নির্বাচনের আগে কোনো সংস্কারের প্রয়োজন নেই: জি এম কাদের
Published: 20th, February 2025 GMT
নির্বাচনের আগে কোনো সংস্কারের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘সংস্কার বিষয়ে সরকার আমাদের ডাকেনি। সংস্কার প্রসঙ্গে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। আমাদের সঙ্গে আলোচনা হলে আমরা এটাই বলব, সংস্কার প্রস্তাবগুলো প্রকাশ করুন। নির্বাচনের পরে যারা সরকার গঠন করবে, তারাই সংস্কার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এখনই সংস্কারে হাত না দেওয়াটাই আমাদের সাজেশন।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক পার্টির সঙ্গে এক যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের এ কথা বলেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যাব নির্বাচনের পরিস্থিতি দেখে। যদি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকে, যদি একতরফা নির্বাচন হয়, তাহলে কারও নির্বাচনে বৈধতা দিতে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে না।’
এই সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা নেই দাবি করে জি এম কাদের বলেন, এই সরকার নিরপেক্ষ কি না, এটা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এই সরকার বৈষম্য করছে। স্থিতিশীলতা চাইলে সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন, দোষী অভিযোগ করলেই সে দোষী হয় না। সব দলকেই জনগণের সামনে রাজনীতি করতে দেওয়া উচিত।
জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি কাজী মেফতাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এম ক দ র আম দ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব