আগামী জুনের মধ্যে স্থানীয় সরকারের সব স্তরে নির্বাচন করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা পরিষদের জন্য একটি এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের জন্য আরেকটি অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে। প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার কমিশন’ এপ্রিলে বিস্তারিত কাজ করলে জুনে ভোট সম্ভব। 

গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সুপারিশ গতকাল শনিবার প্রকাশ করা হয়েছে। ড. তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অকার্যকর হয়ে পড়া স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে কার্যকরে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজনের সুপারিশ করেছে কমিশন। এতে নির্বাচন ব্যবস্থা সহজ এবং ব্যয়সাশ্রয়ী হবে। 

কমিশন স্থানীয় সরকারে সংসদীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছে। মত দিয়েছে, নির্বাচন নির্দলীয় পদ্ধতিতে আয়োজনের। ইউনিয়ন পরিষদে জনসংখ্যার অনুপাতে ওয়ার্ড সংখ্যা ৯ থেকে ৩০ করার সুপারিশ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদে ওয়ার্ডের প্রস্তাব এসেছে। বিদ্যমান প্রতি ইউনিয়নকে তিনটি ওয়ার্ডে বিভক্ত করার কথা বলা হয়েছে। উপজেলায় ওয়ার্ড সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ৩৩। প্রতি উপজেলায় জেলা পরিষদের তিন থেকে পাঁচটি ওয়ার্ড থাকবে। পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনে ওয়ার্ড সংখ্যা হবে জনসংখ্যার অনুপাতে।

স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের দায়িত্ব সরকারের হাত থেকে নির্বাচন কমিশনে নিতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবে।

সুপারিশে বলা হয়েছে, স্থানীয় নির্বাচনের জন্য জাতীয় নির্বাচনের চেয়েও বেশি টাকা খরচ হয়। প্রতি পাঁচ বছরে অন্তত ২২৫ দিন থাকে নির্বাচনী সময়। এতে সারা  বছরই রাজনৈতিক উত্তেজনা, অস্থিরতা থাকে। এতে সরকারের কাজ বিঘ্নিত হয়। তাই স্থানীয় নির্বাচন একই তপশিলে একই দিনে আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে। ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পরিষদের ভোট একই সঙ্গে হবে। একজন ভোটার তিনটি পরিষদের সদস্যপদে তিনটি আলাদা ভোট দেবে। বর্তমানেও ভোটাররা স্থানীয় নির্বাচনে তিনটি ভোট দেন। একসঙ্গে নির্বাচন প্রতি পাঁচ বছরে মাত্র ৪৫ দিন থাকবে নির্বাচনী সময়। এতে সময় এবং ব্যয়সাশ্রয়ী হবে।  

স্থানীয় পরিষদ বা কাউন্সিলে জাতীয় সংসদের আদলে স্পিকার থাকবেন। যিনি পরিচিত হবেন সভাধ্যক্ষ হিসেবে। প্রতি ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত সদস্য বা কাউন্সিলরা গোপন ভোটে চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচিত করবেন। চেয়ারম্যান বা মেয়ররা নির্বাচিত সদস্যদের মধ্য থেকে তিন থেকে পাঁচজন নিয়ে নির্বাহী পরিষদ গঠন করবেন। এ পরিষদ মন্ত্রিসভার মতো কাজ করবে। বাকিরা একজন ছায়া নেতা নির্বাচিত করবেন। যিনি বিরোধীদলীয় নেতা হবেন।

সদস্যপদে প্রার্থী হতে মাধ্যমিক পাস হতে হবে। চেয়ারম্যান-মেয়রদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে ন্যূনতম স্নাতক। সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন। তবে তারা  চেয়ারম্যান-মেয়র হতে পারবেন না।

স্থানীয় সরকারের সংস্কারে গত ১৮ নভেম্বর আট সদস্যের স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের প্রতিবেদনে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গ্রাম ও পৌর পুলিশ গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নতুন দুটি পুলিশ বাহিনী গঠিত হওয়ার পর কমিউনিটি পুলিশকে সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করা হবে।
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে সময়ের সঙ্গে আধুনিকায়নের জন্য পাঁচ সদস্যের স্থায়ী স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। স্থায়ী সংস্কার কমিশন সব সংস্কার কর্মের একটি ধারাবাহিকতা রক্ষায় সক্ষম হবে। এটি স্থানীয় পর্যায়ে আইনের শাসন ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা রক্ষার একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে পারে।

প্রতিটি স্থানীয় সরকারের সংগঠন কাঠামো দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত থাকবে। একটি হলো বিধানিক অংশ (লেজিসলেটিভ পার্ট), আরেকটি নির্বাহী অংশ (এক্সিকিউটিভ পার্ট)। বিধানিক অংশের প্রধান হবেন জনপ্রতিনিধিদের মধ্য থেকে নির্বাচিত সভাধ্যক্ষ ও নির্বাহী অংশের প্রধান হবেন পরিষদের চেয়ারম্যান বা মেয়র।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাধারণ আসনের ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী আসনের ভিন্ন পদধারী তিনজন একই আকারের নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত হন। আবার জাতীয় সংসদ সদস্যের নির্বাচনী এলাকা প্রায় ক্ষেত্রে অভিন্ন। এই চার প্রতিনিধির মধ্যে রাজনৈতিক সংঘাত তাই অনিবার্য।

নির্বাচিত জেলা পরিষদ গঠনের সুপারিশ করেছে কমিশন। ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলায় মোট ওয়ার্ডের এক-তৃতীয়াংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে তিন নির্বাচনের পর থাকবে না এই সংরক্ষণ। একইভাবে নির্বাহী পরিষদ এবং স্থায়ী কমিটিতে এক-তৃতীয়াংশ চেয়ারম্যান পদ নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

মেয়র বা চেয়ারম্যান পরিষদের সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে বিবেচিত হবেন। তারা বেতন সম্মানী পাবেন। প্রতিটি পরিষদ বছরের এপ্রিলে বার্ষিক বা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিতে অধিবেশন করবে। পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় টাকার ৫০ শতাংশ সরকার অর্থায়ন করবে। বাকিটা নিজস্ব উৎস থেকে পরিষদকে সংগ্রহ করতে হবে। জেলা ও উপজেলা পরিষদের প্রধান দায়িত্ব হবে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব হবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নাম বদল করে ‘স্থানীয় সরকার, জনসংগঠন ও জনপ্রকৌশল সেবা মন্ত্রণালয়’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার জনসংগঠন অংশটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সব এনজিওর কার্যক্রম তদারকি করবে। আর জনপ্রকৌশল ও সেবা বিভাগের অধীনে থাকে ওয়াসা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থা। এই মন্ত্রণালয়ে একজন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী ও একজন উপমন্ত্রী থাকতে পারবে।

দুই ভাগে একজন করে সিনিয়র সচিব, একজন করে অতিরিক্ত সচিব, ৪ জন করে যুগ্ম সচিব, ৮ জন করে উপসচিব, ৮ জন করে সিনিয়র সহকারী সচিব ও ৮ জন করে সহকারী সচিব থাকবেন। এলজিইডি ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে একীভূত করে এলজিইডির অধীনে থাকবে। সব উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত স্থাপন করতে হবে। এ জন্য বিচারক নিয়োগের সুপারিশ করেছে কমিশন। গ্রাম আদালত বিলুপ্ত করে বিকল্প হিসেবে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ওয়ার্ড ও কমিউনিটি পর্যায়ে একটি সালিশি ব্যবস্থা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিচারকরা সম্পৃক্ত থাকবেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স থ ন য় সরক র র র স প র শ কর ছ ব যবস থ মন ত র র জন য পর য য় সদস য উপজ ল প রসভ

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গঙ্গাচড়ায় হিন্দুবাড়িতে হামলা ঠেকাতে ‘পর্যাপ্ত’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর
  • দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার
  • ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে
  • ডেঙ্গুতে দুজনের, করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু
  • জাওয়াইদেহ বেদুইনদের মৌখিক সাহিত্য
  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন