিটি। একটি হলো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, অন্যটি ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ। গতকাল রাতে একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানটি হতে পারে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে।
নেতারা জানান, প্রথমে ২৫ ফেব্রুয়ারি দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের কথা ভাবা হয়েছিল; কিন্তু ওই দিন পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বার্ষিকী থাকায় এই দিনে দলের ঘোষণা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি।
অবশ্য দলের শীর্ষ পর্যায়ে অন্তত একজন নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজনকে দেখতে চাইছে জাতীয় নাগরিক কমিটির একটি অংশ। এ ক্ষেত্রে আলোচনায় রয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন ও যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক রায়।দলের আত্মপ্রকাশের আয়োজনের জন্য ইতিমধ্যে একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির ৬৮ জন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩০ জন নেতা রয়েছেন। গতকাল বিকেল থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি কমিটির বৈঠক হয়।বৈঠকে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়৷
বৈঠক শেষে জাতীয় নাগরিক কমিটির দুজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, বৈঠকে মূলত আয়োজনে বিভিন্ন কাজের জন্য দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র র উপদ ষ ট আখত র হ স ন র অন ষ ঠ ন ন আখত র পর য য় ত হয় ছ ফ সব ক জন ন ত র জন য ন ত হয় কজন ন সদস য সমঝ ত ইসল ম প রথম গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন
মাকিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে চুক্তি বাতিলকারী দেশগুলোর জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক প্রচারণা চালাচ্ছেন। আর তার সেই বার্তাটি হচ্ছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দাঙ্গাবাজ দেশ, যাকে বিশ্বাস করা যায় না।
শুল্ক স্থগিতাদেশের সময় চীন ছাড়া সবদেশকে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য ট্রাম্প যে ৯০ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন, সেই সময়ের মধ্যে চীনা কর্মকর্তারা বিদেশী সরকারগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঠেলে দেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, একবার এই চুক্তিগুলো কার্যকর হয়ে গেলে, তিনি চান মার্কিন মিত্ররা ‘একটি দল হিসেবে চীনের সাথে যোগাযোগ করুক’, যাতে মার্কিন পক্ষ আলোচনায় আরো বেশি সুবিধা পায়।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যন্ত মার্কিন মিত্ররা নিরাপত্তার জন্য ওয়াশিংটনের উপর নির্ভর করে এবং অর্থনৈতিকভাবে ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করার জন্য তাদের উৎসাহ রয়েছে। অবশ্য চীন আরো সমান তালে শুল্ক যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্পের শেষ বাণিজ্য যুদ্ধের পর থেকে বেইজিং মার্কিন রপ্তানি থেকে তার অর্থনীতিকে মুক্ত করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেশটিতে নিবেদিতপ্রাণ এবং সক্রিয় সৈন্য সংখ্যার বিচারে বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক বাহিনী রয়েছে।
শি ট্রাম্পের সাথে ফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এবং তার সরকার ‘পাল্টাপাল্টি’ শুল্ক বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র জোর দিয়ে বলছে যে, অন্য পক্ষ, অর্থাৎ চীনকে উত্তেজনা কমানোর প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে, চীন নিজেকে নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উপস্থাপন করছে এবং অন্যান্য দেশকে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছে।
সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর আমেরিকান স্টাডিজের পরিচালক উ জিনবো বলেন, “এটি কেবল চীন-মার্কিন সম্পর্কে নয়। এটি আসলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে।”
গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতিবিদদের সাথে দেখা করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া উ জানান, অন্যান্য সরকারেরও বুঝতে হবে বেইজিংয়ের প্রচেষ্টা তাদের উপকার করেছে।
তিনি বলেন, “যদি চীন আমেরিকার বিরুদ্ধে না দাঁড়াত, তাহলে আমেরিকা কীভাবে তাদের ৯০ দিনের বিরতি দিত। চীনের উপর শুল্ক আরোপের ফলে ট্রাম্প অন্যান্য দেশের উপর শুল্ক আরোপ বন্ধ করার জন্য আবরণ পেয়েছেন। তাদের এটা উপলব্ধি করা উচিত।”
চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই সোমবার ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ব্রিকস ব্লকের দেশগুলোকে ট্রাম্পের দাবি প্রতিহত করার জন্য বেইজিংয়ের সাথে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “আপনি যদি নীরব থাকেন, আপস করেন এবং পিছু হটতে চান, তাহলে এটি কেবল বুলিকে আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।”
তার এই বক্তব্যের কয়েক ঘন্টা পরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইংরেজি সাবটাইটেলসহ একটি ভিডিওতে ওয়াশিংটনকে ‘সাম্রাজ্যবাদী’ শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, গত শতাব্দীতে জাপানি রপ্তানি সীমিত করার মার্কিন পদক্ষেপ তোশিবার মতো কোম্পানিগুলোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ওয়াং ই বলেছেন, “একজন ধর্ষকের কাছে মাথা নত করা ঠিক তৃষ্ণা নিবারণের জন্য বিষ পান করার মতো, এটি কেবল সংকটকে আরো গভীর করে তোলে। চীন পিছু হটবে না যাতে দুর্বলদের কণ্ঠস্বর শোনা যায়।”
ঢাকা/শাহেদ