পাকিস্তানের কি কোনো সুযোগ আছে? নাকি বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে?
Published: 23rd, February 2025 GMT
এবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। ২৯ বছর পর তারা আইসিসির কোনো ইভেন্ট আয়োজন করল। এটা নিয়ে তাদের উচ্ছ্বাস আর উদ্দীপনার কোনো কমতি ছিল না। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে তারা ছন্নছাড়া। প্রথম ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে ৬০ রানের ব্যবধানে হারার পর রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে। তাতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিদায় এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গেছে। তবে যদি-কিন্তুর মারপ্যাচে এখনও নিভু নিভু করে কিছু সম্ভবনা জেগে আছে তাদের।
সেক্ষেত্রে তাদেরকে নির্ভর করতে হবে বাংলাদেশ ও ভারতের ওপর। বাংলাদেশ ও ভারত যদি তাদের পরবর্তী দুই ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারায় এবং পাকিস্তান তাদের শেষ ম্যাচে যদি বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় পায় তাহলে এই অবস্থা থেকেও শেষ চারে জায়গা করে নিতে পারবে তারা। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ, নিউ জিল্যান্ড ও পাকিস্তানের পয়েন্ট হবে সমান ২ করে। কিন্তু বড় ব্যবধানে হারায় নিউ জিল্যান্ড ও বাংলাদেশ নেট রান রেট পিছিয়ে থাকবে। পাকিস্তান তাতে এগিয়ে থেকে যাবে সেমির পথে এগিয়ে।
তবে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নিউ জিল্যান্ড যদি বাংলাদেশকে হারায় তাহলে এক ম্যাচ আগেই আয়োজক পাকিস্তানকে দর্শক হয়ে যেতে হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসরে।
আরো পড়ুন:
১৪ হাজারে দ্রুততম কোহলি
‘তিনশর বেশি রান করার ক্ষমতা আছে শান্তদের’
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রহস্যময় মেঘের সন্ধান, অনুসন্ধানে নাসা
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে মেঘের মতো অদ্ভুত কাঠামোর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরে থাকা উচ্চ উচ্চতার এই মেঘের মতো কাঠামোর তথ্য জানতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ থেকে রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরের রহস্য জানার চেষ্টা চলছে। স্পোরাডিক-ই ইলেক্ট্রোডাইনামিকস বা সিড নামের এই মিশনের মাধ্যমে তিন সপ্তাহের মধ্যে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের কোয়াজালিন অ্যাটল থেকে বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বহনকারী সাবঅরবিটাল মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। বিজ্ঞানীরা আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে তৈরি স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। এই কাঠামোর কারণে আয়নোস্ফিয়ারের উচ্চ স্তরে পৌঁছানোর আগে রেডিও সংকেত পৃথিবীতে প্রতিফলিত হচ্ছে। এর ফলে এলোমেলো সংকেত গ্রহণ করছে রেডিও রিসিভার।
নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর ক্রমাগত তৈরি হচ্ছে। এই স্তর চলমান ও এই অঞ্চলের কারণে বিভিন্ন ব্যাঘাত অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়ে। নাসার মিশন কর্মকর্তা আরোহ বরজাতিয়া বলেন, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর খালি চোখে দেখা যায় না। শুধু রাডারের মাধ্যমে প্যাঁচানো ও ফোলা মেঘের মতো দেখা যায়। আবার কিছু স্তর মেঘলা আকাশের মতো ছড়িয়ে পড়ে, যাকে আমরা কম্বলটিং স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর বলি। এই স্তর যোগাযোগে হস্তক্ষেপ করে।
আয়নোস্ফিয়ার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর। এটি প্রায় ৬০ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই এলাকা চার্জযুক্ত কণা বা আয়ন দ্বারা গঠিত। এই আয়নের মধ্যে কিছু আসে উল্কা থেকে। আয়নিত লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের চিহ্ন আছে এই স্তরে। এসব ভারী ধাতু আয়নোস্ফিয়ারের সাধারণ কণার তুলনায় বেশি থাকে। মাঝে মাঝে এসব কণা একসঙ্গে জমাট বেঁধে ঘন গুচ্ছ তৈরি করে, যা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মধ্য অক্ষাংশের স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর তৈরির কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন। তবে পৃথিবীর বিষুবরেখার কাছাকাছি থাকা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সূত্র: এনডিটিভি