এবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। ২৯ বছর পর তারা আইসিসির কোনো ইভেন্ট আয়োজন করল। এটা নিয়ে তাদের উচ্ছ্বাস আর উদ্দীপনার কোনো কমতি ছিল না। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে তারা ছন্নছাড়া। প্রথম ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে ৬০ রানের ব্যবধানে হারার পর রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে। তাতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিদায় এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গেছে। তবে যদি-কিন্তুর মারপ্যাচে এখনও নিভু নিভু করে কিছু সম্ভবনা জেগে আছে তাদের।

সেক্ষেত্রে তাদেরকে নির্ভর করতে হবে বাংলাদেশ ও ভারতের ওপর। বাংলাদেশ ও ভারত যদি তাদের পরবর্তী দুই ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারায় এবং পাকিস্তান তাদের শেষ ম্যাচে যদি বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় পায় তাহলে এই অবস্থা থেকেও শেষ চারে জায়গা করে নিতে পারবে তারা। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ, নিউ জিল্যান্ড ও পাকিস্তানের পয়েন্ট হবে সমান ২ করে। কিন্তু বড় ব্যবধানে হারায় নিউ জিল্যান্ড ও বাংলাদেশ নেট রান রেট পিছিয়ে থাকবে। পাকিস্তান তাতে এগিয়ে থেকে যাবে সেমির পথে এগিয়ে।

তবে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নিউ জিল্যান্ড যদি বাংলাদেশকে হারায় তাহলে এক ম্যাচ আগেই আয়োজক পাকিস্তানকে দর্শক হয়ে যেতে হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসরে।

আরো পড়ুন:

১৪ হাজারে দ্রুততম কোহলি

‘তিনশর বেশি রান করার ক্ষমতা আছে শান্তদের’

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবধ ন

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ