বকেয়া বেতন পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ায় দুটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

আজ শনিবার সকালে হেমায়েতপুর-সিংগাইর আঞ্চলিক সড়কে অবস্থান নেন বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকরা এবং বিশমাইল-জিবারো সড়ক অবরোধ করে রাখেন ছেইন অ্যাপারেলসের শ্রমিকরা।

প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ জানায়, আজ শনিবার সকালে সাভারের হেমায়েতপুর-সিংঙ্গাইর আঞ্চলিক সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকরা। দুপুর ১টার দিকে শিল্প পলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে পৌঁছে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে দেন।  

বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেডের বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা বলেন, আমাদের কারখানায় প্রায় ১১ শ’ শ্রমিকের গত ২ মাসের বেতন এবং ওভারটাইমের টাকা বকেয়া পড়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ বার বার বেতন ও ওভারটাইম পরিশোধের প্রতিশ্রুতি, তারিখ দিয়েও কথা রাখেনি। এ অবস্থায় আমরা বেতন না পেয়ে দোকানে বাকি করে চলছি। অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে পারিনি। কারও কারও পরিবারের সদস্যদের টাকার অভাবে চিকিৎসা থেমে যাচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষকে বার বার বলার পরও কোনো সমাধান করেনি। তাই বাধ্য হয়ে বকেয়া পাওনা বুঝে পেতে সড়ক অবস্থান করছি। 

অন্যদিকে ছেইন অ্যাপারেলল কারখানার শ্রমিকরা বলেন, আমাদের কারখানার শ্রমিকদের প্রতি মাসের বেতন ১০ তারিখের ভেতরে পরিশোধ করার কথা থাকলেও মালিকপক্ষ এখনও জানুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করেনি। গত কয়েকদিন আগে কারখানাটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কারখানা কবে খুলবে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্তও জানাচ্ছে না। তাই আমাদের পাওনা টাকা পরিশোধসহ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে সড়ক নামতে বাধ্য হয়েছি। 

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, সাভারের হেমায়েতপুরের বসুন্ধরা গার্মেন্টস ও আশুলিয়ায় ছেইন অ্যাপারেলস কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে সড়কে অবরোধ করেছিলো। আমরা উভয় কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। ছেইন অ্যাপারেলস কারখানাটিতে সাধারণ ছুটি চলছে এবং তাদের কর্তৃপক্ষ মার্চের ৩ তারিখে বকেয়া পরিশোধের কথা জানিয়েছে এবং হেমায়েতপুরে বসুন্ধরা পোশাক কারখানার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ইন অ য প র গ র ম ন টস পর শ ধ র অবস থ অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!

ভারতের তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অজিত কুমার। ভক্তদের কাছে তিনি থালা অজিত নামেই পরিচিত। গত ১০ এপ্রিল মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা। মুক্তির পর বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছিল এটি। এরই মাঝে গুঞ্জন উড়ছে, পারিশ্রমিক বাড়াতে যাচ্ছেন অজিত।

পিঙ্কভিলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অজিত কুমারের পরবর্তী সিনেমা ‘একে৬৪’। এখনো সিনেমাটির নাম চূড়ান্ত হয়নি। গুঞ্জন অনুযায়ী, এ সিনেমার জন্য অজিত কুমার তার পারিশ্রমিক ১৫০ কোটি রুপি থেকে বাড়িয়ে ১৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৭-২৪১ কোটি টাকার বেশি) করতে পারেন। 

আরো পড়ুন:

মুক্তির আগেই কত টাকা আয় করল ‘কানতারা টু’?

আমি খুব কেঁদেছিলাম: মোহিনী

অজিত কুমার মনে করেন—‘সাধারণ গল্পের সিনেমাকেও রাজকীয়ভাবে উপস্থাপন করা উচিত।’ এই কারণে, সিনেমাটির বাজেট সম্ভবত ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি রুপির মধ্যে হতে পারে। তবে অজিতের টিমের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।

‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা নির্মাণ করেন পরিচালক আধিক রবিচন্দ্রন। ‘একে৬৪’ সিনেমাও তারই নির্মাণের কথা রয়েছে। রেসিং সিজনের বিরতিতে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কারণ অজিত কুমার তখন তার সিনেমার দিকেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দেবেন। শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমা সব ধরণের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হবে, যেখানে ‘গুড ব্যাড আগলি’ কেবল অজিত ভক্তদের কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছিল।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ