ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদের সহধর্মিণী
Published: 21st, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অশ্রুসিক্ত নয়নে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ২০২৪-এর গণ অভ্যুত্থানে শহীদের সহধর্মিণীরা।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর শহীদ মিনারে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ সালাম মন্ডলের সহধর্মিণী মারিয়া আক্তার ও শহীদ সেলিম মন্ডলের সহধর্মিণী শোভা খাতুন ছাড়াও কুমারখালী উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা ছিলেন।
শোভা খাতুন বলেন, ‘‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে স্বামীকে হারিয়েছি। যার হারিয়েছে সেই জানে বেদনার গভীরতা। সেই বোধের জায়গা থেকে ৫২-এর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহীদ মিনারে এসেছি।’’
এ সময় মারিয়া আক্তারকে অশ্রুসিক্ত নয়নে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে দেখা যায়।
জাতীয় নাগরিক কমিটির উপজেলা শাখার সিনিয়র প্রতিনিধি অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘‘২০২৪ এর শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার অনুভূতি একেবারেই অন্যরকম।’’
কাঞ্চন//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করল ছাত্রদল
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অনুরোধে শহীদ মিনার ছেড়ে দিয়ে ৩ আগস্টের ছাত্র সমাবেশ শাহবাগে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, “চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে আমরা মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। এরই অংশ হিসেবে ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র সমাবেশের কর্মসূচি ছিল আমাদের। দীর্ঘ প্রস্তুতি শেষে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অনুমতিও পাই। তবে আমাদের কর্মসূচি ঘোষণার পরই গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারি, একই দিনে একই স্থানে জাতীয় নাগরিক পার্টিও সমাবেশ করতে চায়। এরপর তারা একাধিকবার আমাদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে এবং আমাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাবেশের স্থান পরিবর্তনের অনুরোধ জানায়।”
ছাত্রদলের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “আমাদের মতো একটি সংগঠনের জন্য এ ধরনের কর্মসূচির স্থান পরিবর্তন খুবই দুরূহ ও কষ্টসাধ্য বিষয়। তবুও গণতান্ত্রিক সহাবস্থানে বিশ্বাসী, পরমতসহিঞ্চু, গ্রহণযোগ্য রাজনীতির ধারক হিসেবে আমরা তাদের অনুরোধ বিবেচনায় নিয়েছি। শহীদ মিনারে সমাবেশের অনুমতি আমাদের আগে থাকলেও আমরা শান্তি ও সৌহার্দ্যের বার্তা দিতে চাই। তাই আমরা সমাবেশের স্থান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন ৩ আগস্টের ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে শাহবাগে।”
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, “আমরা জানি, রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে কর্মসূচি হলে কিছু জনভোগান্তি হতে পারে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নিছক কর্মসূচি স্থান পরিবর্তনের বিষয় নয়—এটি ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে উদারতার অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বার্তা দিতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “অভ্যুত্থানের পরও কারো ওপর দমন চালাইনি আমরা, কোন হল বা সিট দখল করিনি। আমাদের রাজনীতির ভাষা উস্কানির বিপরীতে শান্তি, সংঘাতের বিপরীতে উদারতা। যারা সফল অভ্যুত্থানের ‘একক মালিক’ হতে চান, আমরা আশা করি, তারা আমাদের এই অবস্থান থেকে শিক্ষা নেবেন এবং গণতান্ত্রিক সহাবস্থানের পথে ফিরে আসবেন।”
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষাঙ্গনে আমরা একটি ইতিবাচক ধারার গণতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি গড়ে তুলতে চাই। সেখানে থাকবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহাবস্থান এবং রাজনৈতিক পরিশীলন। সেই রাজনীতির শক্তি হবে উদারতা ও পরমতসহিঞ্চুতা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা দাবি করেন, ২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু রাজনৈতিকভাবে তাদের অবদানকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করাই তাদের লক্ষ্য।
ঢাকা/রায়হান/ইভা